1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আফগানিস্তানে বারাক ওবামা

অরুণ শঙ্কর চৌধুরী২০ জুলাই ২০০৮

বিদেশনীতিতে নিজের যোগ্যতা প্রমাণই শুধু এর উদ্দেশ্য নয়, ওবামার বিদেশনীতিতে আফগানিস্তানের একটি জবরদস্ত ভূমিকা থাকবে৷

কাবুলে ওবামা এবং কারজ়াইছবি: AP

কাবুলে প্রেসিডেন্টের প্রাসাদে হামিদ কারজ়াই-এর সঙ্গে প্রায় দু’ঘন্টা কাটালেন বারাক ওবামা৷ মাঝে মধ্যাহ্নভোজনও ছিল৷ আলোচনা হল সন্ত্রাসবাদ থেকে শুরু করে মাদকদ্রব্যের চোরাচালান, সব কিছু নিয়ে৷ মজার কথা, গত সপ্তাহেই কিন্তু ওবামা কারজ়াই সরকারের সমালোচনা করেছেন৷ বলেছেন, যে তাদের সুরক্ষিত বাঙ্কার থেকে বেরিয়ে দেশ গড়ার কাজে নিযুক্ত হওয়া উচিত৷ অকুস্থলে কারজ়াই-এর সঙ্গে সাক্ষাতে ওবামা দৃশ্যতঃ শুধু সাহায্য এবং সমর্থনের কথাই বলেছেন৷ তার অবশ্য একটা কারণ আছে৷

একা নন, এবং প্রেসিডেন্টও নন

ওবামা এসেছেন মার্কিণ কংগ্রেসের একটি প্রতিনিধিদলের সদস্য হিসেবে৷ এ তাঁর নিজের উক্তি৷ সঙ্গে যোগ করেছেন, যে কোনো সময়ে শুধু একজনই প্রেসিডেন্ট থাকে৷ আসলে তাঁকে যাত্রার আগে প্রশ্ন করা হয়েছিল, যে তিনি আফগানিস্তানে হামিদ কারজ়াই-এর সঙ্গে এবং ইরাকে প্রধানমন্ত্রী নুরি আল-মালিকির সঙ্গে কড়া কথা বলবেন কিনা৷ ওবামা স্পষ্ট করে দেন, যে ওটা ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্টের কাজ৷ ওবামা বার্তা কিংবা বিবৃতি দিতে যাচ্ছেন না, তিনি যাচ্ছেন শুনতে৷

বলা নয়, শোনা

শনিবার আফগানিস্তানে আসা ইস্তক ওবামা বস্তুতঃ তাই করে যাচ্ছেন৷ শনিবার পৌঁছনোর পরেই কাবুলের কাছে বাগ্রাম ঘাঁটিতে তাঁর এবং সঙ্গের দু’জন সেনেটরের ব্রিফিং হয় সিনিয়র মিলিটারী কমান্ডারদের কাছে৷ পরে তাঁদের উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয় পূর্ব আফগানিস্তানে পাকিস্তান সীমান্তের কাছে একটি ঘাঁটিতে৷ জালালাবাদে তাঁরা প্রাদেশিক রাজ্যপাল গুল আগা শিরজ়াই-এর সঙ্গে মিলিত হয়ে সীমান্ত প্রদেশটির খবরাখবর নেন৷ কি কাবুলে কিংবা কাবুলের বাইরে, সর্বত্রই ওবামা খাঁটি মার্কিণ কায়দায় মার্কিণ সৈন্যদের সঙ্গে হাতে কাঁটাচামচ নিয়ে প্রাতরাশ করেছেন৷ আরো বড় কথা, আফগানিস্তানে তাদের অভিজ্ঞতার কথা শুনেছেন৷

ইরাকের পরিবর্ত্তে আফগানিস্তান

আফগানিস্তানে পা দেবার অনেক আগে থেকেই ওবামা স্পষ্ট করে দিয়েছেন, যে আফগানিস্তান তাঁর বিদেশনীতির একটি ফোকাস হবে, বিশেষ করে তথাকথিত সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সংগ্রামের ক্ষেত্রে৷ বস্তুতঃ মার্কিণ সৈন্যবলের একটি বৃহত্ অংশ ইরাকে আটকা পড়ার ফলেই আল-কাইদা এবং তালিবান পুনর্গঠিত হতে পেরেছে, বলে তাঁর ধারণা৷ তিনি প্রেসিডেন্ট হলে কি করবেন, তা তিনি আগেই বলেছেন৷ এ-যুদ্ধে জিততেই হবে৷ তিনি অন্ততঃ আরো দু’টি কমব্যাট ব্রিগেডকে আফগানিস্তানে পাঠাবেন, অপরদিকে এই নজির দেখিয়ে নেটো মিত্রশক্তিদের উপর আরো কম শর্তে আরো বেশী অবদান রাখার জন্য চাপ দেবেন৷

ইঙ্গিতটা অবশ্যই জার্মানীর দিকে, যেখানে তিনি আগামী বৃহষ্পতিবার পা রাখছেন৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ