1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন

৫ নভেম্বর ২০১২

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কে জিততে যাচ্ছেন সেটা গোটা বিশ্ববাসীও জানতে চায়৷ বিশেষ করে আফগানিস্তান এবং পাকিস্তানের জন্য তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ৷ দুই দেশের মানুষও ডেমোক্রেট এবং রিপাবলিকান শিবিরে বিভক্ত৷

ARCHIV - KOMBO - Der republikanische Präsidentschaftsbewerber Mitt Romney (l, Archivfoto vom 14.01.2008) und US-Präsident Barack Obama (r, Archivfoto vom 07.06.2011). Ginge es nach den Deutschen, hätte US-Präsident Barack Obama eine zweite Amtszeit sicher. Laut einer Emnid-Umfrage im Auftrag der Zeitung «Bild am Sonntag» glauben 82 Prozent an einen Sieg des Demokraten. Fotos: Kamil Krzaczynski/Rainer Jensen/dpa (Zu dpa 0864 vom 14.10.2012) +++(c) dpa - Bildfunk+++
TV Duell Barak Obama Mitt Romney Hempsteadছবি: picture-alliance/dpa

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে যে-ই জিতুক না কেন পররাষ্ট্র নীতিতে  যে কোন বড় পরিবর্তন আসবে না সেটা সহজেই বলে দেওয়া যায়৷ তবে এরপরও আফগানরা চায় ওবামা প্রেসিডেন্ট পদে বহাল থাকুক, আর পাকিস্তানিরা এই ক্ষেত্রে রমনিকে পছন্দ করছে৷ বিগত ১২ বছর ধরে আফগানিস্তানে যুদ্ধ চালিয়ে আসছে মার্কিনিরা৷ আগামী ২০১৪ সালে মার্কিন বাহিনীর ৬৭ হাজার সেনা আফগানিস্তান ছাড়বে৷ এই ব্যাপারে ওবামা-রমনির একই সুর শোনা গেছে৷ তবে আফগানিস্তানের রাজনৈতিক বিশ্লেষক বার্তা সুলেমান লায়েক সংস্থা ডিপিএ-কে বলেন, দুই প্রার্থীর মধ্যে পররাষ্ট্র নীতির বাস্তবায়ন নিয়ে ভিন্নতা রয়েছে, বিশেষ করে ইরান ইস্যুতে৷

তিনি বলেন, ‘‘যদিও আমি নিশ্চিত নির্বাচনে রিপাবলিকান কিংবা ডেমোক্রেট যেই আসুক না কেন তাতে মার্কিন পররাষ্ট্রনীতিতে কোন পরিবর্তন আসবে না৷ তবে মিট রমনি ইরানের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেবেন, অন্যদিকে ডেমোক্রেটরা কিছুটা নরম অবস্থান নেবে৷ আমি মনে করি রমনি নির্বাচিত হলে যুক্তরাষ্ট্র-ইরান উত্তেজনা বাড়বে, আর এটার সরাসরি প্রভাব পড়বে আফগানিস্তানের ওপর৷''

আফগান প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাইয়ের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রয়েছে প্রেসিডেন্ট ওবামারছবি: AP

আফগান সংসদ সদস্য সাইয়েদ ইশাক গিলানি বলেন, রমনি জিতলে তাঁর ইরান নীতির শিকার হবে আফগানরা৷ কারণ অন্তত ২০ লাখ আফগান শরণার্থী ইরানে বাস করছে৷ আফগানিস্তানের রাজনৈতিক ভাষ্যকার ফজল রেহমান জানান, আফগান প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাইয়ের সঙ্গে একটি ভালো সম্পর্ক রয়েছে প্রেসিডেন্ট ওবামার৷ অন্যদিকে রমনি নির্বাচিত হলে একেবারে প্রথম থেকে তাঁকে শুরু করতে হবে৷ রেহমান বলেন, ‘‘ বিগত ২০০৮ সালে নির্বাচনি প্রচারণা চালানোর সময় বারাক ওবামা আফগানিস্তান সফর করেছিলেন৷ অথচ মিট রমনি এবার আসেননি৷ তার অর্থ আফগানিস্তান ইস্যু তার কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয়৷''

অন্যদিকে পাকিস্তানের মানুষের সমর্থন আবার ওবামা বিরোধী শিবিরের দিকে৷ গত কয়েক বছর ধরে মার্কিন বাহিনীর ড্রোন হামলায় রীতিমত ক্ষুব্ধ পাকিস্তানের মানুষ৷ তাই তাদের বেশিরভাগ রমনিকে সমর্থন দিচ্ছেন৷ পিউ রিসার্চ সেন্টার পরিচালিত এক সমীক্ষায় দেখা গেছে মাত্র আট শতাংশ পাকিস্তানি যুক্তরাষ্ট্রকে সহযোগী হিসেবে দেখে, আর ৭৪ শতাংশ মানুষের কাছে তারা শত্রুর মতো৷ একইভাবে মাত্র সাত শতাংশ মানুষ সমর্থন দিচ্ছে ওবামাকে৷

গত কয়েক বছর ধরে মার্কিন বাহিনীর ড্রোন হামলায় ক্ষুব্ধ পাকিস্তানের মানুষছবি: AP

পাকিস্তানের ইসলামাবাদ ভিত্তিক সাউথ এশিয়ান স্ট্র্যাটেজিক স্ট্যাবিলিটি ইন্সটিটিউটের পরিচালক মারিয়া সুলতানের মতে, রিপাবলিকান দল দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ওপর বেশি গুরুত্ব দেবে যেটা ডেমোক্রেট দলের গোয়েন্দা নির্ভর নিরাপত্তা নীতির চেয়ে ভিন্ন৷ বার্তা সংস্থা ডিপিএ-কে মারিয়া সুলতান বলেন, ‘‘রমনির বিজয় দুই দেশের মধ্যে একটি সতর্ক আশার সুযোগ তৈরি করে দিতে পারে৷'' পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা বিশ্লেষক রাসুল বাক্স রাইস মনে করেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট যেই হন কেন পাকিস্তানে ড্রোন হামলা অব্যাহত থাকবে, যতক্ষণ না পাকিস্তানে ভিন্ন ধরণের কোন সরকার আসে৷

উল্লেখ্য, মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা হোয়াইট হাউসে আসার পর পাকিস্তানে ড্রোন হামলা জোরদার করেন৷ সিআইএ-র দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে একের পর এক সন্দেহভাজন জঙ্গি আস্তানায় হামলা চালায় মার্কিন ড্রোন, যাতে প্রাণ হারিয়েছে অনেক মানুষ৷ এইসব হামলার তীব্র বিরোধিতা করে আসছে পাকিস্তানিরা৷

আরআই/এএইচ (ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ