তালেবান আফগানিস্তান দখল করে নেয়ার পর প্রতিক্রিয়া জানালেন বিশ্বনেতারা। কেউ উদ্বিগ্ন, কেউ বা আত্মপক্ষ সমর্থন করতে ব্যস্ত।
বিজ্ঞাপন
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এক বিবৃতিতে বলেছেন, ''আরো এক বছর বা পাঁচ বছরও যদি মার্কিন সেনা যদি আফগানিস্তানে থাকতো, তাহলেও কোনো ফারাক হতো না। আফগান সেনাই নিজের দেশকে রক্ষা করতে পারল না। অন্য দেশের অসামরিক বিরোধ মেটাতে অ্যামেরিকার সেনা অনন্তকাল ধরে সেখানে থাকবে এটা আমার কাছে গ্রহণযোগ্য নয়।''
তবে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিংকেন বলেছেন, যে কারণে অ্যামেরিকা আফগানিস্তানে গিয়েছিল, তা পূর্ণ হয়েছে।
তবে তালেবান যে গতিতে কাবুল সহ গোটা আফগানিস্তান দখল করে নিয়েছে, অ্যামেরিকার সেনা ও মানুষজনকে তড়িঘড়ি করে দেশে ফিরতে হয়েছে, তাতে দেশে রীতিমতো সমালোচিত হচ্ছেন বাইডেন। সাবেক জেনারেল, আফগান অ্যামেরিকান, রাজনৈতিক নেতারা বাইডেনের সমালোচনায় মুখর হয়েছেন। তাদের মতে, বাইডেনের নীতির জন্যই এত দ্রুত আফগানিস্তান দখল করতে পারল তালেবান। পরিস্থিতি আবার আগের মতোই হয়ে গেল।
যুক্তরাজ্যের প্রতিক্রিয়া
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছেন, আফগানিস্তানের পরিস্থিতি খুবই কঠিন জায়গায় চলে গেল এবং ভবিষ্যতে তা আরো খারাপ হতো পারে। তার মতে, কোনোরকম চুক্তি ছাড়া সমমনোভাবাপন্ন দেশগুলি যেন তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি না দেয়।
আফগানিস্তানের দায়িত্ব অ্যামেরিকার নয়: বাইডেন
আফগানিস্তানের দায়িত্ব নিতে হবে আফগান নেতাদেরই। অ্যামেরিকা আর সাহায্য করতে পারবে না। জানিয়ে দিলেন জো বাইডেন।
ছবি: Wakil Kohsar/AFP/Getty Images
অগাস্টেই শেষ
আফগানিস্তান থেকে অগাস্টের মধ্যেই সমস্ত সেনা অ্যামেরিকায় ফিরে যাবে। হোয়াইট হাউসে জানালেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এর আগে ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সেনা প্রত্যাহার করা হবে বলে জানিয়েছিলেন তিনি।
ছবি: John Moore/Getty Images
আফগানিস্তানকেই দায়িত্ব নিতে হবে
আফগানিস্তানের দায়িত্ব নিতে হবে সে দেশের নেতাদেরই। সমস্ত নেতার একসঙ্গে আলোচনা করে নতুন আফগানিস্তানের রূপরেখা তৈরি করতে হবে। এমনটাই মনে করেন বাইডেন।
ছবি: Andrew Harnik/Getty Images
তালেবান নিয়ে মতামত
বাইডেনের বক্তব্য, তিনি তালেবানকে বিশ্বাস করেন না। কিন্তু কাবুলের সরকার এবং প্রশাসনকেই তার মোকাবিলা করতে হবে। মার্কিন সাহায্যে তৈরি কাবুলের সরকারের হাতে এখন সে ক্ষমতা আছে বলে তিনি মনে করেন।
ছবি: DW/M. Mojtaba
তালেবানই ভবিতব্য নয়
মার্কিন সেনা চলে গেলে তালেবান আফগানিস্তান দখল করবে, এমনটা অবশ্যম্ভাবী বলে মনে করেন না বাইডেন।
ছবি: DW/Omid Deedar
কোনো দেশ আফগানিস্তানকে এক করতে পারেনি
বাইডেনের বক্তব্য, এর আগে কোনো দেশ দেশ আফগান নেতাদের এক করতে পারেনি। সকলকে একসঙ্গে বসিয়ে ঐক্যবদ্ধ আফগানিস্তান তৈরি করতে পারেনি।
ছবি: Saul Loeb/Getty Images/AFP
আর কত প্রাণ যাবে
বাইডেন জানিয়েছেন, তিনি চান না, আর একটিও মার্কিন প্রাণ আফগানিস্তানে নষ্ট হোক। বহু মার্কিন পুরুষ এবং নারীর প্রাণ গিয়েছে আফগানিস্তানের যুদ্ধে। আর প্রাণ তিনি যেতে দেবেন না।
ছবি: Josh Smith/REUTERS
যুক্তরাজ্যের বক্তব্য
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনও বৃহস্পতিবার পার্লামেন্টকে জানিয়েছেন, আফগানিস্তান থেকে অধিকাংশ সেনা দেশে ফিরে এসেছে। বাকিরাও দ্রুত ফিরে আসবে।
ছবি: AFP/Getty Images
ইরান সীমান্তে তালেবান
এদিকে ইরান-আফগান সীমান্ত দখল করেছে তালেবান। আফগানিস্তানের সঙ্গে ইরানের বর্ডার এখন তারাই নিয়ন্ত্রণ করছে। দেশের ভিতর পঞ্চাশেরও বেশি অঞ্চল তারা দখল করেছে। ঘিরে ফেলেছে আঞ্চলিক রাজধানীগুলি।
ছবি: PPI/Zuma/picture alliance
রাশিয়ার আশ্বাস
রাশিয়া জানিয়েছে, তাদের সঙ্গে তালেবান প্রতিনিধিদের কথা হয়েছে। তালেবান আশ্বস্ত করেছে, দেশের ভিতর বিদেশি দূতাবাসগুলি যাতে সুরক্ষিত থাকে, তারা তা দেখবে। আফগান রীতি এবং ইসলামিক নীতি মেনে তারা মানবাধিকার রক্ষা করবে।
ছবি: Adek Berry/Getty Images/AFP
9 ছবি1 | 9
আগামী বুধবার ব্রিটিশ পার্লামেন্টের জরুরি অধিবেশন ডাকা হয়েছে। সেখানে আফগান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হবে। জনসন বলেছেন, এখন তার প্রথম কাজ হলো, ব্রিটিশ নাগরিকদের নিরাপদে দেশে ফিরিয়ে আনা। আর গত ২০ বছর ধরে যারা ব্রিটিশ বাহিনীকে সাহায্য করেছে, সেই আফগানদেরও দ্রুত ব্রিটেনে নিয়ে আসা হবে। আর আফগানিস্তান যাতে আবার জঙ্গিদের রমরমা না হয়, সেটাও দেখতে হবে।
জাতিসংঘের আবেদন
আফগানিস্তান নিয়ে জরুরি বৈঠক ডাকা হয়েছে। তবে তালেবান কাবুলে ঢোকার পরেই জাতিসংঘের তরফে আবেদন জানানো হয়েছে, তারা যেন সংযম বজায় রাখে। জাতিসংঘের সেক্রেটারি জেনারেল গুতেরেস বলেছেন, আফগানিস্তানের নারী ও শিশুদের নিয়ে তিনি খুবই চিন্তিত। তারা যে অধিকার পেয়েছিলেন, তা যেন বজায় থাকে।
পাকিস্তানের সিদ্ধান্ত
পাকিস্তান এখনো কাবুলে দূতাবাস বন্ধ করেনি। তবে পাক পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জাহিদ হাফিজ চৌধুরী জিও নিউজকে বলেছেন, ''আফগানিস্তানের পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে। আমরাও উদ্বিগ্ন। তবে দূতাবাস বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি।''
আফগানিস্তান ছাড়ছে মার্কিন সেনারা, রেখে যাচ্ছে আবর্জনা
গত দুই দশক ধরে বাগরাম বিমানঘাঁটি ছিল আফগানিস্তানে মার্কিন সেনাদের সদরদপ্তর৷ এরমধ্যে সেখান থেকে সৈন্য প্রত্যাহার করে নিয়েছে ওয়াশিংটন৷ সেখানে এখন পড়ে আছে মার্কিন সেনাদের টনকে টন আবর্জনার স্তূপ৷
ছবি: Adek Berry/Getty Images/AFP
যত দূর চোখ যাবে
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তানের রাজনীতির জন্য কী ধরনের ভবিষ্যত রেখে যাচ্ছে সেটি নিয়ে বিতর্ক হতে পারে৷ তবে দেশটি ছাড়ার আগে সেনারা যে তাদের ব্যবহৃত বিশাল আবজর্নার স্তূপ রেখে যাচ্ছে এই ছবি সেই কথাই জানাচ্ছে৷ বাইডেনের ঘোষিত সময়সীমার ১১ সপ্তাহ আগেই বাগরাম বিমানঘাঁটি থেকে সেনা সরিয়ে নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র৷ এখন সেখানে শুধুই ময়লার স্তূপ৷
ছবি: Adek Berry/Getty Images/AFP
এত জঞ্জালের কী হবে
২০০১ সাল থেকে বাগরামে যুক্তরাষ্ট্রের এক লাখের বেশি সেনা দায়িত্ব পালন করেছেন৷ কাবুল থেকে ৭০ কিলোমিটার দূরবর্তী এলাকাটি রীতিমত একটি ছোটখাটো অ্যামেরিকান শহরে পরিণত হয়েছিল৷ গড়ে উঠেছিল শপিং সেন্টার, ফাস্টফুডের দোকানও৷ যাওয়ার সময় মার্কিন সেনারা দরকারি সরঞ্জামগুলো সাথে নিয়ে যাচ্ছে অথবা স্থানীয় নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করছে৷ কিন্তু ফেলে যাচ্ছে বিপুল আবর্জনা, প্যাকেজিং ও ইলেকট্রনিক বর্জ্য৷
ছবি: Adek Berry/Getty Images/AFP
কারো ফেলনা কারো সম্পদ
ঘাঁটির বাইরে ফেলনার এই ভাগাড় অবশ্য স্থানীয় মানুষের মধ্যে বিপুল কৌতূহলের জন্ম দিয়েছে৷ তাদের চোখ তন্ন তন্ন করে খুঁজে বেড়াচ্ছে যদি মূল্যবান কিছু মিলে৷ যেমন এক জোড়া সামরিক বুট খুঁজে পেয়েছেন একজন৷ আবর্জনা থেকে খুঁজে পাওয়া উপকরণ বিক্রি করে অনেকে অর্থ আয়েরও চেষ্টা করছেন৷
ছবি: Adek Berry/Getty Images/AFP
ইলেকট্রনিকের খোঁজে
এই স্তূপের একটি বড় অংশই ইলেকট্রনিক বর্জ্য৷ সেখানে সার্কিট বোর্ড, স্ক্রু থেকে শুরু করে পুনর্ব্যবহারযোগ্য উপকরণ খুঁজে বেড়াচ্ছেন স্থানীয়রা৷ এগুলোর কোনো কোনোটিতে এমনকি তামা, সোনার মতো মূল্যবান ধাতুও রয়েছে৷ এখান থেকে যদি ৫০০ ডলার আয়ের ব্যবস্থাও হয় তাও রীতিমত সম্পদের খনি আফগানদের জন্য৷
ছবি: Adek Berry/Getty Images/AFP
বাগরামের ভবিষ্যত
হিন্দুকুশ পর্বতের পাদদেশে অবস্থিত বাগরামের সামরিক ঘাঁটি হিসেবে রয়েছে দীর্ঘ এতিহ্য৷ ১৯৭৯ সালে আফগানিস্তান দখলের পর সোভিয়েত সেনারাও সেটিকে ব্যবহার করেছিল৷ অনেকেরই এখন আশঙ্কা ঘাঁটিটি তালেবানরা দখল করে নিলে সেটি তাদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত বিজয় হিসেবে বিবেচিত হবে৷
ছবি: imago images
আফগানিস্তান ত্যাগ
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন চলতি বছর ‘নাইন ইলেভেনের’ আগেই সেখান থেকে সব সৈন্য প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন৷ আনুষ্ঠানিকভাবে ১ মে থেকে আফগানিস্তান ছাড়তে শুরু করেছে মার্কিন সেনারা৷ তবে তালেবানদের সম্ভাব্য হামলা মোকাবিলায় ভারি অস্ত্রসহ একটি বাড়তি দলকে সেখানে মজুদ রাখা হয়েছে৷ ন্যাটো ও অংশীদার রাষ্ট্রগুলোর ৩৬টি মিশন এখনও সেখানে আছে৷ অ্যামেরিকার অবশিষ্ট সৈন্য আছে আড়াই হাজার আর জার্মানির এগারশো৷
ছবি: Adek Berry/Getty Images/AFP
নারীদের অবস্থান
ভাগাড় থেকে দরকারি ধাতব বস্তু খুঁজে পেয়েছে এই মেয়েটি৷ বিপুল ক্ষয়ক্ষতি হলেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অভিযানে বড় ধরনের পরিবর্তন এসেছে আফগান নারীদের জীবনে৷ তারা স্কুলে যেতে পারছে, এমন কিছু জায়গায় কাজ করতে পারছে, যা আগে নিষিদ্ধ ছিল৷ আদালত থেকে শুরু করে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানে নারীরা জায়গা করে নিয়েছে৷ তাদের এই পরিবর্তন কি সামনের দিনেও বজায় থাকবে?
ছবি: Adek Berry/Getty Images/AFP
ভবিষ্যতের অনিশ্চয়তা
মার্কিন বাহিনীর আগমনের পর বাগরাম ঘাঁটি নির্ভর অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড চালু হয়েছিল আশেপাশে৷ জীবিকার তাগিদে অনেক আফগান সেখানে এসে বসবাস শুরু করেন৷ তবে মার্কিন সেনারা চলে যাওয়ায় পরিবারের ভরণপোষণ নিয়ে তারা দুশ্চিন্তায় পড়েছেন৷
ছবি: Adek Berry/Getty Images/AFP
যা পড়ে থাকছে
নিজেদের ব্যবহৃত বুট আর আবর্জনা ছাড়া আফগানিস্তানকে আর কী দিয়ে যাচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র? মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানিকে আশ্বাস দিয়েছেন টেকসই সম্পর্ক গড়ে তেলার৷ তার রূপরেখা কী হবে কিংবা কতটা কার্যকর থাকবে তাই এখন দেখার বিষয়৷
ছবি: Adek Berry/Getty Images/AFP
9 ছবি1 | 9
কর্মী সরায়নি রাশিয়া
পাকিস্তানের মতো রাশিয়াও তাদের দূতাবাস বন্ধ করেনি। কর্মীদেরও দেশে ফিরিয়ে নিয়ে যায়নি। রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা কাবুলভ জানিয়েছেন, তালেবান রাশিয়া ও অন্য কিছু দেশকে জানিয়েছে, তারা দূতাবাসের কর্মীদের সুরক্ষা দেবে। তবে অন্য কোন দেশকে এই প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে, তা তিনি জানাননি। কাবুলভ বলেছেন, জাতিসংঘে জরুরি বৈঠক ডাকা হয়েছে। সেখানেই আফগান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হবে।
জার্মানি চায়
জার্মানি দ্রুত তাদের নাগরিকদের আফগানিস্তান থেকে সরিয়ে আনছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাইকো মাস জানিয়েছেন, প্রথম আফগানিস্তানের প্রতিবেশী কোনো দেশে জার্মান নাগরিকদের সরিয়ে নেয়া হবে। তারপর সেখান থেকে দেশে ফেরানো হবে। রোববার রাতেই অনেককে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
সৌদি আরব ও আমিরাত
সৌদি আরব তাদের দূতাবাসের সব কর্মীকে দেশে ফিরিয়ে নিয়েছে। সরকারি সংবাদসংস্থা এসপিএ জানিয়েছে, কাবুল থেকে সব দূতাবাস কর্মী দেশে ফিরে এসেছেন।
সংযুক্ত আরব আমিরাত জানিয়েছে, তারা এখন পশ্চিমা দেশগুলির কূটনীতিক ও নাগরিকরা যাতে নিরাপদে নিজেদের দেশে পৌঁছে যেতে পারে, সেই সহযোগিতা করছে।
কাতার জানিয়েছে, আফগানিস্তানে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতার হস্তান্তর হওয়ায় তারা খুশি।
ক্যানাডার প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য
ক্যানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেছেন, আফগানিস্তানের মানুষ, বিশেষ করে নারী, বাচ্চা মেয়ে, এলজিবিটি সম্প্রদায়ের পাশে আগের মতোই থাকবে ক্যানাডা। সেই সঙ্গে বেশ কিছু আফগানকে ক্যানাডায় নিয়ে আসার কথাও বলেছেন তিনি। তিনি জানিয়েছেন, কাবুলের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর আবার দূতাবাস খোলা হবে।