আফগানিস্তানের কাবুলের টাইম রেস্টুরেন্টে গতমাস থেকে ‘তিমেয়া’ নামে একটি খাবার পরিবেশনকারী রোবট কাজ করছে৷ সে তিন ভাষায় কথা বলতে পারে৷
বিজ্ঞাপন
জাপানে তৈরি রোবটটির মাথা এমনভাবে নকশা করা হয়েছে যে দেখতে মনে হয়, সে হিজাব পরে রয়েছে৷
দারি, পশতু ভাষা ছাড়াও তিমেয়া ইংরেজি বলতে পারে৷ টাইম রেস্টুরেন্টের অতিথিদের সে বার্গার, কোলা ইত্যাদি পরিবেশন করে থাকে৷
রোবটের কাছ থেকে খাবার পেয়ে খুশি অতিথিরা৷ ‘‘বিষয়টা দারুন৷ কারণ এই প্রথম আফগানিস্তানের কোনো রেস্টুরেন্টে রোবট খাবার দিচ্ছে,’’ বলেন ৩০ বছর বয়সি জাহরা বরকজাই৷
১৩ বছরের জুহাল বলছে, এতদিন পর্যন্ত সে শুধু কার্টুনে রোবট দেখেছে৷ ‘‘আমি কখনও ভাবিনি যে, কোনো একদিন আমার শহরের প্রিয় রেস্টুরেন্টে আমি রোবটের দেখা পাব,’’ বলেছে সে৷
কয়েক দশকের যুদ্ধের কারণে আফগানিস্তানে প্রযুক্তি বিষয়ক পড়াশোনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে৷ তবে ২০১৭ সালে আফগান মেয়েদের নিয়ে গড়া একটি রোবটিক দলকে প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা দিতে অস্বীকৃতির খবর বিশ্ব গণমাধ্যমের খবর হয়েছিল৷ পরে অবশ্য তাদের ভিসা দেয়া হয়৷
এরপর এস্তোনিয়ার এক প্রতিযোগিতায় ঐ দলের সৌরশক্তি চালিত রোবট একটি পুরস্কার পায়৷
জেডএইচ/কেএম (রয়টার্স)
ঢাকার রোবট রোস্তোরাঁ নিয়ে দেখুন ২০১৭ সালের নভেম্বরের এই ছবিঘর...
ঢাকায় রোবট রেস্তোরাঁ
ঢাকার আসাদ গেট এলাকার ফ্যামিলি ওয়ার্ল্ড টাওয়ারের দ্বিতীয় তলায় চালু হয়েছে একটি ভিন্নধর্মী রেস্তোরাঁ৷ সেখানে মানুষের পরিবর্তে খাবার পরিবেশন করে রোবট৷
ছবি: Md. Asaduzzaman Pramanik
বাংলাদেশে প্রথম
ওয়েটার মানুষ নয়, রোবট৷ এ ধরনের রেস্তোরাঁ বাংলাদেশে এটাই প্রথম৷
ছবি: Md. Asaduzzaman Pramanik
এ রোবটের একটাই কাজ
সদ্য চালু হওয়া বিশেষ এ রেস্তোরাঁয় এখন শুধু খাবারই পরিবেশন করে রোবট৷ তবে ভবিষ্যতে গ্রাহকদের কাছ থেকে খাবারের আর্ডার নিয়ে সেটা রান্নাঘরে পৌঁছেও দেবে বলে উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন৷
ছবি: Md. Asaduzzaman Pramanik
বাংলাদেশ-চীনের যৌথ উদ্যোগ
ঢাকার রোবট রেস্তারাঁটি চালু হয়েছে বাংলাদেশ ও চীনের যৌথ উদ্যোগে৷ এতে কারিগরি সেবা দিচ্ছে চীনের রোবট নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এইচজেডএক্স টেকনলজি কোম্পানি৷
ছবি: Md. Asaduzzaman Pramanik
খাবার-দাবার
শিশুদের জন্য আকর্ষণীয় কয়েকটি খাবারসহ দেশি খাবারের নির্দিষ্ট কয়েকটি মেন্যু নিয়ে যাত্রা শুরু করেছে রোবট রেস্তোরাঁ৷ সব খাবারের দাম পাঁচশত টাকার মধ্যে৷
ছবি: Md. Asaduzzaman Pramanik
দুটি রোবট
শুরুতে দুটি রোবট দিয়ে যাত্রা করেছে রেস্তোরাঁটি৷ এর মধ্যে একটি নারী ও অন্যটি পুরুষের আদলে তৈরি৷
ছবি: Md. Asaduzzaman Pramanik
রোবট সমাচার
রোবট দু’টির প্রতিটির ওজন ৩০ কেজি৷ উচ্চতায় প্রায় সাড়ে পাঁচ ফুট৷ এরা একনাগাড়ে ১৮ ঘণ্টা কাজ করতে সক্ষম৷ প্রতিটি রোবট বানাতে খরচ হয়েছে প্রায় আট লাখ টাকা৷
ছবি: Md. Asaduzzaman Pramanik
চলমান সুখ
চীনে তৈরি এই রোবট দুটি রোবটের নাম একই আর তা হলো ‘ইয়োইদং’৷ এর অর্থ হলো ‘মুভিং হ্যাপিনেস’ বা ‘চলমান সুখ’৷
ছবি: Md. Asaduzzaman Pramanik
শিশু-কিশোরদের কাছে জনপ্রিয়
সব বয়সি মানুষই রোবট রেস্তোরাঁয় যাচ্ছেন, তবে রেস্তোরাঁটি ইতিমধ্যে শিশু-কিশোরদের কাছে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে৷