আফগানিস্তানে বাড়ছে পোস্ত চাষ
১৬ নভেম্বর ২০১৩![In this Feb. 2, 2012 photo released by the United Nations Office on Drugs and Crime (UNODC), opium poppies stand after being harvested at a field in Myanmar's Shan state. The cultivation of illegal opium has increased in Myanmar for a sixth successive year, fueled in part by rising demand for heroin across Asia, the U.N. report said Wednesday, Oct. 31, 2012. (Foto:UNODC/AP/dapd)](https://static.dw.com/image/16344904_800.webp)
আফগানিস্তান সম্পর্কে বার্ষিক প্রতিবেদনে জাতিসংঘ ড্রাগ সংস্থা ইউএনওডিসি জানিয়েছে, এ বছর আফগানিস্তানে ফসল উৎপাদন বেড়েছে ৩৬ ভাগ৷ আর হেরোইনের মূল উপাদান আফিম বা যা থেকে আফিম তৈরি হয়, অর্থাৎ পোস্তোর উৎপাদন গত বছরের চেয়ে বেড়েছে ৫০ ভাগ৷ তাই যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে ন্যাটো সেনারা আগামী বছর আফগানিস্তান ছেড়ে গেলে দেশটির নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা হুমকির মুখে পড়বে বলে আশঙ্কা করছে জাতিসংঘ৷
সংস্থাটি বলছে, চাষীরা তাঁদের অনিশ্চিত ভবিষ্যতের আশঙ্কায় সম্পদ বাড়াতে পপি বা পোস্তোর উৎপাদন বাড়াচ্ছে৷ কারণ তাঁদের ধারণা, ২০১৪ সালে আন্তর্জাতিক সেনাদের ফিরিয়ে নেয়া হলে আফগানিস্তান আবারো অস্থিতিশীল হয়ে উঠবে৷
রিপোর্টে বলা হয়েছে, গত বছর পোস্ত চাষ হয়েছিল ১ লাখ ৫৪ হাজার হেক্টর জমিতে, এ বছর চাষ হয়েছে ২ লাখ ৯ হাজার হেক্টর জমিতে৷ যে পরিমাণ আফিম উৎপাদন হয়েছে, তার আনুমানিক মূল্য অন্তত ৯৫ কোটি ডলার৷ রিপোর্টে বলা হয়েছে, মাদক পাচারকারীদের ব্যবসা লাভজনক হয়েছে, কেননা আফিমের বাজার আফগানিস্তানে বেশ চড়া৷
সংস্থার নির্বাহী পরিচালক ইউরি ফেদোতভ বলেছেন, এই মাদক সমস্যা সমাধানে সামঞ্জস্যপূর্ণ এবং সমন্বিত একটি সমাধানে পৌঁছাতে হবে৷ তাহলেই সেখানে দীর্ঘমেয়াদি নিরাপত্তা ও উন্নয়ন বজায় থাকবে৷ ২০০১ সালে আফগান যুদ্ধ শুরুর পর এবং লাখো বিদেশি সেনার উপস্থিতিতেও আফগানিস্তানে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি আফিম উৎপাদন হয়৷
বিশ্বের ৯০ শতাংশ আফিম উৎপাদন হয় আফগানিস্তানে৷ পপি বা পোস্ত চাষীদের কাছ থেকে যে কর আদায় করে তালেবান জঙ্গিরা তা দিয়ে তাদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে৷
পশ্চিমা মিত্রবাহিনীর সাথে আফগান সরকার বরাবরই আফিম চাষের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামলেও সাফল্য খুব সামান্যই এসেছে৷ তালেবানের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত দক্ষিণ ও পশ্চিমাঞ্চলের প্রদেশগুলোতেই বেশি পরিমাণে আফিম চাষ হয়৷
এপিবি/ডিজি (এপি,এএফপি)