1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আফগানিস্তানের শিক্ষাজগত

হান্স স্প্রোস/আরবি১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪

পাশ্চাত্যের দেশগুলির সহযোগিতায় আফগানিস্তানের শিক্ষাবিভাগ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে৷ বিশেষ করে জার্মানির অংশগ্রহণে এক্ষেত্রে অনেক লক্ষ্য পূরণ হয়েছে৷ আশা, এই ধরনের সহায়তা আগামী দশ বছরেও অব্যাহত থাকবে৷

Afghanistan Studenten der Universität in Kabul
ছবি: Getty Images

‘‘২০০১ সালে আফগানিস্তানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৪০০০৷ ছিলেন না কোনো ছাত্রী৷ বর্তমানে ২৬টি সরকারি ইউনিভার্সিটিতে ৮০.০০০ এরও বেশি শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছেন৷ এক দশকের মধ্যে এটা একটা বিরাট প্রসার৷'' বলেন জার্মান ছাত্র বিনিময় কর্মসূচি ডিএএডির আলেক্সান্ডার কুপ্ফার৷ আফগানিস্তানের বিশ্ববিদ্যালয় সেক্টরকে পুনর্গঠনের দায়িত্বে রয়েছেন তিনি৷

ঐতিহাসিক ও সামাজিক পরিবর্তন

অবশ্য কুপ্ফার অতিরিক্ত আশাবাদী হওয়ার ব্যাপারে সতর্ক করেন৷ তাঁর মতে, এখন আফগানিস্তানে ঐতিহাসিক ও সামাজিক দিক দিয়ে এক বিরাট পরিবর্তন শুরু হয়েছে৷ ইউরোপের শিল্প বিপ্লবের সঙ্গে তুলনা করা চলে একে৷ তবে কয়েক বছরের মধ্যে আফগানিস্তান উন্নয়নের দিক দিয়ে ইউরোপের সমমানের হয়ে উঠবে, এই আশা একেবারে অবাস্তব৷ এই জন্য কয়েক প্রজন্ম লেগে যাবে৷''

ছবি: AFP/Getty Images

আগামী দশ বছরে যা সম্ভব হতে পারে তা হলো, ‘‘শিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধি ও উন্নতমানের ব্যাচেলর ও মাস্টার্স ডিগ্রি চালু করা৷ ব্যাচেলর কোর্সের জন্য আরো মাস্টার্স ডিগ্রিধারী শিক্ষক প্রয়োজন৷ আর মাস্টার্স কোর্সের জন্য দরকার ডক্টরেট ডিগ্রিধারী শিক্ষক৷ আগামী দশ বছরের মধ্যে এই লক্ষ্যের অনেকটাই পূরণ হওয়া সম্ভব৷'' বলেন ডিএএডির কুপ্ফার৷

এই পর্যন্ত ডিএএডির পক্ষ থেকে বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রমের মাধ্যমে ৩০০০ আফগানকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে৷ আরো ৩০০০ বিশ্ববিদ্যালয় কর্মীকে তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে৷

জার্মানির সহায়তায় বহু কিছু অর্জিত হয়েছে

আফগান বিশ্ববিদ্যালয় মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আসিম নূরবখশ ডয়চে ভেলের সঙ্গে এক সাক্ষাত্কারে বলেন, ‘‘গত ১২ বছরে বন্ধুপ্রতীম জার্মানির সহায়তায় শিক্ষাক্ষেত্রে অনেক কিছু অর্জিত হয়েছে৷'' তাঁর ইচ্ছা ভবিষ্যতে আরো শিক্ষার্থীকে জার্মানিতে ডক্টরেট করার সুযোগ দেওয়া হোক৷ যাতে তাঁরা স্বদেশে ফিরে গিয়ে শিক্ষকতা করতে পারেন৷

আফগানিস্তানের শিক্ষার্থীদের জন্য জার্মানিতে ‘করেসপন্ডেন্স কোর্স' চালু করার ব্যাপারে আলাপ-আলোচনা চলছে৷ আফগানিস্তানের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে ভর্তির জন্য আবেদনকারীর সংখ্যা দিন দিন বেড়ে চলেছে৷ এতজনকে জায়গা দেওয়ার সামর্থ্য এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলির নেই৷ ২০১২ সালে ১৪০,০০০ আবেদনকারী ভর্তি পরীক্ষায় পাশ করেন৷ কিন্তু মাত্র ৪১,০০০ জনকে ভর্তি করা হয়৷ করেসপন্ডেন্স কোর্স চালু হলে এই সমস্যার কিছুটা সুরাহা হবে৷

জনসাধারণের অর্ধেকই শিশু কিশোর

আফগান জনসাধারণের ৫০ শতাংশ ১৫ বছর ও তারও কম৷ স্কুল শেষ করে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ছুটবে৷ তাদের সংখ্যাটা প্রতি বছরই বাড়ছে৷ সেই সময়ের জন্য এখনই প্রস্তুত হতে হবে৷ বলেন কুপ্ফার৷ তাঁর মতে, শিক্ষাক্ষেত্রে মূল্যবোধের পরিবর্তন করা উচিত৷ জার্মানির মতো আফগানিস্তানেও সামাজিক দিক দিয়ে মর্যাদাসম্পন্ন পেশার দিকে ঝুঁকতে চায় অনেকে৷ আর এই কারণে ডাক্তারি পড়ার জন্য ভিড় বাড়তে থাকে৷ কিন্তু নার্সিং-এর মতো সেবামূলক পেশাগুলিকে উপেক্ষা করা হয়৷ যেখানে এক্ষেত্রে কর্মীর অভাব প্রকট৷

জার্মানির আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা, জিআইজেড আফগানিস্তানে পেশাগত দিকটা দেখাশোনা করছে৷ কাবুলে কর্মরত সংস্থার মুখপাত্র গুস্টাফ রাইয়ারও মনে করেন, আফগানিস্তান অনগ্রসরতা কাটিয়ে উঠে সামনের দিকে বিরাট পদক্ষেপ দিয়েছে৷

তাঁর ভাষায়, ‘‘আমরা কিছুদিন আগে আমাদের কর্মসূচির অন্তর্গত ৫০টি পেশামূলক স্কুল পর্যবেক্ষণ করেছি৷ বিস্ময়ের সাথে অনেক নতুন স্কুল কিংবা নির্মীয়মান স্কুলভবন লক্ষ্য করেছি৷ যেগুলির সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই৷''

তালিবানদের ব্যাপারে আশঙ্কা তেমন বড় নয়

এই প্রসঙ্গে আফগানিস্তানের নিরাপত্তা ও তালিবানের উত্থানের সম্ভাবনাও এসে যায়৷ রাইয়ার অবশ্য এ ব্যাপারে তেমন উদ্বিগ্ন নন৷ তিনি বলেন, ‘‘আমরা এখানে জার্মান সেনাবাহিনী আসার আগে থেকেই কাজ করছি৷ আশা করি ২০১৪ সালের পরও এখানে কাজ করতে পারবো৷''

নারীশিক্ষা ও নারী উন্নয়নের ব্যাপারেও আশাবাদী তিনি৷ তালিবান জঙ্গিদের আমলের মতো পরিস্থিতি আর ফিরে আসবে না বলে মনে করেন জার্মান এই উন্নয়ন বিশেষজ্ঞ৷ জনগণই তাদের প্রতিরোধ করবে৷ গত ৩০ বছরে যা হারিয়েছে, সেটা এখন অনুভব করছেন তাঁরা৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

বাংলাদেশ