1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

দোটানায় ভারত

অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুন দিল্লি২২ মে ২০১৩

আফগান প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই এখন দিল্লিতে৷ প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং-এর সঙ্গে বৈঠকে অন্যান্য আর্থ-সামাজিক বিষয়ের চেয়ে আফগানিস্তানকে কেন এখন ভারতের আরো বেশি সামরিক সাহায্য দেয়া দরকার, তার যৌক্তিকতা তুলে ধরেন কারজাই৷

Indian Prime Minister Manmohan Singh, left, and Afghanistan President Hamid Karzai, right, shake hands after a press conference at the Presidential Palace in Kabul, Afghanistan, Thursday, May 12, 2011. (ddp images/AP Photo/Mustafa Quraishi)
ছবি: AP

গত ছয় মাসে আফগান প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই-এর এটা দ্বিতীয় ভারত সফর৷ এবারে তিনি এসেছেন সমস্যাজর্জরিত আফগানিস্তানের জন্য কার্যত সামরিক সাহায্যপ্রার্থী হয়ে৷ মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং-এর সঙ্গে বৈঠকে তিনি তুলে ধরেন কেন আফগানিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তায় ভারতের সামরিক সাহায়্য দরকার, বিশেষ করে ২০১৪ সালে আন্তর্জাতিক যৌথবাহিনী চলে যাবার পর৷ নিরাপত্তার দিক থেকে যেহেতু তাঁর দেশে তৈরি হবে এক শূন্যতা, তাই শুরু হতে পারে তালিবানি সন্ত্রাস, জাতিগোষ্ঠী সংঘর্ষ৷ এমন কী গৃহযুদ্ধের আশঙ্কাও উড়িয়ে দেয়া যায় না৷

উল্লেখ্য, আফগান সেনাবাহিনীতে বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠী৷ যেমন, ৩৮ শতাংশ পাখতুন, ২৫ শতাংশ তাজিক, ১৯ শতাংশ হাজারা এবং ১২ শতাংশ উজবেক৷ যৌথবাহিনী চলে যাবার পর এরা নিজ নিজ মিলিশিয়া সংস্থায় ফিরে যেতে পারে, যেখান থেকে তারা এসেছিল৷

সাম্প্রতিক আফগানিস্তান-পাকিস্তান সীমান্ত বরাবর আড়াই হাজার কিলোমিটার দীর্ঘ ডুরান্ড আন্তর্জাতিক সীমান্তরেখা নিয়ে পাক-আফগান সংঘর্ষের প্রসঙ্গ উঠে আসে আলোচনায়৷ ডুরান্ড লাইনকে পাক-আফগান সীমারেখা বলা হলেও কাবুল কখনই তা স্বীকার করেনি৷ মাসের পর মাস সীমান্ত লঙ্ঘনের ঘটনা নিয়ে চলে উভয় দেশের মধ্যে গুলি বিনিময়৷ বেশ কিছু আফগান সীমান্ত নিরাপত্তা পুলিশ হতাহত হয়৷ এ জন্য একে অপরকে দায়ী করে চলে দোষারোপ ও পাল্টা দোষারোপের পালা৷

শুধু তাই নয়, জঙ্গিদের আশ্রয় দিয়েছে বলে পাকিস্তান ও আফগানিস্তান একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে থাকে৷ আফগান তালিবানের সঙ্গে শান্তি প্রক্রিয়া বানচাল করতে পাকিস্তান তৎপর বলেও মনে করেন কারজাই৷ এরই পরিণামে পাক-আফগান সম্পর্কের অবনতি ঘটে৷

২০১১ সালে স্বাক্ষরিত ভারত-আফগান স্ট্র্যাটিজিক চুক্তি অনুসারে আফগানিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা কর্মীদের বিশেষ প্রশিক্ষণের মধ্যেই মূলত সীমাবদ্ধ ছিল ভারতের সামরিক সাহায্য৷ এবারে আফগানিস্তানের তরফে সমর সম্ভারের যে তালিকা দেয়া হবে, তার মধ্যে আছে ১০৫ মি.মি. কামান ,এএন ভারি মালবাহী বিমান, সেতু নির্মাণের সাজসরঞ্জাম, সামরিক ট্রাক, হেলিকপ্টার ও হেলিকপ্টার ট্রেনিং৷ ভারতের কাছে সামরিক সাহায্য চেয়ে কারজাই পাকিস্তানকে সতর্ক করে দিতে চান যে, জেহাদিদের মদৎ দেয়া থেকে পাকিস্তান যদি বিরত না থাকে তাহলে আফগানিস্তানে শুধু অর্থনৈতিক নয়, ভারতের সামরিক উপস্থিতি বাড়বে৷

এই ইস্যুতে মনমোহন সিং সরকার পড়েছে দোটানায়৷ পাকিস্তানে নওয়াজ শরিফের নতুন সরকার এলে ভারতের সঙ্গে সম্পর্কে একটা ইতিবাচক মোড় নেবে বলে মনে করছেন অনেকে৷ ওদিকে, আফগানিস্তানকে সামরিক সাহায্য দিলে একটা ভুল বার্তা যেতে পারে৷ তাই মনমোহন সিং সরকারকে হাত গুটিয়ে বসে থাকলে চলবে না, সিদ্ধান্ত যাই হোক, নিতে হবে দ্রুত৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ