1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আফগানিস্তানের উত্তরেও তালেবান দমন করা হবে: কুন্দুসের গভর্নর

১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১০

আফগানিস্তানের দক্ষিণে ‘মুশতারাক’ নামের তালেবান দমন অভিযানে সাফল্যের পর এবার দেশের উত্তরেও একই রকমের অভিযানের পরিকল্পনা চলছে বলে দাবি করলেন কুন্দুস প্রদেশের গভর্নর মহম্মদ ওমর৷

জার্মান সৈন্যদের ‘নরম’ মনোভাবে সন্তুষ্ট নন কুন্দুসের গভর্নর ওমরছবি: DW

বুধবার ওমর ঘোষণা করেছেন, যে অদূর ভবিষ্যতে উত্তরের কুন্দুস ও বাগলান প্রদেশে তালেবান বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে এমন এক অভিযান শুরু হবে৷ তিনি বলেন, এই অভিযানও ‘মুশতারাক'এর মত বড় আকারে চালানো হবে৷ কড়া ভাষায় তিনি দেশের উত্তর ও উত্তর পূর্বাংশে স্থানীয় তালেবান বিদ্রোহীদের উদ্দেশ্যে অস্ত্র সমর্পণের ডাক দিয়েছেন৷ তিনি বলেন, ‘‘সরকার শত্রুদের বিরুদ্ধে অভিযানে জয়ের মুখ দেখতে বদ্ধপরিকর৷ এটাই তাদের কাছে নিঃশ্বাস ফেলার শেষ সুযোগ৷ যতদিন না তালেবান বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে সম্পূর্ণ জয় আসে, ততদিন এই অভিযান চলবে৷''

কুন্দুস সহ আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলে মোতায়েন রয়েছে জার্মান সেনাবাহিনী৷ ফলে এমন কোন অভিযানে জার্মান সৈন্যদের অংশগ্রহণ অনিবার্য৷ কিন্তু জার্মান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ওমরের বক্তব্য খণ্ডন করে জানিয়েছে, এই মুহূর্তেও উত্তরে তালেবান বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে এবং ভবিষ্যতেও তা চালু থাকবে বটে, তবে ‘মুশতারাক'এর মত এত বড় আকারে কোন অভিযানের পরিকল্পনা আপাতত নেই৷ উল্লেখ্য, জার্মান সৈন্যরা শুধুমাত্র আফগানিস্তানের উত্তরেই মোতায়েন রয়েছে৷ তাদের সর্বোচ্চ সংখ্যা ৪,৫০০ থেকে বাড়িয়ে ৫,৩৫০ করার উদ্যোগ চলছে৷

দক্ষিণে ‘মুশতারাক’ নামের তালেবান দমন অভিযানে বেশ কিছু সাফল্যের দাবি শোনা যাচ্ছে৷ছবি: AP

কুন্দুসের গভর্নর ওমর জার্মান সেনাবাহিনীর তৎপরতা সম্পর্কে সন্তুষ্ট নন৷ তিনি গত মাসে জার্মান বাহিনীর এক অভিযানকে দুর্বল বলে সমালোচনা করেছিলেন৷ নিরাপত্তা পরিস্থিতির আরও অবনতি রুখতে তিনি সেখানে আরও মার্কিন সৈন্য পাঠানোর দাবি করেছিলেন৷ ইতিমধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তানের উত্তরে বাড়তি ৪,৫০০ সৈন্য পাঠানোর ঘোষণা করেছে৷ বর্তমানেও বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মার্কিন সেনা ইউনিট উত্তরে সক্রিয় রয়েছে৷ বুধবার কুন্দুসে জার্মান সেনাবাহিনীর ঘাঁটির কাছে এক সংঘর্ষে ৩ জার্মান সৈন্য আহত হয়েছে৷ তাদের উপর যারা হামলা চালিয়েছিল, গোলাগুলির সময় তাদের কয়েকজন নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে৷

একদিকে সামরিক অভিযান, অন্যদিকে আলোচনার পথ খুলে রেখে তালেবান বিদ্রোহীদের মূল স্রোতে ফেরানোর চেষ্টা চলছে৷ছবি: dpa

দক্ষিণে ‘মুশতারাক' ও উত্তরেও পরিকল্পিত অভিযানের মাধ্যমে একদিকে যেমন তালেবান বিদ্রোহীদের দমন করার চেষ্টা চলছে, তেমন আলোচনার মাধ্যমে তাদের রাজনীতির মূল স্রোতে নিয়ে আসার উদ্যোগও চালু রয়েছে৷ মালদ্বীপের রাজধানী মালে'তে জানুয়ারি মাসের শেষে ৩ দিন ধরে আফগানিস্তান ও তালেবান বিদ্রোহীদের প্রতিনিধিদের মধ্যে সরাসরি আলোচনা হয়েছে বলে বুধবার জানা গেছে৷ মালদ্বীপের এক সরকারি মুখপাত্র জানিয়েছেন, উভয় দলেই ১২ জন করে প্রতিনিধি ছিলেন৷ আফগান প্রতিনিধিদলে কয়েকজন সাংসদও ছিলেন, যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে আফগান সরকার সরাসরি এই আলোচনায় অংশ নেয় নি৷

প্রতিবেদন: সঞ্জীব বর্মন, সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ