1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আফগানিস্তানকে সহায়তা

৮ জুলাই ২০১২

আফগানিস্তানে ১৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি উন্নয়ন সহায়তা প্রদানের অঙ্গীকার করেছে দাতারা৷ জাপানের রাজধানী টোকিওতে অনুষ্ঠিত আফগানিস্তান সম্মেলন থেকে এই অঙ্গীকার ঘোষণা করা হয়৷ আগামী তিন বছর এই সহায়তা প্রদান করা হবে৷

Japan's Foreign Minister Koichiro Gemba, second from right, and Iranian Foreign Minister Ali Akbar Salehi, second from left, attend a bilateral meeting on the sidelines of the Tokyo Conference on Afghanistan, in Tokyo on Sunday, July 8, 2012. (AP Photo/Kim Kyung-Hoon, Pool)
ছবি: dapd

২০১৪ সাল নাগাদ আফগানিস্তান মিশন সম্পন্ন করবে ন্যাটো৷ ফ্রান্স ইতিমধ্যে জানিয়েছে চলতি বছরের শেষ নাগাদ আফগানিস্তান থেকে সকল সেনা প্রত্যাহার করবে সেদেশ৷ অন্যদিকে, আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে সেদেশে নিযুক্ত মার্কিন সেনাদের এক-তৃতীয়াংশ দেশে ফিরে যাবে৷

আফগান প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই গত জুন মাসে বলেছিলেন, বিদেশি সেনাদের পরিকল্পিত প্রত্যাবর্তনের পর তাঁর দেশের অর্থনীতির পুর্নগঠনে প্রতি বছর চার বিলিয়ন মার্কিন ডলার সহায়তা প্রয়োজন৷ এই সহায়তার বিনিময়ে আফগান সরকার দেশ থেকে দুর্নীতির মূলোৎপাটন, আইনি কাঠামোর উন্নয়ন, অর্থনৈতিক অবস্থান শক্তিশালী করার প্রতিশ্রুতিসহ আরো কিছু খাতে সংস্কারের উদ্যোগের কথা জানিয়েছে৷ টোকিওতে এ সংক্রান্ত একটি সমঝোতা পত্রও চূড়ান্ত করা হয়েছে৷

আফগান প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই সম্মেলনে এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘সম্মানিত ভদ্রমহিলা এবং ভদ্র মহোদয়গণ, আমি স্বীকার করছি আমাদের উন্নয়ন অংশীদারিত্বের সফলতা নির্ভর করছে আমাদের সমন্বিত কর্মক্ষমতা এবং চর্চার উন্নয়নের উপর৷ এভাবে আপনাদের করদাতার অর্থের সবচেয়ে মোক্ষম এবং স্বচ্ছ ব্যবহার নিশ্চিত করা হবে৷''

বলাবাহুল্য, প্রায় ৭০টি দেশ এবং সংগঠন টোকিও'র আফগানিস্তান সম্মেলনে অংশগ্রহণ করছে৷ জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রী কোয়িচেরো গ্যাম্বা আফগানিস্তানকে সহায়তা প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, নির্দিষ্ট কিছু খাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় এবং নিজের দেশের উন্নয়নে বিশ্বাসযোগ্য কর্মকাণ্ড পরিচালনায় আফগান সরকারকে সচেষ্ট হতে হবে৷

টোকিও সম্মেলনে জাপান ও আফগানিস্তানের তিন মন্ত্রীছবি: AP

জাতিসংঘের মহাসচিব বান-কি মুন, মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রী হিলারি ক্লিন্টন এবং ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রী আলি আকবর সালেহি গুরুত্বপূর্ণ এই সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন৷ হিলারি ক্লিন্টন সম্মেলনে বলেন, ‘‘এখানে আমরা একমত হয়েছি যে, আমাদের ভিন্নধরনের দীর্ঘ-মেয়াদী অর্থনৈতিক-অংশীদারিত্ব প্রয়োজন৷ দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে, বিভিন্ন খাতে সংস্কার সাধনে এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠায় আফগান সরকারকে কাজ করতে হবে৷''

এদিকে, যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তানকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত বর্তমানের পরিমাণে সহায়তার আশা ব্যক্ত করেছে দাতারা৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সহায়তা প্রদানকারী দেশ জাপান ২০১২ সালের পর পাঁচ বছর মেয়াদে আফগানিস্তানকে ৩ বিলিয়ন ডলারের সহায়তা প্রদানের ঘোষণা করেছে৷ এছাড়া ইউরোপীয় ইউনিয়ন প্রতি বছর দেড় বিলিয়ন মার্কিন ডলার সহায়তা প্রদান করবে আফগানিস্তানকে৷ জার্মানিও সেদেশকে নিয়মিত সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে৷

উল্লেখ্য, গত এক দশক ধরে বিপুল সামরিক এবং বেসামরিক সহায়তা পেলেও আফগানিস্তান এখনো বিশ্বের অন্যতম গরিব রাষ্ট্র হিসেবে রয়ে গেছে৷ সেদেশ থেকে বিদেশি সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণার পর অনেক বেসরকারি সংস্থাও আফগানিস্তানকে সহায়তার পরিমাণ কমানোর কিংবা সেদেশে কার্যক্রম বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে৷

এআই / এএইচ (ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ