1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আফগানিস্তানে ব্যর্থ হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র

১৬ আগস্ট ২০২১

মার্কিন সেনা প্রত্যাহার ও তালেবানের ক্ষমতা দখল আফগানিস্তানে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে এবং ওয়াশিংটনের হিসাবনিকাষে যে ভ্রান্তি, সেটা তুলে ধরেছে৷ যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছে, লিখেছেন ডয়চে ভেলের ইনেস পোল৷

Afghanistan Evakuierung US-Botschaft in Kabul
ছবি: Rahmat Gul/AP Photo/picture alliance

পূর্বসূরীদের কাছ থেকে আফগান সংকট সমাধানের ভালো কোনো পথ পাননি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন৷ ডনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতা ছাড়ার আগে শেষ সিদ্ধান্তগুলোর একটি হিসাবে আপগানিস্তান থেকে সব সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন৷ ওসামা বিন লাদেনের মৃত্যুর পর এই আক্রমণ যৌক্তিকতা হারিয়েছে, এমন অকাট্য যুক্তি থাকলেও সেনা প্রত্যাহারের প্রস্তুতি নিতে পারেননি তার পূর্বসূরী বারাক ওবামাও৷

এই যুদ্ধ শেষ করার জন্য দেশে ব্যাপক চাপের মুখে ছিলেন জো বাইডেন৷ বেশিরভাগ অ্যামেরিকান এমন একটি দেশের জন্য জীবনের ঝুঁকি বা বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার খরচ করতে চায় না, যেখানে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের মুক্তিদাতার বদলে দখলদার হিসেবে দেখা হয়৷

বাইডেনের একটি সাফল্য প্রয়োজন ছিল৷ অনেক মার্কিন প্রেসিডেন্টই নির্বাচনে জেতার জন্য যুদ্ধ শুরু করেছেন৷ কিন্তু এই প্রেসিডেন্টের কংগ্রেসের দুই কক্ষে এবং আগামি বছরের মধ্যবর্তী নির্বাচনে নিজের দুর্বল সংখ্যাগরিষ্ঠতা ধরে রাখতে একটি যুদ্ধ শেষ করার দরকার ছিল৷

পশ্চিমা বেসামরিক নাগরিকরা হুমকিতে

বর্তমান পরিস্থিতির মূল্যায়ন করতে এইসব বিষয়ও বিবেচনায় রাখতে হবে৷ কিন্তু আফগানিস্তানে উদ্ভূত নাটকীয় পরিস্থিতিতে মানবিক বিপর্যয়ের ক্ষেত্রে এসবের কোনোটিই অজুহাত হতে পারে না৷

গত দুই দশকে পশ্চিমা চাকরিজীবিদের সহায়তা করা হাজার হাজার আফগান ও তাদের পরিবারই কেবল হুমকিতে নন, সামরিক জোট তাদের নিজেদের বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেও ব্যর্থ হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে৷ দূতাবাসের কর্মী, এনজিও কর্মী এবং অন্যদের আগে বের করে না এনেই দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে সামরিক বাহিনী সরিয়ে তালেবানের আসার পথ সুগম করে দেয়া হলো৷ এটা কিভাবে হলো?

এটা কিভাবে হলো যে হোয়াইট হাউজের তথাকথিত বিশেষজ্ঞরা মাত্র কদিন আগেই দাবি করলেন যে, শিগগিরই কাবুলের পতন ঘটছে না? এখন রাজধানীতে তীব্র আতঙ্ক বিরাজ করছে৷ কারণ, আফগান সামরিক বাহিনী সঙ্গে সঙ্গে পতাকাও বদলে ফেলেছে৷ তালেবানের ভয়ে তারা এটা করেছে এবং আশরাফ গনির মতো দুর্নীতিগ্রস্ত প্রেসিডেন্টের নেতৃত্বে সরকারের পক্ষে লড়াইয়ের প্রয়োজনও তেমন একটা বোধ করেনি৷

গোয়েন্দা তৎপরতা এবং দেশটি সম্পর্কে তাদের জ্ঞানের বিষয়ে এটা কী ধারণা দেয়? এবং এই পটভূমিতে জো বাইডেনের কথার কী মূল্য থাকলো? তিনি বলেছিলেন, আফগানিস্তান আর সন্ত্রাসবাদী হুমকিতে নেই এবং এজন্য দেশটিকে নিজেদের ব্যবস্থাপনায় ছেড়ে দেয়া যেতে পারে৷

ইনেস পোল, ডয়চে ভেলেছবি: DW/R. Oberhammer

স্থানীয় কর্মীদের পরিত্যাগ করা হলো

২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে হামলার প্রতিক্রিয়ায় আফগানিস্তান যুদ্ধের সূচনা হয়৷ একটাবিভ্রান্তিকর যুক্তি দিয়ে বাইডেন ঘোষণা দিয়েছিলেন যে, হামলার ২০তম বার্ষিকীতে সেনা প্রত্যাহারের মধ্য দিয়ে এই যুদ্ধ শেষ হবে৷ সম্ভবত মার্কিন সেনা আগ্রাসনের একটি অগৌরবান্বিত অধ্যায়ের সমাপ্তিকে নিউ ইয়র্কের স্মৃতিসৌধে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে বিজয় হিসেবে ঘোষণা দিতে চেয়েছিলেন৷

২০ বছরে কিছুই জেতা সম্ভব হয়নি৷ বরং এই সময়ে বিশ্বাসযোগ্যতায় বড় ধরনের ধাক্কা লেগেছে৷ বিশেষ করে তারা, যারা পশ্চিমা সামরিক জোটকে সমর্থন করে কেবল নিজেদেরই নয়, নিজেদের পরিবারকেও হুমকিতে ফেলেছেন এবং তাদের এখন অসহায় অবস্থায় ফেলে আসা হচ্ছে৷

এমন ঘটনা আমাদের সবাইকে উদ্বিগ্ন করে৷ আমাদের সবাইকে লজ্জিত করে৷

ইনেস পোল/এডিকে

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ