আফগানিস্তানে জার্মান সৈনিকদের সামনে সস্ত্রীক গুটেনব্যার্গ
১৩ ডিসেম্বর ২০১০গুটেনব্যার্গই প্রথম জার্মান মন্ত্রী যিনি স্ত্রীসহ আফগানিস্তানে কর্মরত জার্মান সৈনিকদের সঙ্গে দেখা করলেন৷ মাজারই শরীফ আর গোলযোগপীড়িত কুন্দুস দুই জায়গাতেই জার্মান সৈন্যদের সঙ্গে মিলিত হন মন্ত্রী ও তাঁর স্ত্রী স্টেফানি৷ স্ত্রীকে সঙ্গে নেয়ার কারণ উল্লেখ করতে গিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘‘স্বেচ্ছায় তিনি সঙ্গী হয়েছেন৷ সৈন্যরাও বারবার এই ইচ্ছার কথা জানিয়েছিলেন৷'' তিনি বলেন, তাঁদের এই যৌথ সফরের উদ্দেশ্য হলো এই বিষয়টাই তুলে ধরা যে, সৈনিকদের কর্মতৎপরতা শুধু রাজনৈতিকভাবেই সমর্থিত নয়, তার বাইরেও তাদের কাজের প্রতি সমর্থন রয়েছে৷'' গুটেনব্যার্গ প্রসঙ্গত উল্লেখ করেন যে, প্রতিরক্ষামন্ত্রীর স্ত্রী সৈনিকদের পক্ষে সংশ্লিষ্ট হবেন, এর একটা দীর্ঘ ঐতিহ্য রয়ে স্টেফানি সু গুটেনব্যার্গ তাঁর এই প্রথম আফগানিস্তান সফরে জার্মান সৈনিকদের তৎপরতার একটা ছবি পেতে চেয়েছেন৷ চেয়েছেন সরেজমিনে তাঁদের ধন্যবাদ জানাতে৷ আফগানিস্তানে বিপদের ব্যাপারটা তাঁর অজানা নয়৷ তবে কোন রকম ভয়ভীতি নিয়ে তিনি সেখানে যাননি, জানান তিনি৷''
উত্তর আফগানিস্তানে সৈনিকদের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে মন্ত্রী তাঁদের কাজের জন্য ধন্যবাদ জানান৷ তিনি বলেন, ‘‘যাঁরা স্বদেশ থেকে হাজার হাজার কিলোমিটার দূরে দূরূহ এই দায়িত্ব পালন করছেন, এই ক্রিসমাসের সময় তাদের প্রতি স্বীকৃতি আর সমর্থন প্রকাশ করাটা গুরুত্বপূর্ণ৷
প্রতিরক্ষামন্ত্রী গুটেনব্যার্গ বলেন, ২০১১ সাল শেষ হবার মুখে আফগানিস্তান থেকে জার্মান সৈন্য সরিয়ে আনার কাজ শুরু হবে পরিকল্পনামত৷ তবে এই সময়সূচির ওপর মাত্রাধিক জোর আরোপ করার ব্যাপারে তিনি সতর্ক করে দিয়েছেন৷গুটেনব্যার্গ আফগানিস্তানে সাফল্যের কথা আবারও উল্লেখ করেন৷ তবে একথাও তিনি স্মরণ করিয়ে দেন যে, পথটা খুবই কষ্টসাধ্য৷ তাই সাফল্য এলে তা নিয়ে মাত্রাধিক আনন্দে উল্লসিত হবার কোন কারণ নেই৷ তিনি বলেন, ২০১১ সালে আফগানিস্তানে আরও অগ্রগতি হবে বলে তাঁর আশা৷ তবে পরিস্থিতি পুরোপুরি বদলে যাবে বলে তিনি মনে করেন না৷
২০০৯ সালে প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে এ নিয়ে সাতবার আফগানিস্তান সফর করলেন৷তাঁর সঙ্গী হিসেবে আরও রয়েছেন লোয়ার স্যাক্সনি আর স্যাক্সনি-আনহাল্ট রাজ্যের দুই মুখ্যমন্ত্রী৷ গেছেন বিশিষ্ট টেলিভিশন উপস্থাপক ইয়োহানেস বি. ক্যার্নার৷ তিনি আফগানিস্তানেই মন্ত্রী ও জার্মান সৈনিকদের নিয়ে একটি টক শো রেকর্ড করছেন৷
প্রতিবেদন: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ