1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কোরান পোড়ানোর প্রতিবাদ

২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১২

শুক্রবার জু্ম্মার নামাজের পর আফগানিস্তানে বিদেশি সেনাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন আবারো শুরু হয়৷ কোরান পোড়ানোর প্রতিবাদে গত কয়েকদিন ধরেই আফগানিস্তান উত্তপ্ত৷ জার্মান সেনারা আফগানিস্তানের দক্ষিণ থেকে সরে গেছে৷

Protest in Afghanistan over "Koran burning" by US troops epa03114905 An Afghan shows a copy of the holy Koran that was allegedly burnt by US soldiers during a protest in Bagram, about 60 kilometres (40 miles) north of Kabul, Afghanistan, 21 February 2012. Thousands of Afghans took to the street in a Bagram to protest the 'burning of the Koran' by NATO-led troops, officials said on 21 February. 'Protest is ongoing right now in front of Bagram airport gate and nearly 3,000 people are protesting right now,' Roshana Khalid, a spokeswoman for Parwan provincial government said. 'The Afghan labourers at the Bagram military airbase brought copies of Koran burnt by the coalition troops out of the base this morning.' EPA/S. SABAWOON
Koran Verbrennung Afghanistanছবি: picture alliance/dpa

‘আল্লাহ মহান', ‘আল্লাহর এবং পবিত্র কোরান শরিফের সম্মান রক্ষা করবো' – এই স্লোগান দিতে দিতে এগিয়ে যায় বিক্ষোভকারীরা৷ সবার হাতে ছিল লাঠি বা কাঠের বড় টুকরা৷ আন্দোলনকারীদের সবাই পুরুষ৷ তরুণ, অল্পবয়স্ক, বৃদ্ধ – সবাই সমানভাবে অংশগ্রহণ করেছে এই প্রতিবাদে৷

উত্তপ্ত আফগানিস্তানছবি: AP

গত বৃহস্পতিবার জার্মান সেনাদের ওপর ইট-পাটকেল ছোড়ে আফগানরা৷ বাগলান প্রদেশের তাখারে জার্মান সেনাদের একটি ঘাঁটি রয়েছে৷ ঘাঁটির দায়িত্বে যারা ছিলেন, তারা সিদ্ধান্ত নেন ঘাঁটি খালি করার,সেখান থেকে চলে যাওয়ার৷ প্রায় ৬০ জন সেনা কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তাদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র গোছ-গাছ করে সেনাবহরে দ্রুত তাখার থেকে কুন্দুসে চলে যায়৷ কেউই সেখানকার পরিস্থিতির জন্য দায়িত্ব নিতে রাজি নয়৷ সবাই চিন্তিত, সবাই আতঙ্কিত৷ কারণ সপ্তাহান্তে ঘটনা আরো মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে৷ বিশেষ করে রাজধানী কাবুলে নিরাপত্তা অত্যন্ত কড়াকড়ি করা হয়েছে৷ পুলিশ প্রায় প্রতিটি মানুষকে প্রশ্ন করছে, প্রতিটি গাড়ি থামাচ্ছে৷ প্রতিটি মসজিদের কাছে পাহারা বসানো হয়েছে৷ এরপরও প্রতিবাদ চলছে এবং বেশ ভালভাবেই তা করা হয়েছে৷ কোন প্রতিবাদ মিছিলেই লোকের অভাব হয়নি৷

পুরো বিষয়টি অত্যন্ত অত্যন্ত স্পর্শকাতর৷ বারাক ওবামা ক্ষমা চেয়েছেন, কিন্তু তাতেও শান্ত হয়নি ক্ষিপ্ত আফগানরা৷ অ্যামেরিকানদের ওপর আফগানরা এমনিতেই ক্ষিপ্ত৷ এরপর গত চারদিনের আগের ঘটনা আগুনে ঘি ঢালার মত কাজ করেছে৷ একটি সাক্ষাৎকারে দেখানো হয়েছে যে মার্কিন সেনারা বিভিন্ন পুরানো জিনিসপত্র আগুনে ছুঁড়ে দিচ্ছে তার মধ্যে রয়েছে কয়েকটি কোরান৷ ময়লা এবং ছাইয়ের স্তূপ থেকে আংশিক পুড়ে যাওয়া কোরান উদ্ধার করা হয়েছে৷ একজন আফগান সেই কোরান তুলে ধরেছেন৷ বিভিন্ন ধরণের জিনিস এবং বইপত্র আফগানিস্তানের একটি কারাগার থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ৷ সবকিছুই আগুনে পুড়িয়ে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়৷ কিন্তু কী কী রয়েছে তা খতিয়ে দেখা হয়নি৷ একজন জানালো, ‘‘আমরা মার্কিন সেনাদের বলেছিলাম যে, পবিত্র কোরান আগুন থেকে তুলে আনা হোক৷ তারা যতই ক্ষমতাশীল হোক না কেন – আমাদের শরীরের শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে আমরা পবিত্র কোরান এবং আল্লাহ-র জন্য লড়ে যাবো৷ আমরা সরাসরি জানিয়ে দিয়েছি – শহীদ হিসেবে মৃত্যুবরণ করতে আমরা সবাই রাজি৷ কেউই পিছপা হবে না৷ বরং আমরা সম্মানের সঙ্গে শহীদ হওয়ার পথ বেছে নেব৷''

কথাগুলো যিনি বলেন, তিনিই আগুনের মধ্যে থেকে কোরানের কপিটি বের করে আনেন৷ বাগরামে মার্কিন ঘাঁটিতে কারাবন্দীদের ব্যবহৃত জিনিস পত্র আগুনে পোড়ানো হয়৷ এর মধ্যে কোরানও ছিল৷

আফগানিস্তানের মানুষরা ধর্মভীরু৷ মানুষের জীবনে কোরান সবসময়ই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে৷ গত তিরিশ বছরের যুদ্ধে আফগানদের মধ্যে ধর্ম আরো গভীর স্থান দখল করে নেয়৷ বিশেষজ্ঞরা মনে করেছেন, বাগরামের এই ঘটনা আফগানদের বিদেশি বাহিনী থেকে আরো দূরে সরিয়ে নিয়ে যাবে৷ বিদেশি সেনাদের প্রতি আফগানদের আস্থা কখনোই পুরোপুরি ছিল না৷ এবার প্রকাশ্যেই তার প্রমাণ দেয়া হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছে৷

তালেবান এই ঘটনার সুবিধা নেবে৷ এর কারণে বিদেশিদের হত্যা করা যেতে পারে, সে ঘোষণা তারা দিয়েছে৷ তাই বিদেশি সেনরাও ভয় পাচ্ছে৷ কারণ এই মুহূর্তে তারা কেউই নিরাপদে নয়৷

প্রতিবেদন: সান্ড্রা পেটার্সমান / মারিনা জোয়ারদার

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ