আফগানিস্তানের পুর্নগঠনে সহায়তায় আগ্রহী বাংলাদেশ: মসুদ মান্নান
৭ ডিসেম্বর ২০১১ডয়চে ভেলেকে দেয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে মসুদ মান্নান জানান, বাংলাদেশ বিভিন্ন খাতে আফগানিস্তানকে সহায়তায় আগ্রহী৷ স্বাধীনতার পর গত চল্লিশ বছরে বাংলাদেশ বিভিন্ন খাতে উন্নতি সাধন করেছে৷ আমরা আমাদের অভিজ্ঞতা আফগানিস্তানের সঙ্গে শেয়ার করতে চাই, বলেন তিনি৷
মসুদ মান্নান বিশেষভাবে স্বাস্থ্যখাতের কথা তুলে ধরেন৷ তিনি বলেন, স্বাস্থ্য পরিচর্যার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ভালো উন্নতি করেছে৷ আফগানিস্তানে একটি বিশাল গ্রামীণ এলাকা রয়েছে৷ সেখানে বিশুদ্ধ পানীয় জল এবং স্যানিটেশন সম্পর্কে সচেতন করতে বাংলাদেশ ভূমিকা পালন করতে পারি৷
শুধু সরকারই নয়, বাংলাদেশের বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলোও আফগানিস্তানের পুর্নগঠনে ভূমিকা রাখতে পারে, মনে করেন মসুদ মান্নান৷ তিনি বলেন, ইতিমধ্যে ব্র্যাক ব্যাপকভাবে অবস্থান নিয়েছে আফগানিস্তানে৷ তাদের কাজকে আরো সম্প্রসারিত করতে সরকার উৎসাহ প্রদান করতে পারে৷
মসুদ মান্নান জানান, কূটনীতিক এবং কর্মকর্তা পর্যায়ে বিনা ভিসায় যাতায়াতের জন্য বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তানের মধ্যে প্রাথমিক আলোচনা চলছে৷ এই বিষয়ে বেশ কিছু অগ্রগতি সাধিত হয়েছে৷ তবে সাধারণ পর্যায়ে বিনা ভিসায় যাতায়াতের বিষয়ে কোন তথ্য এই মুহূর্তে নেই৷
রাষ্ট্রদূত মসুদ মান্নান আশা প্রকাশ করে বলেন, ভবিষ্যতে হয়তো ইউরোপীয় ইউনিয়নে যেমন হয়েছে, তেমনি সার্কের মধ্যেও সাধারণ মানুষের জন্য এরকম (বিনা ভিসায় যাতায়াত) সুবিধা আসবে৷ তবে এটা হয়ত এখনই হবে না৷
বন সম্মেলনে ২০১৪ সালের পরবর্তী এক দশক আফগানিস্তানে সাহায্য অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে৷ বিশেষ করে সেদেশের নিরাপত্তা বাহিনীকে প্রশিক্ষণ দেয়া, অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং পুর্নমিলন প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিতে সহায়তা করবে বিভিন্ন দেশ এবং সংগঠন৷
আফগানিস্তানের পুনর্গঠনে সহায়তায় শ্রমশক্তি রপ্তানির বিষয়টিও বাংলাদেশ বিবেচনায় রাখছে৷ মসুদ মান্নান এই প্রসঙ্গে বলেন, যদি সড়ক এবং মহাসড়ক তৈরি করার ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব আফগান সরকারের কাছ থেকে বাংলাদেশ সরকার পায়, তাহলে তাদের সেই সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব অনুযায়ী সাহায্য করার জন্য বাংলাদেশ সরকার সহায়তার উদ্যোগ নেবে৷
মোট কথা, আফগানিস্তান একটি বড় দেশ৷ এই দেশের কোন কোন খাতে বাংলাদেশের সহায়তা সেদেশ চায়, সেই বিষয়ে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব আসতে হবে৷
প্রতিবেদন: আরাফাতুল ইসলাম
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক