সুদীর্ঘ ১৩ বছর ধরে জার্মান সেনাবাহিনী আফগানিস্তানে শান্তিরক্ষার কাজে নিযুক্ত ছিল৷ আজ যখন জার্মান সৈন্যরা যুদ্ধপীড়িত দেশটি থেকে বিদায় নিচ্ছে, তখন আফগানিস্তানের ভবিষ্যৎ যে বিশেষ সুনিশ্চিত মনে হচ্ছে, তা কিন্তু নয়৷
বিজ্ঞাপন
জার্মান সৈন্যরা মূলত নিযুক্ত ছিল উত্তরের কুন্দুস প্রদেশে৷ ২০১৩ সালের অক্টোবর মাসে সেখান থেকে জার্মান সৈন্যরা সরে যাবার পর প্রদেশটির নিরাপত্তা পরিস্থিতি আরো খারাপ হয়েছে৷ জার্মান সেনাবাহিনীর কল্যাণে যারা চাকরি পেয়েছিল, তারাও এখন বেকার৷
আফগানরা যে জার্মান সৈন্যদের আসন্ন প্রস্থানের কথা জানত না, এমন নয়৷ এখন তা সত্যিই বাস্তব হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ প্রথমে জার্মান সৈন্যরা উত্তরের কিছু এলাকা থেকে সরে আসে; এবার তারা মাজার-ই-শরিফে তাদের শেষ ঘাঁটিটিও পরিত্যাগ করেছে৷ যেন একটা যুগ শেষ হতে চলেছে৷
আফগানিস্তানে নিয়োজিত জার্মান সৈন্যদের সংখ্যা দাঁড়িয়েছিল শেষমেষ চার হাজার দু'শো৷ এখনও সাড়ে আটশো জার্মান সৈন্য থেকে যাবেন স্থানীয় আফগান সৈন্যদের প্রশিক্ষণ দেবার ও সাহায্য করার জন্য৷
নিরাপত্তা ও পুনর্নির্মাণ
জার্মান সৈন্যরা আফগানিস্তানে আসে ন্যাটো-র নেতৃত্বাধীন আইসাফ সেনাবাহিনীকে সাহায্য করার উদ্দেশ্যে, তবে জার্মান সৈন্যরা পুনর্নির্মাণের কাজেও সাহায্য করেছে৷ পশ্চিমি বিশ্ব চেয়েছিল আফগানিস্তানে ইসলামপন্থিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধজয় করে সেটাকে আন্তর্জাতিক মঞ্চে সাফল্য হিসেবে পরিবেশন করতে – বললেন বার্লিনের জার্মান ইনস্টিটিউট ফর ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড সিকিউরিটি অ্যাফেয়ার্স বা এসডাবলিউপি-র এক বিশেষজ্ঞ৷
ফিলিপ ম্যুঞ্চ ডয়চে ভেলেকে আরো বলেন যে, পশ্চিমের আফগানিস্তান সম্পর্কে বিশেষ কোনো ধারণা ছিল না এবং কোনো স্পষ্ট নীতি বা কৌশলও ছিল না: ‘‘কাজেই জার্মান সরকার প্রথাগত পন্থায় কাজ করেন এবং প্রধানত অকুস্থলে যা ঘটছে, সে অনুযায়ী সক্রিয় হন৷'' এবং তা কিছুদিনের জন্য কাজও করে, অন্তত ২০০২ থেকে ২০০৬ সাল অবধি৷ তারপর বিদ্রোহ আবার জোরদার হতে শুরু করে৷
ফলে জার্মান সেনাবাহিনীকে আফগানিস্তানে তাদের সামরিক উপস্থিতি ও শক্তি বাড়াতে হয় – নয়ত বিভিন্ন সামরিক ও বেসামরিক লক্ষ্যের ওপর তালেবানের ক্রমাগত হানার সামাল দেওয়া সম্ভব হত না৷ আইসাফ-এর মুখ্য উদ্দেশ্যই ছিল বেসামরিক ব্যক্তিদের সুরক্ষা দেওয়া এবং দেশের পুনর্নির্মাণে সাহায্য করা: তালেবানদের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধে সংশ্লিষ্ট হওয়া নয়৷
আফগানিস্তান ত্যাগ করছে জার্মান সেনাবাহিনী
আফগানিস্তানে জার্মান সামরিক বাহিনী ‘বুন্ডেসভেয়ার’ এর কম্ব্যাট মিশন শেষ হচ্ছে ২০১৪ সালে৷ তাই সেনাসদস্যদের সঙ্গে কয়েক হাজার টন যুদ্ধ উপকরণ এবং অন্যান্য পণ্যও ফেরত আনতে হবে৷ বিছানা থেকে শুরু করে বিশাল ট্যাংক রয়েছে তালিকায়৷
ছবি: cc-by/Sebastian Wilke/Bundeswehr
বিশাল কর্মযজ্ঞ
জার্মান সেনাবাহিনীর সাড়ে চার হাজারের মতো সেনা সদস্য, সতের শত যান এবং ছয় হাজারের মতো কন্টেইনার রয়েছে আফগানিস্তানে৷ ২০১৪ সালে আফগানিস্তানে আন্তর্জাতিক বাহিনী আইসাফ এর কর্মকাণ্ড শেষ হওয়ার আগেই জার্মান সেনাবাহিনীর অনেক সম্পদ ফিরিয়ে আনা হবে৷ এই সম্পদের মধ্যে মেশিনগান থেকে শুরু করে পঞ্চাশ টন ওজনের ট্যাংক রয়েছে৷
ছবি: cc-by-nd/Bundeswehr/Bienert
ট্রাবজন হাব
হিন্দুকুশ থেকে বিভিন্ন পণ্য ফিরিয়ে আনতে জার্মানি যে দুটি হাব ব্যবহার করছে তার একটি তুরস্কের ট্রাবজন৷ এই বন্দর হয়ে জার্মানিতে পৌঁছাবে বুন্ডেসভেয়ার-এর বিভিন্ন পণ্য৷ তবে আফগানিস্তান থেকে ট্রাবজন পর্যন্ত পণ্য পৌঁছানোর প্রক্রিয়া সহজ নয়৷
ছবি: cc-by-nd/Sebastian Wilke/Bundeswehr
পর্যায়ক্রমে প্রত্যাহার
গত এগারো বছরের বেশি সময় ধরে আফগানিস্তানে অবস্থান করছে জার্মান সেনাবাহিনী৷ তাদেরকে মূলত সেদেশের উত্তরে মোতায়েন করা হয়েছিল৷ ইতোমধ্যে অনেক ক্যাম্প খালি করা হয়েছে৷
ছবি: cc-by-nd/Bundeswehr/Bienert
সবাই সম্ভবত ফিরছেন না
২০১৪ সালের শেষ নাগাদ সম্ভবত সকল জার্মান সেনা ঘরে ফিরবেন না৷ জার্মানি আইসাফের ম্যান্ডেট মেনে আটশো সেনা আরো দীর্ঘ সময়ের জন্য আফগানিস্তানে রাখতে পারে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
সব পণ্য ফিরবে না
আফগানিস্তানে পাঠানো কিছু জার্মান পণ্য ফেরত আনা হবে না৷ কিছু পণ্য বিক্রি অথবা ধ্বংসে করে ফেলা হবে৷ তবে অস্ত্রশস্ত্র কন্টেইনারে ভরে নিয়ে আসা হবে৷ ইতোমধ্যে এসব পণ্য জমা করা শুরু হয়েছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
আরেক হাব: মাজার-ই-শরিফ
আফগানিস্তান থেকে জার্মান সেনাবাহিনীর পণ্য ফিরিয়ে আনার আরেকটি হাব হচ্ছে মাজার-ই-শরিফ৷ সে দেশের চতুর্থ বড় এই শহর থেকে অধিকাংশ পণ্য বিমানে পরিবহন করা হচ্ছে৷ তবে পাকিস্তান, উজবেকিস্তান এবং তাজাকিস্তান হয়ে সড়ক পথেও কিছু পণ্য ফেরত আনা হবে৷ তবে নিরাপত্তার কারণে বেশি পণ্য এভাবে পরিবহন হবে না৷
ছবি: picture-alliance/dpa
রক্ষণাবেক্ষণ এবং জীবাণুমুক্তকরণ
জার্মান সেনাবাহিনীর এসব পণ্যের মাধ্যমে আফগানিস্তান থেকে কোন জীবাণু যাতে জার্মানিতে প্রবেশ করতে না পারে, সে জন্য এসব পণ্য জীবাণুমুক্ত করা হবে৷ জার্মানিতে এসব পণ্য প্রবেশের আগেই এটা করা হবে৷
ছবি: Bundeswehr - PIZ SKB/Foto: Vanita Schanze
বিমানে আফগানিস্তান ত্যাগ
বড় এবং ভারি যানবাহন পরিবহনের মতো বিমান জার্মান সামরিক বাহিনীর নেই৷ ফলে ছবির এই বিশাল সামরিক যান পরিবহনের জন্য একটি ইউক্রেনীয়-রাশিয়ান কনসর্টিয়ামের সহায়তা নেওয়া হচ্ছে৷ এই ব্যবস্থায় প্রত্যেক উড়ালে ৩৭ মিটার দীর্ঘ জায়গায় ১৫০ টন পণ্য পরিবহন সম্ভব হচ্ছে৷
ছবি: cc-by-nd/Bundeswehr/Weinrich
সরাসরি জার্মানিতে ফেরত
অস্ত্র এবং কারিগরিভাবে সংবেদনশীল বিভিন্ন পণ্য বিমানে আফগানিস্তানের মাজার-ই-শরিফ থেকে সরাসরি জার্মানিতে ফেরত আনা হচ্ছে৷ ছবির ট্যাংকটি এই সুবিধা পাচ্ছে৷
ছবি: cc-by-nd/Bundeswehr/Schmidt.
বাকি পণ্য আসছে তুরস্ক হয়ে
অস্ত্রবিহীন গাড়ি, রেডিও এবং তাঁবুর মতো পণ্য সরাসরি জার্মানিতে আনা হচ্ছে না৷ আফগানিস্তান থেকে বিমানে এগুলো তুরস্কের ট্রাবজন বন্দরে আনা হচ্ছে৷
ছবি: cc-by/Sebastian Wilke/Bundeswehr
জাহাজে প্রত্যাবর্তন
ট্রাবজন বন্দরে জার্মান সেনাবাহিনীর জন্য কাজ করছেন ১৭০ ব্যক্তি৷ এই বন্দর থেকে ত্রিশ হাজার বর্গমিটার পণ্য জাহাজে জার্মানিতে পাঠাতে কাজ করছেন তারা৷ সমুদ্রপথে বিভিন্ন পণ্য ট্রাবজান থেকে জার্মানিতে পোঁছাতে সময় লাগে দুই সপ্তাহের মতো৷
ছবি: Bundeswehr - PIZ SKB/Foto: Vanita Schanze
11 ছবি1 | 11
কিছুটা সাফল্য
বন বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর ডেভেলপমেন্ট রিসার্চ-এর আফগানিস্তান বিশেষজ্ঞ কনরাড শেটার অবশ্য আইসাফ-এর আফগানিস্তান অভিযানকে পুরোপুরি ব্যর্থ বলে গণ্য করতে রাজি নন৷ ‘‘আন্তর্জাতিক সেনাবাহিনী কিছু কিছু এলাকায় বিপুল সাফল্য পেয়েছে, যেমন উত্তর আফগানিস্তানে কিছুটা নিরাপত্তা অর্জিত হয়েছে'', বলেন শেটার৷
ম্যুঞ্চ-ও ঠিক তা-ই মনে করেন: ‘‘অন্তত একটা নতুন গৃহযুদ্ধ এড়ানো সম্ভব হয়েছে৷ জার্মান সেনাবাহিনী এবং আইসাফ সৈন্যদের উপস্থিতির ফলে স্থানীয় গোষ্ঠীপতিরা অন্তত শান্ত থেকেছেন এবং পরস্পরের বিরুদ্ধে অথবা সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করেননি৷''
জনপ্রিয়তা কমছিল
অপরদিকে জার্মান সেনাবাহিনীর আফগানিস্তান অভিযান স্বদেশে জনগণের কাছে ক্রমেই তার সমর্থন হারাচ্ছিল৷ শুধু অভিযানে অর্থব্যয়ের দিকটাই নয়, ক্রমেই আরো বেশি জার্মান সৈন্যদের নিহত হওয়ার ঘটনা জার্মানির নাগরিকদের আফগানিস্তান অভিযানের প্রতি বিমুখ করে তোলে৷
ইউক্রেনের মতো নতুন সংঘাত দেখা দেবার পরে আফগানিস্তানের প্রতি মনোযোগ আরো সীমিত হবে৷ তবে জার্মান কর্মকর্তারা কাবুল সরকারকে আশ্বাস দিয়েছেন যে, আফগানিস্তানকে পুরোপুরি অবহেলা করা হবে না৷ তবুও আগামীতে আফগানিস্তানের কপালে কি আছে, তা আপাতত বলা সম্ভব নয়৷
আফগানিস্তানে জীবন ও যুদ্ধ
দীর্ঘদিন ধরে আফগানিস্তানের ছবি তুলছেন ইরানের ফটোগ্রাফার মাজিদ সাঈদি৷ ছবিগুলো অনেক আন্তর্জাতিক পুরস্কারও এনে দিয়েছে তাঁকে৷ চলুন তাঁর ক্যামেরার চোখে দেখা যাক আফগানিস্তানকে৷
ছবি: Majid Saeedi
খেলনা!
কাবুলে যু্দ্ধাহতদের জন্য তৈরি একটা নকল হাত নিয়ে খেলছে দুই কিশোরী৷ এমন কিছু ছবিই তেহরানের মাজিদ সাঈদিকে এনে দিয়েছে বেশ কিছু পুরস্কার৷
ছবি: Majid Saeedi
ছবিই বলে হাজার কথা
১৬ বছর বয়স থেকে ছবি তুলছেন মাজিদ৷ মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধের কারণে মানবিক বিপর্যয়ের দিকেই তাঁর সমস্ত মনযোগ৷ জার্মানির ডেয়ার স্পিগেল, যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক টাইমসের মতো ম্যাগাজিন এবং আন্তর্জাতিক পত্রিকায় ছাপা হয় তাঁর তোলা ছবি৷
ছবি: Majid Saeedi
আফগানিস্তানের শিশুরা
ডিডাব্লিউকে সরবরাহ করা মাজিদের ছবির অনেকগুলোতেই ফুটে উঠেছে আফগান শিশুদের জীবনে যুদ্ধের প্রভাব৷ এ ছবিটি যুদ্ধের কারণে হাত হারানো এক আফগান শিশুর৷
ছবি: Majid Saeedi
মাদকের অভিশাপ
আফগানিস্তানের খুব বড় এক সমস্যা মাদক৷ বলা হয়ে থাকে বিশ্বের শতকরা ৯০ ভাগ মাদকদ্রব্যই নাকি উৎপন্ন হয় আফগানিস্তানে৷ বিশ্বে সবচেয়ে বেশি আফিম হয় দেশটিতে৷ দেশের অনেক নাগরিক আফিমসেবী৷ জাতিসংঘের দেয়া তথ্য অনুযায়ী আফগানিস্তানের অন্তত তিন লক্ষ শিশু নিয়মিত আফিম সেবন করে৷
ছবি: Majid Saeedi
রোল কল
কাবুলের এক অ্যাকাডেমিতে প্রশিক্ষণ শুরুর আগে ক্যাডেটদের রোল কল চলছে৷ জার্মান সেনাবাহিনী ‘বুন্ডেসভেয়ার’ আফগান নিরাপত্তাকর্মীদের অনেক আগে থেকেই প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছিল৷ প্রশিক্ষণের লক্ষ্য, আফগান সেনাবাহিনী এবং পুলিশকে দেশের নিরাপত্তা রক্ষায় আত্মনির্ভরশীল করে তোলা৷ ২০১৪ সালের শেষেই অবশ্য আফগানিস্তান থেকে নিজেদের সেনা সদস্যদের প্রত্যাহার করে নিয়েছে জার্মানি৷
ছবি: Majid Saeedi
ভয়ংকর শৈশব
স্কুলে লেখাপড়া করতে যাওয়ার সুযোগ শিশুদের কমই মেলে৷ স্কুলে গেলে নগণ্য কারণেও হতে হয় শিক্ষকের কঠোর শাসনের শিকার৷ তা সহ্য করেও পুরো সময় থাকা হয়না, পরিবারের জন্য টাকা রোজগার করতে আগেভাগেই স্কুল থেকে বেরিয়ে পড়তে হয় তাদের৷ আফগানিস্তানে শিক্ষার হার খুবই কম৷ ২০১১ সালে জার্মান সরকারের উদ্যোগে একটি তথ্যবিবরণী প্রকাশ করা হয়েছিল৷ তখন আফগানিস্তানের শতকরা ৭২ ভাগ পুরুষ আর ৯৩ ভাগ নারীই ছিল নিরক্ষর৷
ছবি: Majid Saeedi
বোরখা এবং পুতুল
আফগান নারীরা পুতুল বানাতে শেখার ক্লাসে৷ মালয়েশিয়ার একটি বেসরকারি সংস্থার অর্থায়নে এখানে পুতুল বানাতে শেখানো হয় তাঁদের৷ আফগান নারীদের অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করার জন্যই এ উদ্যোগ৷
ছবি: Majid Saeedi
তালেবানের প্রতিশোধ
২০১১ সালে ওসামা বিন লাদেনকে হত্যা করার পরই আফগানিস্তানে হামলা চালায় তালেবান৷ প্রতিশোধমূলক সে হামলায় প্রাণ যায় চারজনের, আহত হয়েছিলেন ৩৬ জন৷ ছবিতে দু’জন আহতকে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে দেখা যাচ্ছে৷
ছবি: Majid Saeedi
খেলাধুলা
হাড়ভাঙা খাটুনি শেষে একটু বিশ্রাম৷ আফগানিস্তানে শরীর চর্চা খুব জনপ্রিয়৷
ছবি: Majid Saeedi
যুদ্ধের আবাদ
গত ৩০টি বছর ভীষণ প্রভাব ফেলেছে আফগানদের জীবনে৷ জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই দেখা যায় যুদ্ধের প্রভাব৷
ছবি: Majid Saeedi
মাদ্রাসা
কান্দাহারের মাদ্রাসায় অধ্যয়নরত শিশুরা৷
ছবি: Majid Saeedi
হত্যার প্রশিক্ষণ
কুকুরের লড়াইও আফগানিস্তানে খুব জনপ্রিয়৷ কুকুরদের এমনভাবে লড়াই করতে শেখানো হয় যাতে তারা প্রতিপক্ষকে একেবারে মেরে ফেলে৷ কুকুরের জীবনেও যুদ্ধের প্রভাব!