প্রথম টেলিভিশন বক্তৃতায় আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে অর্থ সহায়তা বন্ধ না করার আহ্বান জানিয়েছেন তালেবান সরকার প্রধান৷ জব্দকৃত ১০ বিলিয়ন ডলারের নিয়ন্ত্রণ ফিরিয়ে দেয়ার জন্যেও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আবেদন জানিয়েছেন তিনি৷
বিজ্ঞাপন
গত আগস্টে দায়িত্ব পাওয়ার পর প্রথমবারের মতো টেলিভিশনে ভাষণ দেন তালেবান সরকারের নিযুক্ত প্রধানমন্ত্রী মোল্লাহ মোহাম্মদ হাসান আখুন্দ৷ কোন দেশের অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে তার সরকার হস্তক্ষেপ করবে না বলে প্রতিশ্রুতি দেন তিনি৷
তিনি বলেন, ‘‘যতটা সম্ভব আমরা জনগণের সমস্যা দূর করার চেষ্টা করছি৷ প্রতিটি ক্ষেত্রে আমরা অতিরিক্ত সময় কাজ করছি৷''
তালেবান ক্ষমতা দখলের পর আফগানিস্তানের অর্থনীতি দিনকে দিন নাজুক হচ্ছে৷ দেখা দিয়েছে খাদ্য সংকট, বেড়েছে পণ্যের দাম, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারিরা পাচ্ছেন না বেতন৷ এই পরিস্থিতির দায় আগের সরকারের উপর চাপিয়ে তিনি বলেন, ‘‘জাতিকে সতর্ক থাকতে হবে৷ আগের সরকারের যারা পালিয়ে আছে... তারা উদ্বেগের কারণ তৈরি করছে, সরকারের প্রতি অবিশ্বাস তৈরিতে জনগণকে বিভ্রান্ত করছে৷’’
তিনি দাবি করেন, তার সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছে৷ সরকারি কর্মকর্তাদের গত কয়েকমাস বকেয়া বেতন দেয়ার জন্য তারা কাজ করে যাচ্ছেন বলেও উল্লেখ করেন৷
আধাঘণ্টার এই অডিও বার্তায় তিনি দাতা সংস্থাগুলোকে সহায়তা বন্ধ না করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘‘আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থাগুলোকে বলব তারা যেন তাদের অনুদান আটকে না রাখে এবং আমাদের বিধ্বস্ত দেশকে সহায়তা করে... যাতে জনগণের সমস্যা দূর করা যায়৷’’
আগের সরকারের পতন ঘটিয়ে গত আগস্টে তালেবানরা ক্ষমতা দখলের পর যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তানের ১০ বিলিয়ন ডলারের গচ্ছিত তহবিল জব্দ করে৷ বক্তৃতায় আখুন্দ এই অর্থ ফেরত দেয়ারও আহ্বান জানান৷
কাদের হাতে আফগান মন্ত্রিসভা
কেউ ছিলেন মোস্ট ওয়ান্টেড। জাতিসংঘের তালিকায় এখনো কেউ কেউ 'জঙ্গি'। এক নজরে তালেবান সরকার।
ছবি: Gulabuddin Amiri/AP/picture alliance
হাইবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা
তালেবানের সুপ্রিম নেতা আখুন্দাজা। ২০১৬ সাল থেকে তালেবানের ধর্ম, রাজনীতি সহ সমস্ত বিষয়ে তিনি সর্বোচ্চ সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকারী। তার নেতৃত্বেই সরকার গঠন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী সহ সমস্ত মন্ত্রী তার কাছে জবাবদিহি করবেন। তালেবান আফগানিস্তান দখল করার পরে এখনো পর্যন্ত আখুন্দজাদা ক্যামেরার সামনে আসেননি। তবে সরকার গঠনের কথা বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন তিনি।
ছবি: Imago/Xinhua
প্রধানমন্ত্রী মোল্লাহ হাসান আখুন্দ
প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন মোল্লাহ হাসান আখুন্দ। এর আগে ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত তালেবান সরকারে আখুন্দ ডেপুটি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলেছেন। তালেবানের সর্বোচ্চ নেতৃত্বের অন্যতম তিনি। তবে এখনো জাতিসংঘের সন্ত্রাসী তালিকায় তার নাম আছে।
ছবি: SAEED KHAN/AFP
ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী মোল্লাহ আব্দুল গনি বারাদার
ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত হয়েছেন বারাদার। অনেকে মনে করেছিলেন বারাদারকেই প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হবে। কোনো কোনো সূত্রের দাবি, মন্ত্রিসভার গঠন নিয়ে তালেবানের ভিতরে যথেষ্ট বিতর্ক হয়েছে। সেখানে পাকিস্তানের আইএসআই-য়েরও হাত ছিল। হাসান আখুন্দকে সে জন্যই প্রধানমন্ত্রী করা হয়েছে। পিছিয়ে পড়েছেন বারাদার।
ছবি: Alexander Zemlianichenko/REUTERS
ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী মৌলভি আদুল সালাম হানাফি
হানাফিও ডেপুটি প্রধানমন্ত্রীর পদ পেয়েছেন। তালেবানের গুরুত্বপূর্ণ নেতা তিনি। কাতারে তালেবানের রাজনৈতিক সদর দফতরে বিশেষ পদে ছিলেন হানাফি। অ্যামেরিকা এবং আফগান সরকারের সঙ্গে আলোচনার দায়িত্বেও ছিলেন। তবে তিনি ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী হবেন, এমনটা আশা করেননি অনেকেই। (ছবিতে ডানদিক থেকে দ্বিতীয়)
ছবি: AFP/Getty Images/K. Jaafar
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সিরাজুদ্দীন হাক্কানি
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন হাক্কানি নেটওয়ার্কের প্রধান সিরাজুদ্দীন হাক্কানি। এফবিআইয়ের জঙ্গি তালিকায় তার নাম আছে। ২০১৭ সালে কাবুলে ট্রাক বোমা বিস্ফোরণে তিনিই মূল চক্রী বলে মনে করা হয়। যেখানে ১৫০ মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। হাক্কানি নেটওয়ার্কের সঙ্গে আল কায়দারও যোগাযোগ আছে বলে মার্কিন গোয়েন্দা দফতর মনে করে। অ্যামেরিকার তালিকায় হাক্কানি নেটওয়ার্ক নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী গোষ্ঠী।
ছবি: FBI/REUTERS
প্রতিরক্ষামন্ত্রী মোল্লাহ মোহাম্মদ ইয়াকুব মুজাহিদ
প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন ইয়াকুব মুজাহিদ। তালেবান প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা ওমরের ছেলে তিনি। তালেবান সরকারে তিনি গুরুত্বপূর্ণ পদ পাবেন বলেই বিশেষজ্ঞরা মনে করেছিলেন। ইয়াকুবের নামও জাতিসংঘের কালো তালিকায় অন্তর্ভুক্ত।
ছবি: IRNA
গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সামলাবেন মৌলভি আমির খান মুতাক্কি। অর্থ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে মোল্লাহ হিদায়েত বাদরি। বিচারবিভাগ দেখবেন আব্দুল হাকিম ইশাকজাই। তথ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকবেন খইরুল্লাহ সায়িদ ওয়ালি খায়েরখা।
ছবি: REUTERS
কথা রাখেনি
বিশেষজ্ঞদের দাবি, তালেবান একটি বিষয় বুঝিয়ে দিয়েছে, তারা তাদের মূল নীতি থেকে সরছে না। তারা জানিয়েছে, শরিয়ত আইনেই ইসলামিক আমিরাত আফগানিস্তান শাসিত হবে। তারা কোনো নারীকে মন্ত্রিসভায় রাখেনি। আফগানিস্তান দখলের পরে তালেবানের কথা শুনে অনেকে মনে করেছিলেন, এবারের সরকার মধ্যপন্থা নিয়ে চলবে। তালেবান ছাড়াও অন্য গোষ্ঠীর নেতাদের সরকারে নেয়া হবে। কিন্তু মন্ত্রিসভা দেখে অনেকেই বলছেন, তালেবান কথা রাখেনি।
ছবি: Alexander Zemlianichenko/AFP
8 ছবি1 | 8
সংকট কতটা প্রকট?
জাতিসংঘের বিভিন্ন দাতা সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী, আফগানিস্তানের অর্ধেক জনগোষ্ঠী এখন খাদ্যাভাবে রয়েছেন৷ দেশটি গত কয়েক যুগের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ দুর্ভিক্ষের ভেতর দিয়ে যাচ্ছে৷ অর্থনীতি ভেঙ্গে পড়ায় খাদ্যের অভাবে মানুষ মরিয়া হয়ে উঠেছেন৷ ঘরে খাবার যোগাড় করতে গিয়ে সম্পত্তি এমনকি শিশুদেরও বিক্রি করে দিচ্ছেন তারা৷
ইউনিসেফ এর যোগাযোগ বিভাগের প্রধান সামান্থা মর্ট গত সপ্তাহে ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন, দেশটির দুই কোটি ৩০ লাখ মানুষের এখন সহায়তা প্রয়োজন৷ এই বিরাট জনগোষ্ঠীর চাহিদা মেটানো অনেকটাই ‘নিয়ন্ত্রণের বাইরে যেতে থাকা সংকটে' পরিণত হচ্ছে৷
আখুন্দ এই দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতিকে ‘ইশ্বরের বিপক্ষে বিদ্রোহের পর মানুষকে দেয়া তার পরীক্ষা’ হিসেবে অভিহিত করেছেন৷
উল্লেখ্য, এখনও যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশ আফগানিস্তানে তালেবান সরকারকে বৈধতা দেয়নি৷ দেশটির অর্থনীতির ৭৫ শতাংশই চলে বৈদিশিক সহায়তার উপরে, যা কার্যত বন্ধ৷ নেই বিশ্ব ব্যাংক, আইএমএফের মতো প্রতিষ্ঠানের কাছে থেকে ঋণ নেয়ার সুযোগ৷
সবার অংশগ্রহণমূলক সরকার ও নারী অধিকারের স্বীকৃতি দেয়ার আগ পর্যন্ত আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক অবরোধ চালিয়ে যেতে একমত হয়েছে পশ্চিমা দেশগুলো৷ তবে আখুন্দ দাবি করেন, তার নতুন ইসলামিক এমিরেটের সদস্যরা গোটা দেশের প্রতিনিধিত্ব করেন৷ ‘নারীদের সম্মান রক্ষার' জন্যই তাদেরকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কাজ থেকে বিরত রাখা হচ্ছে বলে তিনি দাবি করেন৷
এফএস/এআই (এএফপি, ডিপিএ, এপি)
আফগানিস্তানের সরকারি কর্মচারিরাও নামছেন ভিক্ষায়
আফগানিস্তানে অর্থনৈতিক সংকট চরম রূপ নিচ্ছে৷ বেকারত্ব বাড়ছে, বাড়ছে খাদ্যপণ্যের দাম৷ চাকরি হারানো অনেকের পেশা এখন ভিক্ষা৷ ডাব্লিউএফপি, আইএমএফ, ইইউ শঙ্কিত৷ বিস্তারিত ছবিঘরে...
ছবি: Oliver Weiken/dpa/picture alliance
রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকট
গত আগস্টে কাবুলের দখল নেয় তালেবান৷ তারপর মোটামুটি সারা দেশে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করলেও অর্থনীতি দ্রুত চরম বিপর্যয়ের দিকে যাচ্ছে৷ আন্তর্জাদিক দাতা সংস্থাগুলো আফগানিস্তান ছেড়েছে৷ বিদেশি সৈন্যরা চলে যাওয়ার পর থেকে দৃশ্যত বিদেশের কোনো অর্থনৈতিক সহায়তাও পাচ্ছে না তালেবানের আফগানিস্তান৷ প্রসঙ্গত, আফগানিস্তানের নাগরিক সেবা সংশ্লিষ্ট খরচের তিন চতুর্থাংশই বিদেশি সহায়তা নির্ভর৷
ছবি: Bernat Armangue/AP Photo/picture alliance
ব্যাংকে টাকার অভাব
আশরাফ গনি সরকারের রেখে যাওয়া ৯৫ বিলিয়ন ডলারের সম পরিমান অর্থ কেন্দ্রীয় ব্যাংকে পড়ে আছে৷ তালেবান সরকার তা তুলতে পারছে না৷ অন্যদিকে সরকার নির্দিষ্ট অঙ্কের বেশি টাকা তোলায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করায় অনেকে নিজের জমানো টাকাও প্রয়োজনমতো তুলতে পারছেন না৷ ওপরের ছবিতে এক ব্যাংকের সামনে টাকা তুলতে আসা মানুষদের দীর্ঘ লাইন৷
ছবি: Oliver Weiken/dpa/picture alliance
বেকারত্ব এবং বেতন-সমস্যা
গনি সরকারের আমলের অনেক সরকারি-বেসরকারি কর্মচারি তালেবান আমলে চাকরি হারিয়েছেন৷ এ কারণে আগে থেকেই ধুঁকতে থাকা আফগানিস্তানে বেকারত্ব আরো বেড়েছে৷ তাছাড়া কর্মরতদের অনেকেই বেতন নিয়মিত পাচ্ছেন না বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন৷ ছবিতে বেকারত্ব ও নারীদের ওপর আরোপিত নানা বিধিনিষেধের বিরুদ্ধে আফগানদের বিক্ষোভ মিছিল৷
ছবি: Privat
খাদ্যের জন্য আসবাব বিক্রি, ভিক্ষা
খাদ্যপণ্যের তীব্র সংকট দেখা দিচ্ছে আফগানিস্তানে৷ দাম বাড়ছে হু হু করে৷ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানান, খাবার কেনার টাকা জোগাড় করতে তারা এখন ঘরের আসবাবপত্র বিক্রি করছেন৷ সাবেক সরকারি কর্মকর্তা আজমল (ছদ্মনাম) জানান, তিনি এমন কয়েকজন সাবেক চাকুরিজীবীকে চেনেন, যারা ‘‘এখন বাধ্য হয়ে ভিক্ষা করছেন, কিংবা দিনমজুরের কাজ করছেন৷’’
ছবি: SHAH MARAI/AFP/Getty Images
দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা
খরা এবং করোনা মহামারির মাঝে আফগানিস্তান এখন এমন এক অবস্থায় যে বিশ্লেষকদের অনেকে মনে করছেন, সেখানে চরম মানবিক সংকট অত্যাসন্ন৷ বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডাব্লিউএফপি)-র আফগানিস্তান শাখার প্রধান মেরি-এলেন ম্যাকগ্রোয়ার্টি মনে করেন, আফগানিস্তানের অন্তত ৮৭ লাখ মানুষ এ মুহূর্তে ‘‘অনাহার থেকে এক পা দূরে৷’’ এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে আফগানিস্তানে অচিরেই ভয়াবহ মানবিক সংকট দেখা দিতে পারে৷
ছবি: Denis Elamu/Photoshot/picture alliance
আইএমএফ-এর হুঁশিয়ারি
এদিকে আফগানিস্তানের অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের কারণে শরণার্থী সংকট চরম রূপ নিতে পারে বলে আশঙ্কা করছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)৷ সংস্থাটি বলেছে, আফগানিস্তানের অর্থনীতি এ বছর ৩০ শতাংশ পর্যন্ত সঙ্কুচিত হতে পারে। এর প্রভাবে লাখ লাখ মানুষ চরম দারিদ্র্যকে বরণ করে নিতে বাধ্য হবে৷ এর প্রভাব প্রতিবেশী দেশগুলোতেও নানাভাবে পড়বে বলে মনে করে আইএমএফ৷
ছবি: Privat
ইউরোপীয় ইউনিয়নের আশঙ্কা
ইউরোপীয় ইউনিয়নের নীতি নির্ধারণ কমিটির প্রধান ইয়োসেপ বোরেল-ও আফগানিস্তান নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন৷ গত অক্টোবরে এক ব্লগ পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘‘ভয়ঙ্কর এক মানবিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে আফগানিস্তান৷ সামাজিক-অর্থনৈতিক বিপর্যয় চরম রূপ নিচ্ছে৷ এ পরিস্থিতি আফগানদের এবং আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার জন্যও বিপদ ডেকে আনতে পারে৷’’