1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আফগানিস্তানে জার্মানির ভূমিকা কী?

২০ মার্চ ২০১৯

যখন যুক্তরাষ্ট্র ও তালিবানের প্রতিনিধিরা সৈন্য প্রত্যাহারের আলোচনা করছে তখন জার্মানি ভাবছে ভিন্নভাবে৷ তারা বরং যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটি নিয়ে আরো কাজ করতে চাইছে৷

Afghanistan Bundeswehrsoldaten in Masar-I-Scharif
ছবি: picture-alliance/dpa/M. Kappeler

২০০১ সালে মার্কিন নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক সশস্ত্রবাহিনী যখন আফগানিস্তানে প্রবেশ করে এবং তালিবানদের ক্ষমতাচ্যুত করে, তখন থেকেই দেশটির অভ্যন্তরীণ ইস্যু নিয়ে কাজ করছে জার্মানি৷ এখন পর্যন্ত বন শহরে আফগানিস্তান নিয়ে দু'টি আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে৷ দু'টোতেই তালিবান প্রতিনিধিদের হাজির করতে ব্যর্থ হয়েছে জার্মানি৷

এখন যখন দেশটিতে শান্তি আলোচনা এগোচ্ছে তখন আরেকটি সম্মেলন করার উদ্যোগ নিচ্ছে জার্মানি, যেখানে আশা করা হচ্ছে যে, এবার অন্তত তালিবান প্রতিনিধি থাকবেন৷

এখন পর্যন্ত মার্কিনিদের সঙ্গে কয়েক দফা আলোচনায় অংশ নিয়েছে তালিবানরা৷ কিন্তু ফলপ্রসূ হয়নি৷ সবশেষ গত ১১ মার্চে ১৬ দিনের আলোচনা শেষে তালিবান ও মার্কিন প্রতিনিধিরা ঘোষণা দেন যে, সেনা প্রত্যাহার ও সহিংসতা বন্ধের বিষয়ে ইতিবাচক অগ্রগতি হয়েছে৷

সম্প্রতি ন্যাটোর আফগানিস্তানের সেনাবাহিনীকে প্রশিক্ষণ, পরামর্শ ও অন্যান্য সহযোগিতা দেবার বিষয়ে জার্মানি বড় ভূমিকা পালন করেছে৷ মাজার-ই-শরীফে আন্তর্জাতিক সেনাদলগুলোর মধ্যে জার্মানিরটি আকারের দিক থেকে দ্বিতীয়৷ প্রায় ১২০০ সৈন্য আছে এ দলটিতে৷

জার্মান কর্মকর্তারা অবশ্য মনে করেন, এত দ্রুত আফগান সমস্যা সমাধান হবার নয়৷

‘‘এখনও শুধু প্রাথমিক আলোচনাই চলছে৷ আসল শান্তি আলোচনা তালিবান ও আফগান সরকারের প্রতিনিধিদের মধ্যে হবে,'' আফগানিস্তানে জার্মানির সাবেক রাষ্ট্রদূত মার্কুজ পোটসেল বলেন৷

মার্কিনিরা সেনা প্রত্যাহার করতে চাইছে অথবা সেনা সংখ্যা একেবারে কমিয়ে আনতে চাইছে৷ আফগান সরকার ও অনেক পশ্চিমা দেশ মনে করে যে, এতে তালিবানদের সঙ্গে তড়িঘড়ি করে একটি শান্তি চুক্তির পথ তৈরি হচ্ছে৷

ওয়াশিংটনভিত্তিক উড্রো উইলসন সেন্টার ফর স্কলারসের দক্ষিণ এশিয়া বিশেষজ্ঞ মাইকেল কুগেলমান বলেন, ‘‘যদি যুক্তরাষ্ট্র সৈন্য প্রত্যাহার করে নেয় এবং তাদের দেখাদেখি অন্যরাও করে, তাহলে জার্মানিকেও করতে হবে৷''

মাসুদ সাইফুল্লাহ/জেডএ

২০১৭ সালের ছবিঘরটি দেখুন: 

 

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ