জার্মানির সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অস্থিরতা দূর হয়েছে উল্লেখ করে চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল বহুপক্ষীয় সংস্থাগুলোর গুরুত্ব নিয়ে কথা বলেন৷ এগুলো দুর্বল হলে দুর্দশা বাড়বে বৈ কমবে না বলে মনে করেন তিনি৷
বিজ্ঞাপন
বুধবার সুইজারল্যান্ডের দাভোসে ওয়ার্ল্ড ইকনোমিক ফোরামের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ম্যার্কেল৷ এ সময় তিনি বহুপাক্ষিকতার পক্ষে তাঁর দৃঢ় সমর্থন ব্যক্ত করেন৷
‘‘বহুপাক্ষিকতার পক্ষে আমাদের পরিষ্কার অঙ্গীকার দরকার৷ অন্যথায় আমাদের দুর্দশাই বাড়াবে,'' বলেন ম্যার্কেল৷ রাষ্ট্রগুলোর বহুপাক্ষিক সম্পর্কে চিড় ধরেছে বলে উল্লেখ করেন তিনি৷ এতে করে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে মনে করেন জার্মান চ্যান্সেলর৷
বিশ্ব নেতাদের এই বার্ষিক সম্মেলন এমন একটা সময়ে শুরু হলো যখন সারা বিশ্বে বাণিজ্য যুদ্ধ, ব্রেক্সিট নিয়ে ধোঁয়াশা, জলবায়ু পরিবর্তন ও অন্য আরো অনেক বিষয় চিন্তার কারণ হয়ে দেখা দিয়েছে৷
ম্যার্কেল বলেন যে, পশ্চিমকে অবশ্যই এই ভাগাভাগি বা বাদানুবাদের বিষয়ে আপোশকামী হতে হবে৷ তিনি বলেন, ‘‘অনেকেই ভাবছেন, শুধু নিজের কথা চিন্তা করলেই হবে, কিন্তু তাতে কতটা ভালো হবে আমার সন্দেহ হয়৷''
ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও জাপানের মধ্যকার শর্তহীন বাণিজ্য চুক্তিকে তিনি উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরেন৷ আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যকর হবে এই চুক্তি৷
আগামী ২৯ মার্চ যুক্তরাজ্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে গেলেও দেশটির সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক বজায় রাখার ওপরও জোর দেন তিনি৷
ইন্টারন্যাশনাল মনিটারি ফান্ড ও ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের মতো আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সংস্কারের প্রয়োজন আছে বলে মনে করেন ম্যার্কেল৷
ম্যার্কেল প্রতি বছরই দাভোসে ওয়ার্ল্ড ইকনোমিক ফোরামে বক্তব্য দেন৷ তবে নিজের দেশে গেল বছর টালমাটাল রাজনৈতিক পরিস্থিতির পর তা নিয়ে তিনি কী বলেন, সেটি দেখার অপেক্ষায় ছিলেন অনেকেই৷ এ বিষয়ে জার্মান চ্যান্সেলর বলেন, ‘‘আমি আপনাদের বলতে পারি যে, জার্মানি আরেকবার একটি স্থিতিশীল সরকার গঠন করেছে এবং কঠিন পরিস্থিতি পেছনে ফেলে এসেছি আমরা৷''
সম্মেলনে অন্য বিশ্বনেতারাও অংশ নিচ্ছেন৷ ২৫ জানুয়ারি শেষ হবে দাভোসের এই সম্মেলন৷
নতুন বছরে নতুন প্রতিজ্ঞায় বিশ্ব নেতারা
নতুন বছর উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিশ্ব নেতারা৷ জানিয়েছেন নতুন বছর নিয়ে তাঁদের ভাবনা ও প্রতিজ্ঞার কথাও৷ নববর্ষ উপলক্ষে দেয়া বিশ্ব নেতাদের বার্তা নিয়ে আজকের ছবিঘর...
ছবি: picture-alliance/dpa/AFP/J. MacDougal
সমন্বিত পদক্ষপের আহ্বান ম্যার্কেলের
জলবায়ু পরিবর্তন, শরণার্থী সংকটসহ বিশ্বব্যাপী চলমান নানাবিধ রাজনৈতিক সমস্যার সমাধানে বিশ্ব নেতাদের একসাথে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন জার্মানির চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল৷ নতুন বছর উপলক্ষে জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষণে তিনি এ আহ্বান জানান৷
ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁ নববর্ষ উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে দেশের জনগণকে একতাবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান৷ ‘‘আমি বিভাজনে বিশ্বাসী নই৷ চলুন আমরা সহিংসতা পরিহার করে সামনে এগিয়ে যাই’’ বলেন তিনি৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Pool/M. Euler
ব্রেক্সিটের বাস্তবায়ন চান টেরেসা মে
নববর্ষ উপলক্ষে দেয়া ভাষণে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে ব্রেক্সিট পরিকল্পনা বাস্তবায়নের উপর জোর দেন৷ ব্রেক্সিট বিষয়ে সকল আলোচনা-সমালোচনা পিছনে ফেলে সকলে মিলে দেশের জন্য একটি সুন্দর অধ্যায়ের সূচনা করতে জনগণের প্রতি আহ্বান জানান তিনি৷
ছবি: picture-alliance/dpa/AP Photo/T. Ireland
জীবনমান উন্নয়নের প্রতিজ্ঞা পুটিনের
রাশিয়ার জনগণের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন করা হবে ২০১৯ সালের অন্যতম লক্ষ্য– নববর্ষ উপলক্ষে দেয়া ভাষণে এ কথা বলেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিন৷ জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে পুটিন বলেন ‘‘একটি সম্মিলিত চেষ্টার মাধ্যমে আমরা ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারবো৷’’
ছবি: picture-alliance/dpa/Sputnik/M. Klimentyev
নিজেদের অর্জনকে স্মরণ করলেন শি জিনপিং
গেল বছরে চীনের অর্থনৈতিক ও সামাজিক অর্জনের কথা উল্লেখ করে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বলেন, ‘‘২০১৮ সালে আমরা চীনকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরেছি৷’’
ছবি: picture-alliance/dpa/EPA/Pool
টুইটারে ডোনাল্ড ট্রাম্প
নববর্ষ উপলক্ষে বেশ কয়েকটি টুইট করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প৷ এক টুইটে তিনি সিরিয়া থেকে সৈন্য প্রত্যাহারের বিষয়ে ব্যাখ্যা দেন এবং জনগণকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানান৷
ছবি: picture-alliance/dpa/ZUMAPRESS.com
নতুন বছরে মোদীর বার্তা
নববর্ষ উপলক্ষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এক টুইট বার্তায় শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সবাইকে৷ নতুন বছরে সকলের স্বপ্ন পূরণ হোক– এই কামনাও করেছেন তিনি৷
ছবি: Reuters/Argentine G20
শুভেচাছা-বার্তা ইমরান খানের
এক টুইট বার্তায় সকলকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমনাত্রী ইমরান খান৷ এ সময় দেশটির দারিদ্র্য, দুর্নীতি, অশিক্ষা ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তিনি৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/Yam G-Jun
শুভেচ্ছা নয়, হুমকি
শুভেচ্ছা জানানোর পরিবর্তে হুমকি দিয়েই নতুন বছর শুরু করলেন উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উন৷ তিনি অবিলম্বে কোরিয়ান উপদ্বীপে চলমান দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ সামরিক মহরা বন্ধের আহ্বান জানান৷