আফগানিস্তান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করলেন রাসমুসেন
২১ জুলাই ২০১০পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কোরেশির সঙ্গে আলাপকালে আফগানিস্তানে অনির্দিষ্টকালের জন্যে বিদেশী সৈন্যের উপস্থিতির কথা উল্লেখ করে রাসমুসেন বলেন, আন্তর্জাতিক সৈন্যদের আফগানিস্তান ছেড়ে যাওয়া ক্যালেন্ডারের ওপর নির্ভর করবে না নির্ভর করবে প্রতিশ্রুতির ওপর৷
তিনি বলেন, নিরাপত্তা পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করেই সৈন্য থাকবে, না, থাকবে না – তার সিদ্ধান্ত নেয়া হবে৷ তিনি বলেন, সময় হবার আগেই আফগানিস্তান ছেড়ে ন্যাটো চলে যাবে না৷ রাসমুসেন আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, তাড়াহুড়ো করে সৈন্য প্রত্যাহার করা হলে দেশটিতে তালেবানের আধিপত্য বাড়বে এবং যা আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার ক্ষেত্রে হুমকি হয়ে দাঁড়াবে৷ তিনি বলেন, তালেবান আফগানিস্তানে ফিরে এসে দেশটিকে সন্ত্রাসীদের নিরাপদ ভূমিতে পরিণত করবে এবং আবারও উত্তর আমেরিকা ও ইউরোপের জন্যে আফগানিস্তান হয়ে দাঁড়াবে এক হুমকি৷
মঙ্গলবার আফগানিস্তানে আন্তর্জাতিক সম্মেলনের একদিন পরেই রাসমুসেন এই কথা বললেন৷ ঐ সম্মেলনে আফগান প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই, আফগান বাহিনীর দেশের নিরাপত্তার দায়িত্ব নিজেদের হাতে তুলে নেয়ার সময়সীমা ২০১৪ সাল নির্ধারণ করেছেন৷ আর এই জন্যে ন্যাটো মহাসচিব আফগান নিরাপত্তা সদস্যদের প্রশিক্ষণ দেবার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন৷
যুক্তরাষ্ট্র এবং ন্যাটোর সৈন্য সংখ্যা মিলিয়ে আন্তর্জাতিক বাহিনীর এক লক্ষাধিক সৈন্য রয়েছে এখন আফগানিস্তানে৷ এবং নিজ নিজ দেশের সৈন্য সরিয়ে নেয়ার জন্য আলাদা আলাদা ভাবে প্রতিটি দেশের ওপরই অভ্যন্তরীণ চাপ অব্যাহত রয়েছে৷ রাসমুসেন বলেন, আফগানিস্তানে আন্তর্জাতিক বাহিনীর উপস্থিতি পাকিস্তানের জন্যেও ভালো৷ কেননা দেশটিতে তালেবান এবং আল কায়েদা জঙ্গিরা আধিপত্য বিস্তার করছে৷ পররাষ্ট্রমন্ত্রী কোরেশিকে রাসমুসেন বলেন, ‘‘আপনার প্রতিবেশী দেশে যেন কোন অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি না হয় এবং পেছনে কোন কিছু খালি রেখে আমরা আফগানিস্তান ছেড়ে যাবো না৷''
এদিকে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কোরেশি বলেছেন, আফগানিস্তানে পাকিস্তানের কোন ভূমিকা নেই তবে দেশটিতে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে আফগানরা যদি পাকিস্তানকে সহায়তা করতে বলে তাহলে তারা তা করবে৷
প্রতিবেদন: ফাহমিদা সুলতানা
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন