1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কিয়োটো চুক্তি

ওয়াসলাত হসরত-নাজিমি/এসি২৭ জুন ২০১৩

অন্তত আইনত, এবং তা এই সপ্তাহেই৷ গত এপ্রিলে দেশটি কিয়োটো চুক্তিতে যোগদান করে৷ জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষেত্রে বিশ্বের বিপন্নতম দেশগুলির মধ্যে একটি হলো এই আফগানিস্তান৷ যদিও কাবুলের উপরে ধোঁয়াশা বহুদূর অবধি চোখে পড়ে আজও৷

Pir Mohammad, left, and his son Saifullah, 10, clean pebbles out of harvested wheat in Murgham, Afghanistan Sunday, July 28, 2002. Agriculture dependent villagers are hoping for an end to Afghanistan's four year draught. (AP Photo/ Tomas van Houtryve)
ছবি: AP

শহরে ঢুকলে, বাড়ি-গাড়ির উপর পুরু ধুলার আস্তরণ৷ লোকে রুমালে মুখ ঢেকে রাস্তায় চলাফেরা করে, যাতে নিঃশ্বাসের সঙ্গে ধুলোবালি নাকে না ঢোকে৷ কাবুলে পার্ক কি ময়দান নেই বললেই চলে, পয়ঃপ্রণালীও মান্ধাতার আমলের৷ পথের ধারে খোলা নালা-নর্দমায় গিয়ে পড়ে বাড়ির আবর্জনা৷

আফগানিস্তানের জাতীয় পরিবেশ সুরক্ষা সংস্থা নেপা বলছে, প্রতিবছর শহরের প্রায় তিন হাজার মানুষ শ্বাসপ্রশ্বাসের সমস্যা জনিত রোগে প্রাণ হারান৷ কাবুলের বাতাসে ‘পার্টিকুলেট ম্যাটার' বা ধুলাজাতীয় কণিকা, সংক্ষেপে পিএম-এর কাউন্ট হল ১৯০, যেখানে খোদ বেইজিংয়ের পিএম কাউন্ট গড়ে ১২১ - এ পরিসংখ্যান দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংগঠন ডাব্লিউএইচও স্বয়ং৷

জলবায়ু সংক্রান্ত সামগ্রিক চিত্রটাও খুব আশাব্যঞ্জক নয়ছবি: picture-alliance/dpa

জলবায়ু সংক্রান্ত সামগ্রিক চিত্রটাও খুব আশাব্যঞ্জক নয়৷ জাতিসংঘের পরিবেশ কর্মসূচি ইউএনইপি বলেছে, ১৯৮৯ সাল যাবৎ প্রায় ৬৭ লাখ আফগান বিভিন্ন দুর্যোগের মুখে পড়েছে: তার মধ্যে খরা ও ভূমিকম্প থেকে শুরু করে মহামারী কি দুস্তর শীত, সবই ধর্তব্য৷ হিমালয়ের হিমবাহগুলি গলতে থাকার ফলে খরার প্রকোপ আরো বেড়েছে৷

অপরদিকে আফগানদের ৮০ শতাংশ তাদের জীবিকার জন্য সরাসরিভাবে প্রাকৃতিক সম্পদের উপর নির্ভর৷ জনসংখ্যার ৬০ শতাংশ কৃষির উপর নির্ভর৷ জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে যে ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে এবং হয়েছে, তা আরো বেড়েছে একটানা চার দশক গৃহযুদ্ধের ফলে৷

আফগানিস্তানের বড় শহরগুলিতে বায়ু দূষণ একটা মূল সমস্যা৷ শহরগুলি বাদ দিলে, দেশের বাকি অঞ্চলে বায়ু দূষণ বাস্তবিকই খুব কম, কেননা শিল্পায়ন কিংবা যানবাহনও কম৷ বলতে কি, বাসিন্দা প্রতি কার্বন নির্গমনের বিচারে আফগানিস্তান বিশ্বের নিম্নতম দেশগুলির মধ্যে গণ্য: মাথাপিছু শূন্য দশমিক দুই টন৷ কিন্তু তাই বলে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব আফগানিস্তানে কিছু কম নয়: গত কয়েক বছরে দেশে গড় তাপমাত্রা বেড়েছে শূন্য দশমিক তেরো ডিগ্রি৷

কিয়োটো চুক্তিতে যোগদানের ফলে আফগানিস্তানকে যে কার্বন নির্গমন কমানোর কোনো বাধ্যতামূলক লক্ষ্য নির্দেশ করতে হবে, এমন নয়, কেননা দেশটি উন্নয়নশীল দেশগুলির মধ্যে পড়ে৷ অপরদিকে আফগানিস্তানকে গ্রিনহাউস গ্যাসগুলির নির্গমন কমানোর একটা পরিকল্পনা নিতে হবে, যার মধ্যে জ্বালানি ও পরিবহণ এসে পড়বে৷

কাবুলের উপরে ধোঁয়াশা বহুদূর অবধি চোখে পড়েছবি: DW/H. Sirat

জাতিসংঘ সৌরশক্তি, বায়ুশক্তি ও অপরাপর নবায়নযোগ্য শক্তির উৎসের বিকাশের জন্য সাহায্য দিয়ে থাকে৷ কাবুলে একটি নতুন পরিবেশ প্রতিষ্ঠান এই সব বিষয়ে জনগণের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানোর জন্য সচেষ্ট হবে৷ জাতীয় পরিবেশ সুরক্ষা সংস্থা নেপার জলবায়ু পরিবর্তন বিভাগের প্রধান গুলাম হাসান আমিরি বলেছেন, ‘‘প্রথমে আমাদের আফগান সমাজে পরিবেশ সংরক্ষণের একটা ধারা সৃষ্টি করতে হবে৷''

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ