শুক্রবার জুমার নামাজের সময় আফগানিস্তানের কান্দাহারে বিবি ফাতিমা মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় অন্তত ৩৩ জন নিহত এবং ৯০ জন আহত হয়েছে৷
বিজ্ঞাপন
কী কারণে বিস্ফোরণ ঘটেছে তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি৷ তবে এটি একটি আত্মঘাতী বোমা হামলা বলে ধারণা করা হচ্ছে৷
আফগানিস্তানে কুন্দুজের একটি শিয়া মসজিদে একই ধরনের বোমা বিস্ফোরণের ঘটনার ঠিক এক সপ্তাহের মাথায় এ ঘটনা ঘটলো৷ এখনো কেউ ঘটনার দায় স্বীকার করেনি৷
মসজিদের ভেতরের ছবিতে জানালার ভাঙা কাঁচ এবং মাটিতে লাশ পড়ে থাকতে দেখা গেছে৷ অনেকেই মেঝেতে শুয়ে কাতরাতে থাকা আহতদের সাহায্যে এগিয়ে যান৷
প্রত্যক্ষদর্শীরা মসজিদের প্রধান ফটকে তিনটি বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পাওয়ার কথা জানিয়েছে৷ বিস্ফোরণের সময় মসজিদ লোকে লোকারণ্য ছিল৷ ঘটনাস্থলে অন্তত ১৫টি অ্যাম্বুলেন্স দেখা গেছে৷ আহতদেরকে স্থানীয় মিরওয়াইস হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে৷
কান্দাহারের এক স্থানীয় সাংবাদিক বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানান, প্রত্যক্ষদর্শীরা তিন আত্মঘাতী হামলাকারীর হামলা চালানোর বর্ণনা দিয়েছে৷ এক হামলাকারী মসজিদের প্রবেশপথে নিজেকে উড়িয়ে দেয় এবং অন্য দুইজন মসজিদের ভেতরে বিস্ফোরক ডিভাইসের বিস্ফোরণ ঘটায়৷
গত শুক্রবার জুমার নামাজের সময় কুন্দজ শহরের শিয়া মসজিদে বোমা হামলায় শতাধিক মানুষ হতাহত হয়৷ পরে জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস) সেই এহামলার দায় স্বীকার করে৷
এবার কান্দাহারের মসজিদে বিস্ফোরণের জন্যও তালেবানের ঘোর বিরোধী ইসলামিক স্টেটের আফগান শাখা আইএস খেরাসানকেই (আইএস-কে) সন্দেহ করা হচ্ছে৷
আইএস-কে গোষ্ঠীর সুন্নি যোদ্ধারা শিয়া সংখ্যালঘুদের নিশানা করে হামলা চালায়৷ এর আগে মসজিদ, স্পোর্টস ক্লাব ও স্কুলেও আত্মঘাতী হামলা চালিয়েছে তারা৷ সাম্প্রতিক সময়ে সুন্নি যোদ্ধারা তালেবানের বিরুদ্ধে হামলার মাত্রা বাড়িয়েছে
এনএস/এসিবি
যে কারাগারে রাখা হতো তালেবান যোদ্ধাদের
কাবুলের পুল-ই-চরখি কারাগারে কয়েকদিন আগেও আটকে রাখা হতো তালেবান সেনাদের৷ ছোট ছোট খুপড়ির মতো ঘরগুলো এখন ফাঁকা পড়ে আছে৷ কী অবস্থায় থাকতে হতো তালেবান সেনাদের? দেখুন ছবিঘরে...
ছবি: STRINGER/REUTERS
দর্শক তালেবান
রাজধানী কাবুল থেকে একটু দূরে পুল-ই চরখি কারাগার৷ এক মাস আগে এখানে গাদাগাদি করে থাকতে হতো আফগান এবং বিদেশি সৈন্যদের হাতে আটক তালেবান যোদ্ধাদের৷ এখন ছবির এই তালেবান সেনার মতো কেউ কেউ দেখতে যান সেই কারাগার৷
ছবি: STRINGER/REUTERS
যেমন ছিল শোয়ার ব্যবস্থা
পুল-ই চরখির একটা সেল৷ এভাবে ওপরে, নীচে শোয়ার ব্যবস্থা ছিল কারাবন্দিদের৷ তালেবান আফগানিস্তানের দখল নেয়ার আগেই অবশ্য বন্দিদের মুক্তি দেয়া শুরু হয়৷
ছবি: STRINGER/REUTERS
পড়ার সুযোগ
একটি সেল ঘুরে দেখছেন এক তালেবান সদস্য৷ সব সেলই এখন ফাঁকা৷ ২০২০ সালে তালেবানের সঙ্গে শান্তি চুক্তির উদ্যোগ নেয়া হয়৷ তালেবানের শর্ত দেয়া হয় আগে বন্দি সহযোদ্ধাদের মুক্তি দেয়া শুরু করতে হবে৷ সেই শর্ত মেনে প্রথমে ৪০০ জনকে মুক্তি দেয়া হয়৷ তালেবান ফিরে এসে সব বন্দিকে মুক্তি দেয়৷ একসময় ছবির এই সেলে বই পড়তেতেন কোনো কোনো তালেবান সেনা৷
ছবি: STRINGER/REUTERS
নোংরা, অগোছালো
কারাগার ঘুরে দেখছেন এক তালেবান সদস্য৷ ক্যামেরায় ধরা পড়া পুরো জায়গাটাই অপরিচ্ছন্ন, অগোছালো৷
ছবি: STRINGER/REUTERS
আইএস-এর পতাকা
একটা বইয়ের ওপরে ইসলামিক স্টেট (আইএস)-এর পতাকার ছবি৷ বোঝাই যায়, আইএস যোদ্ধা বা তাদের অনুসারীদেরও আটক করে রাখা হতো পুল-ই চরখিতে৷
ছবি: West Asia News Agency/REUTERS
মামলার নথি
এই ঘরে রাখা হতো কারাবন্দিদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ সংক্রান্ত নথিপত্র৷ সেসবের কিছু নমুনা দেখা যাচ্ছে ডানদিকের আলমারির ওপরে৷
ছবি: West Asia News Agency/REUTERS
হাতকড়া
একটা সেলে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে কিছু হাতকড়া৷ তালেবান শাসকেরা পুল-ই চরখিকে কারাগার হিসেবেই ব্যবহার করলে আগামীতে এই হাতকড়া পরানো হবে নতুন বন্দিদের৷
ছবি: West Asia News Agency/REUTERS
আফগানিস্তানের পতাকা
এখানে হয়ত কাজ করতেন আফগানিস্তানের ক্ষমতাচ্যুত সরকারের কোনো সেনা সদস্য বা কোনো কারা কর্মকর্তা৷ তাই টেবিলের ওপরে এখনো দেখা যাচ্ছে আফগানিস্তানের জাতীয় পতাকা৷
ছবি: West Asia News Agency/REUTERS
বিশাল এক শূন্য কারাগার
বিশাল এক শূন্য কারাগার
পুল-ই চরখির এক পাশের সুবিস্তৃত প্রাচীর৷ প্রাচীরের ভেতরে রয়েছে কারাভবন৷ ভবনের সব কক্ষের দরজাই এখন খোলা, কোনো কারাবন্দি নেই সেখানে৷