রাজধানী কাবুলের একটি ভোটার রেজিস্ট্রেশন সেন্টারে রোববার এই বোমা হামলায় কমপক্ষে ৩১ জন নিহত হয়েছেন৷ ইসলামিক স্টেট হামলার দায় স্বীকার করেছে৷
বিজ্ঞাপন
দেশটির জনস্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াহিদ মাজরো বার্তা সংস্থা এপি-কে জানিয়েছেন, আরো ৫৪ জন এই হামলায় আহত হয়েছেন৷ কাবুল পুলিশ প্রধান জেনারেল দাউদ আমিন বলেছেন যে, জাতীয় পরিচয়পত্র সংগ্রহের জন্য জড়ো হওয়া সরকারি এক ভবনের প্রবেশপথে দাঁড়িয়ে থাকা সাধারণ মানুষকে লক্ষ্য করে এই বোমা হামলা করা হয়৷
এছাড়া আশেপাশের বেশ কয়েকটি যানবাহনও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা গেছে৷
নিকটবর্তী হাসপাতালগুলোতে আহতদের চিকিৎসার জন্য নেয়া হয়৷ স্থানীয় টিভি চ্যানেলগুলোর ফুটেজে দেখা যায়, আহতদের শতাধিক আত্মীয়-পরিজন হাসপাতালগুলোতে জড়ো হয়েছেন৷
কাবুল থেকে কলকাতা – একটি আলোকচিত্র প্রদর্শনী
ঊনিশ শতকের মাঝামাঝি সময় থেকেই আফগানরা, যাঁদের গড়পড়তা বাঙালি কাবুলিওয়ালা নামেই চেনে, তাঁরা কলকাতায় আসতে শুরু করেন, গড়ে তোলেন বসতি৷ সেই কাবুলিওয়ালাদের নিয়েই এবার একটি আলোকচিত্র প্রদর্শনী মন কেড়েছে কলকাতার, কলকাতাবাসীর৷
ছবি: DW/S. Bandopadhyay
রেওয়াজ বদলায়নি আজও
আলোকচিত্র প্রদর্শনীটির নাম – ‘ফ্রম কাবুল টু কলকাতা, অফ বিলংগিং, মেমোরিস অ্যান্ড আইডেন্টিটি’৷ দুই সাংবাদিক-আলোকচিত্রী মোসকা নাজিব এবং নাজেস আফরোজের এই যৌথ উদ্যোগটি সত্যিই নজর কাড়ার মতো৷ ছবিতে একসঙ্গে খেতে বসেছেন কাবুলিওয়ালারা৷ যেমনটা রেওয়াজ ছিল কাবুলে৷ তার আগে সমবেত প্রার্থনা৷
ছবি: DW/S. Bandopadhyay
রবিবারের আড্ডা
বহুদিন আগে এই কাবুলিওয়ালারা কলকাতা শহর আর শহরতলিতে বাসা বেঁধেছিল, হয়ে উঠেছিল আমাদেরই একজন৷ ছবিতে দেখুন তাঁদের রবিবারের আড্ডা৷ কলকাতার গড়ের মাঠের ধারে৷
ছবি: DW/S. Bandopadhyay
কাবুলিওয়ালাদের নাচ
আড্ডার ফাঁকে মেজাজ বুঝে নেচে ওঠে পাজোড়া৷ কাবুলিওয়ালাদের নাচ৷ গড়ের মাঠে৷ অথচ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা বিখ্যাত ছোটগল্পটি বাদ দিলে, বাংলায় এই কাবুলিওয়ালাদের সমাজ সম্পর্কে প্রায় কিছুই লেখা হয়নি, বলা হয়নি৷
ছবি: DW/S. Bandopadhyay
পোশাকেই যাঁদের চেনা যায়
তবে সেই অভাব কিছুটা হলেও দূর করলেন দুই সাংবাদিক-আলোকচিত্রী মোসকা নাজিব এবং নাজেস আফরোজ৷ ছবিতে উঠে এলো তাঁদের সাজপোশাক৷ কেউ কেউ আজন্ম দেশের বাইরে, তবুও সাজপোশাকে দেশজ সংস্কৃতি ধরে রাখেন কলকাতার কাবুলিওয়ালারা৷
আফগান সামাজিক ঐতিহ্য মেনে, প্রবীণরা এখনও সবথেকে বেশি সম্মান পান পরিবারে, দলে৷
ছবি: DW/S. Bandopadhyay
প্রিয় খেলা ‘ক্রিকেট’
তৃতীয় বা চতুর্থ প্রজন্মের কাবুলিওয়ালাদের জন্ম কলকাতাতেই৷ সে জন্যই হয়ত তাঁদের প্রিয় খেলা ক্রিকেট৷
ছবি: DW/S. Bandopadhyay
আজকের কাবুলিওয়ালা
আলোকচিত্রী মোসকা নাজিব এবং নাজেস আফরোজের ক্যামেরায় ধরা পড়েছে এ সময়ের এক কাবুলিওয়ালাও৷ এ যেন এক ভিনদেশি সমাজের মুখ৷
ছবি: DW/S. Bandopadhyay
8 ছবি1 | 8
জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট বা আইএস-এর বার্তা সংস্থা আমাক নিউজ এজেন্সি হামলার দায় স্বীকার করে বিবৃতি দিয়েছে৷ তারা বলেছে যে, শিয়া ‘মুরতাদ'-দের লক্ষ্য করেই এই হামলা চালানো হয়েছে৷
আগামী অক্টোবরে সংসদীয় নির্বাচন হবার কথা রয়েছে আফগানিস্তানে৷ এরপর ২০১৯ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন৷ ভোটার নিবন্ধন শুরু হয়েছে এ মাসেই৷
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গত সপ্তাহেও দেশটির দু'টি রাজ্যের তিনজন পুলিশ কর্মকর্তাকে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা৷ তারাও ভোটার নিবন্ধন কাজে নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন৷
গত কয়েকবছরে আইএসের সমর্থনকারীদের ও তালেবানদের হামলা কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না আফগান নিরাপত্তা বাহিনী৷ তালেবানদের মূল লক্ষ্য সরকার ও নিরাপত্তা বাহিনী, এবং আইএসের লক্ষ্য শিয়া সম্প্রদায়৷ উভয় পক্ষই আফগানিস্তানে গণতান্ত্রিক নির্বাচনের বিরোধী৷
রোববার এছাড়াও দেশটির উত্তরের বাগলান রাজ্যের রাজধানী পুলি খোমরিতে বোমা হামলা হয়েছে৷ সেখানে পাঁচজন নিহত ও চারজন আহত হয়েছেন৷
এদিকে, শনিবার উত্তরের আরেক রাজ্য বালখে জঙ্গিদের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে পুলিশের একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা মারা গেছেন৷ তবে পুলিশ জানিয়েছে বন্দুকযুদ্ধ এখনো চলছে৷ বেশ কয়েকজন জঙ্গিও মারা গেছে৷
জেডএ/ডিজি (এপি)
কাবুলের পাখি বাজার
আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের বাসিন্দাদের জঙ্গি হামলাসহ নানান সংগ্রামের মুখোমুখি হতে হয়৷ তাইতো সাময়িক শান্তির খোঁজে পাখি পোষেন অনেক আফগান৷
ছবি: Reuters/M. Ismail
পুরনো শহরে
কাবুলের পুরনো অংশে কা ফারোশি নামে একটি পাখি মার্কেট আছে৷ পুরনো শহর বলে লেনগুলো সরু৷ সেখানেই ছোট, মাটির তৈরি দোকানগুলো সারি বেঁধে দাঁড়িয়ে আছে৷
ছবি: Reuters/M. Ismail
লড়াইয়ের মোরগ
কা ফারোশি মার্কেটে অনেক রকমের পাখি বিক্রি হয়৷ তবে ক্রেতাদের একটি বড় অংশের প্রিয় লড়াই করতে পারে এমন মোরগ৷ সবচেয়ে ভালো এমন একটি মোরগের দাম ১৪ হাজার ডলার (প্রায় সাড়ে ১১ লাখ বাংলাদেশি টাকা) পর্যন্ত হতে পারে বলে রয়টার্সকে জানিয়েছেন এক বিক্রেতা৷
ছবি: Reuters/M. Ismail
অন্যান্য পাখি
মোরগ ছাড়াও তিতির জাতীয় পাখি, ফিঞ্চ, গান গাইতে পারে এমন সব পাখির দেখা মেলে কা ফারোশি মার্কেটে৷
ছবি: Reuters/M. Ismail
শখ
রাফিউল্লাহ আহমাদি নামের এক পাখি বিক্রেতা বলছেন, পাখি পোষা আফগানিস্তানে একটি শখের মতো৷ ‘‘কেউ লড়াই করতে সক্ষম এমন মোরগ পুষতে পছন্দ করেন, কেউ পোষেন তিতির৷ এটা আফগানিস্তানের একটা রীতি,’’ বলেন তিনি৷
ছবি: Reuters/M. Ismail
সুকার তিতির
লালচে ধূসর রংয়ের এই পাখিটিও অনেকের বেশ প্রিয়৷ চোখ আর গলায় কালো রংয়ের দাগ, লাল ঠোঁট আর কালো ডোরা - এমন পাখি পোষার লোভ সামলানো সত্যিই কঠিন৷ তিতির জাতীয় এসব পাখি লড়াইয়ের জন্য পালন করা হয়৷
আফগানিস্তানের বিভিন্ন বনজঙ্গল থেকে পাখিদের কা ফারোশি মার্কেটে নিয়ে আসা হয়৷ লড়াইয়ের মোরগ আসে উত্তর আফগানিস্তান থেকে৷ এছাড়া পাকিস্তান ও ইরান থেকেও পাখি আমদানি করা হয়৷
ছবি: Reuters/M. Ismail
চাপ থেকে মুক্তি
পাখি ব্যবসায়ী জহির তানহা বলেন, কাবুলবাসীদের অনেক ধরনের চাপের মুখে পড়তে হয়৷ সেখান থেকে সাময়িক স্বস্তি পেতে তিনি পাখি পোষেন৷ তাঁর কাছে প্রায় ৫০টি কবুতর আছে৷ ‘‘আমার একটা মানসিক সমস্যা আছে৷ ডাক্তাররা আমাকে পাখি পালার পরামর্শ দিয়েছেন৷’’
ছবি: Reuters/M. Ismail
বার্ড ফ্লু?
গওহার খান নামের আরেক পাখি ব্যবসায়ী জানান, আফগানিস্তানের পাখিদের বার্ড ফ্লু নেই৷ তবে পাকিস্তান ও ইরান থেকে আসা পাখিদের বার্ড ফ্লু আছে৷