1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আফগানিস্তানে জার্মান সৈন্যদের মিশন শেষ

ওয়াসলাত হজরত-নাজিমি/এসি২৯ ডিসেম্বর ২০১৪

সুদীর্ঘ ১৩ বছর ধরে জার্মান সেনাবাহিনী আফগানিস্তানে শান্তিরক্ষার কাজে নিযুক্ত ছিল৷ আজ যখন জার্মান সৈন্যরা যুদ্ধপীড়িত দেশটি থেকে বিদায় নিচ্ছে, তখন আফগানিস্তানের ভবিষ্যৎ যে বিশেষ সুনিশ্চিত মনে হচ্ছে, তা কিন্তু নয়৷

Afghanistan Zeremonie Ende NATO Mission ISAF Campbell 28.12.2014
ছবি: Reuters/Omar Sobhan

জার্মান সৈন্যরা মূলত নিযুক্ত ছিল উত্তরের কুন্দুস প্রদেশে৷ ২০১৩ সালের অক্টোবর মাসে সেখান থেকে জার্মান সৈন্যরা সরে যাবার পর প্রদেশটির নিরাপত্তা পরিস্থিতি আরো খারাপ হয়েছে৷ জার্মান সেনাবাহিনীর কল্যাণে যারা চাকরি পেয়েছিল, তারাও এখন বেকার৷

আফগানরা যে জার্মান সৈন্যদের আসন্ন প্রস্থানের কথা জানত না, এমন নয়৷ এখন তা সত্যিই বাস্তব হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ প্রথমে জার্মান সৈন্যরা উত্তরের কিছু এলাকা থেকে সরে আসে; এবার তারা মাজার-ই-শরিফে তাদের শেষ ঘাঁটিটিও পরিত্যাগ করেছে৷ যেন একটা যুগ শেষ হতে চলেছে৷

আফগানিস্তানে নিয়োজিত জার্মান সৈন্যদের সংখ্যা দাঁড়িয়েছিল শেষমেষ চার হাজার দু'শো৷ এখনও সাড়ে আটশো জার্মান সৈন্য থেকে যাবেন স্থানীয় আফগান সৈন্যদের প্রশিক্ষণ দেবার ও সাহায্য করার জন্য৷

এবার দেশে ফেরা...ছবি: picture-alliance/dpa/Bundeswehr

নিরাপত্তা ও পুনর্নির্মাণ

জার্মান সৈন্যরা আফগানিস্তানে আসে ন্যাটো-র নেতৃত্বাধীন আইসাফ সেনাবাহিনীকে সাহায্য করার উদ্দেশ্যে, তবে জার্মান সৈন্যরা পুনর্নির্মাণের কাজেও সাহায্য করেছে৷ পশ্চিমি বিশ্ব চেয়েছিল আফগানিস্তানে ইসলামপন্থিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধজয় করে সেটাকে আন্তর্জাতিক মঞ্চে সাফল্য হিসেবে পরিবেশন করতে – বললেন বার্লিনের জার্মান ইনস্টিটিউট ফর ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড সিকিউরিটি অ্যাফেয়ার্স বা এসডাবলিউপি-র এক বিশেষজ্ঞ৷

ফিলিপ ম্যুঞ্চ ডয়চে ভেলেকে আরো বলেন যে, পশ্চিমের আফগানিস্তান সম্পর্কে বিশেষ কোনো ধারণা ছিল না এবং কোনো স্পষ্ট নীতি বা কৌশলও ছিল না: ‘‘কাজেই জার্মান সরকার প্রথাগত পন্থায় কাজ করেন এবং প্রধানত অকুস্থলে যা ঘটছে, সে অনুযায়ী সক্রিয় হন৷'' এবং তা কিছুদিনের জন্য কাজও করে, অন্তত ২০০২ থেকে ২০০৬ সাল অবধি৷ তারপর বিদ্রোহ আবার জোরদার হতে শুরু করে৷

ফলে জার্মান সেনাবাহিনীকে আফগানিস্তানে তাদের সামরিক উপস্থিতি ও শক্তি বাড়াতে হয় – নয়ত বিভিন্ন সামরিক ও বেসামরিক লক্ষ্যের ওপর তালেবানের ক্রমাগত হানার সামাল দেওয়া সম্ভব হত না৷ আইসাফ-এর মুখ্য উদ্দেশ্যই ছিল বেসামরিক ব্যক্তিদের সুরক্ষা দেওয়া এবং দেশের পুনর্নির্মাণে সাহায্য করা: তালেবানদের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধে সংশ্লিষ্ট হওয়া নয়৷

কিছুটা সাফল্য

বন বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর ডেভেলপমেন্ট রিসার্চ-এর আফগানিস্তান বিশেষজ্ঞ কনরাড শেটার অবশ্য আইসাফ-এর আফগানিস্তান অভিযানকে পুরোপুরি ব্যর্থ বলে গণ্য করতে রাজি নন৷ ‘‘আন্তর্জাতিক সেনাবাহিনী কিছু কিছু এলাকায় বিপুল সাফল্য পেয়েছে, যেমন উত্তর আফগানিস্তানে কিছুটা নিরাপত্তা অর্জিত হয়েছে'', বলেন শেটার৷

ম্যুঞ্চ-ও ঠিক তা-ই মনে করেন: ‘‘অন্তত একটা নতুন গৃহযুদ্ধ এড়ানো সম্ভব হয়েছে৷ জার্মান সেনাবাহিনী এবং আইসাফ সৈন্যদের উপস্থিতির ফলে স্থানীয় গোষ্ঠীপতিরা অন্তত শান্ত থেকেছেন এবং পরস্পরের বিরুদ্ধে অথবা সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করেননি৷''

জনপ্রিয়তা কমছিল

অপরদিকে জার্মান সেনাবাহিনীর আফগানিস্তান অভিযান স্বদেশে জনগণের কাছে ক্রমেই তার সমর্থন হারাচ্ছিল৷ শুধু অভিযানে অর্থব্যয়ের দিকটাই নয়, ক্রমেই আরো বেশি জার্মান সৈন্যদের নিহত হওয়ার ঘটনা জার্মানির নাগরিকদের আফগানিস্তান অভিযানের প্রতি বিমুখ করে তোলে৷

ইউক্রেনের মতো নতুন সংঘাত দেখা দেবার পরে আফগানিস্তানের প্রতি মনোযোগ আরো সীমিত হবে৷ তবে জার্মান কর্মকর্তারা কাবুল সরকারকে আশ্বাস দিয়েছেন যে, আফগানিস্তানকে পুরোপুরি অবহেলা করা হবে না৷ তবুও আগামীতে আফগানিস্তানের কপালে কি আছে, তা আপাতত বলা সম্ভব নয়৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ