1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আফগানিস্তানে স্বস্তি, শঙ্কা ও ক্ষোভ

ওয়াসলাত হাসরাত-নাজিমি/এসিবি২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪

অবশেষে নতুন প্রেসিডেন্ট পেয়েছে আফগানিস্তান৷ আশরাফ গনিকে প্রেসিডেন্ট এবং আব্দুল্লাহ আব্দুল্লাহকে দেশের ‘প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে৷ এর ফলে অচলাবস্থা কাটলেও আফগানিস্তানের অনেকে খুশি হতে পারেননি৷

আশরাফ গনিকে (ডানে) প্রেসিডেন্ট এবং আব্দুল্লাহ আব্দুল্লাহকে (বামে) ‘প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা’ ঘোষণা করা হয়েছেছবি: AFP/Getty Images

আফগানিস্তানে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা রাজনৈতিক অচলাবস্থা কাটিয়ে ওঠার ইঙ্গিত দেখা গেল রবিবার৷ সেদিন সংক্ষিপ্ত এক বৈঠকে বসেছিলেন দুই প্রেসিডেন্ট প্রার্থী আশরাফ গনি এবং আব্দুল্লাহ আব্দুল্লাহ৷ রাজধানী কাবুলের প্রেসিডেন্ট ভবনে অনুষ্ঠিত এ বৈঠক শেষে আশরাফ গনিকে প্রেসিডেন্ট এবং আব্দুল্লাহ আব্দুল্লাহকে ‘প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা' হিসেবে ঘোষণা করা হয়৷ অচলাবস্থা কাটানোর স্বার্থে ‘প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা' নাম দেয়া হলেও আব্দুল্লাহ আব্দুল্লাহ আসলে প্রধানমন্ত্রীর সমান ক্ষমতাই উপভোগ করবেন৷ বৈঠক শেষে আশরাফ গনি বা আব্দুল্লাহ আব্দুল্লাহ অবশ্য কোনো বিবৃতি দিয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানাননি৷

তাই বলে দুই পর্বের ভোট শেষে ভোটের ফলাফল ঘোষণা স্থগিত রেখে দুই প্রার্থীর এভাবে আপোশরফায় সম্মত হওয়ার বিষয়টি নিয়ে সাধারণ মানুষের প্রতিক্রিয়া থেমে নেই৷ অধিকাংশ আফগান স্বস্তিই পেয়েছেন৷ গত এপ্রিলে প্রথম এবং জুনে দ্বিতীয় পর্বের ভোটগ্রহণ হলেও প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে অচলাবস্থা কাটছিল না৷ অবশেষে একটা দফারফা যে হয়েছে তাতেই স্বস্তি পেয়েছেন অনেকে৷

জাতীয় ঐক্যের আশা

প্রধান দুই প্রেসিডেন্ট প্রার্থী যে অবশেষে পারস্পরিক বিরোধ দূরে রেখে এক সঙ্গে সরকার পরিচালনায় রাজি হয়েছেন, কারো কারো কাছে এটাই বড় স্বস্তির ব্যাপার৷ কাবুলের বাসিন্দা তানিন সুলাইমানখাইল তাঁদের একজন৷ রাজনৈতিক অচলাবস্থার কারণে আফগানিস্তানে বিনিয়োগের আগ্রহ কমছিল – এ বিষয়টি উল্লেখ করে ডয়চে ভেলেকে তিনি বলেন, ‘‘আমরা কয়েক মিলিয়ন ডলার আয়ের সুযোগ হারিয়েছি৷ প্রচুর মানুষ বেকারত্ব বরণ করছিল৷ অবশেষে যে এ অবস্থার অবসান হতে চলেছে তা ভেবেই আমি খুশি৷''

ভোট কোনো গুরুত্বই পেল না!

তিন মাস ধরে চলল প্রেসিডেন্ট নির্বাচন৷ অথচ ভোটের ফলাফল ঘোষণার আগেই নিজেদের মধ্যে আপোশ করে ফেললেন আশরাফ গনি এবং আব্দুল্লাহ আব্দুল্লাহ৷ এই ব্যাপারটি অনেকের ভালো লাগেনি৷ তাঁরা মনে করেন, এর ফলে তাঁরা যে কষ্ট করে ভোট দিলেন সেই ভোট কোনো মূল্য পেল না৷ এমন হতাশা নিয়েই কাবুলের হামেদ বললেন, ‘‘আমি দ্বিতীয় পর্বের নির্বাচনে ভোট দিয়েছিলাম৷ কিন্তু ভোটের তো কোনো গুরুত্বই দেয়া হলো না৷ জাতীয় ঐক্যের সরকার হয়তো ভালোই হবে, তবে তাঁরা আফগানদের ভোটে নির্বাচিত সরকার নয়৷''

সময়ের অপচয়

অশান্তি এড়াতে নির্বাচন কমিশন যে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেনি এ নিয়ে অনেক আফগান নাগরিকই ক্ষুব্ধ৷ সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে সমস্ত ক্ষোভ আর অসন্তোষের কথা জানাচ্ছেন তাঁরা৷ টুইটারে মোদাসের লিখেছেন, ‘‘বছরের সেরা দুই মিথ্যে: ১.আমরা জনগণের ভোটের প্রশ্নে কোনো আপোশ করবো না৷ ২. এক ঘণ্টার জন্যও আমরা কোনো প্রতারকের সরকারকে বরদাশত করবো না৷''

রামিন আনোয়ারি তাঁদের ভোটকে এমন গুরুত্বহীন হয়ে যেতে দেখেও বিস্মিত নন৷ তাঁর মতে, ‘‘নির্বাচনের দুই প্রতিদ্বন্দ্বীই ‘বিজয়ী' এবং সময়ের এমন অপচয় মেনে নেয়া শুধু আফগানিস্তানেই সম্ভব৷ গণতন্ত্রের শ্রেষ্ঠ সময় দেখছি!''

জার্মান সংস্থা কনরাড-আডেনাওয়ার ফাউন্ডেশনের প্রধান নিলস ভ্যরমার নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন৷ ডয়চে ভেলেকে তিনি বলেছেন, ‘‘যে নির্বাচন হয়েছে তাকে সুষ্ঠু এবং স্বচ্ছ বলা মুশকিল৷ আফগানিস্তানের অনেকেই মনে করেন, নির্বাচনটাকে শুধু একটি শব্দেই বর্ণনা করা উচিত আর তা হলো – প্রহসন৷'’

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ