1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আফগানিস্তানে মেয়েদের স্কুলে যাওয়া বন্ধ করতে চায় তালেবান

১১ জুন ২০১২

২০১৪ সালের মধ্যেই তারা মেয়েদের স্কুলে যাওয়া বন্ধ করতে চায়, বলে আফগান গুপ্তচর বিভাগের খবর৷ নানাভাবে, নানা পন্থায় আতঙ্ক ছড়ানোর চেষ্টা করছে তালেবান৷ ওদিকে দেশের ১১টি প্রদেশে প্রায় ৫৫০টি স্কুল নিরাপত্তার অভাবে বন্ধ৷

ছবি: TOMAS MUNITA/AP/dapd

২০০৮ সালের নভেম্বর মাসে দক্ষিণের কান্দাহার শহরের ঘটনা৷ স্কুলে যাওয়ার পথে ১৫টি মেয়ের উপর অ্যাসিড ছোঁড়া হয়৷ তালেবান বিদ্রোহ তখন চরমে উঠছে৷ সে যাবৎ এ ধরণের বড় আক্রমণ ঘটেনি বটে, কিন্তু স্কুলে আগুন ধরানো কিংবা বিষ ছড়ানো, অথবা পড়ুয়াদের পানীয় জলে বিষ মেশানোর ঘটনা ঘটেছে এবং ঘটে চলেছে৷ আরো বড় কথা, তালেবানরা নিজেই যে শুধু এ ধরণের কাজ করছে, এমন নয়৷ তারা স্কুলের পড়ুয়াদেরও বুঝিয়ে-সুঝিয়ে এবং ভয় দেখিয়ে এ ধরণের কাজ করতে বাধ্য করছে৷

তাখার প্রদেশে গত বুধবার অন্যান্যদের সঙ্গে দু'জন উঁচু ক্লাসের মেয়েকে গ্রেপ্তার করা হয়৷ তারা বলে, তাদের নাকি ক্লাসরুমে বিষ ছড়িয়ে দিতে বাধ্য করা হয়েছিল৷ বাধ্য করে তাদেরই এক আত্মীয়, যে নাকি তালেবানের সদস্য৷ তাদের বলা হয়, তারা কাজটা না করলে তাদের গুমখুন করা হবে৷

ছবি: TOMAS MUNITA/AP/dapd

শুধু ছাত্রীরাই নয়, ছাত্ররাও অবস্থা এবং স্কুল বিশেষে আতঙ্কের শিকার৷ স্কুলের ইউনিফর্ম পরা ছাত্ররা গেটে অন্য ছাত্রদের বডি সার্চ করে দেখছে, তাদের কাছে অস্ত্র কিংবা বিষ আছে কিনা৷ স্কুলের বাইরে পুলিশের চেকপয়েন্ট, সেখানে প্রতিদিন কয়েকজন ছাত্র এবং একজন শিক্ষক পাহারায় থাকেন৷ এ সবই রাজধানী কাবুলের দৃশ্য৷ কিন্তু দেশ জুড়ে হাজার হাজার ছেলেমেয়ে স্কুল ছেড়ে চাকর-বাকরের কাজ নিতে বাধ্য হয়েছে, সেটাও একটা ট্র্যাজেডি৷ যেমন এটা একটা ট্র্যাজেডি যে, দেশ জুড়ে স্কুল বন্ধ হওয়ায় প্রায় দু'লাখ শিশুর পড়াশুনার আর কোনো পথ নেই৷ এবং স্বভাবতই এই শিশুদের অধিকাংশই মেয়ে৷

তালেবান বলছে, এ সবই মিথ্যা প্রচারণা৷ তারা শিক্ষার বিরুদ্ধে নয়, শুধু ইসলাম-বিরোধী শিক্ষার বিরুদ্ধে৷ কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্কুল বন্ধ করাটা হল তালেবানের নিয়ন্ত্রণ স্থাপন করার একটা পরোক্ষ পন্থা৷ তালেবান এখন আর সরাসরি সশস্ত্র সংঘাতের পথে যেতে চাইছে না৷ তারা ভীতিপ্রদর্শন ও আতঙ্ক ছড়ানোর মাধ্যমে সামাজিক ও রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণ অর্জন করতে চাইছে৷

প্রতিবেদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী (রয়টার্স)
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ