আফগানিস্তানে প্রবল বৃষ্টির পর ফ্ল্যাশ ফ্লাডে মারা গেছেন ৩১ জন। নিখোঁজ ৪০ জন। পাকিস্তানেও মারা গেছেন ১৩ জন।
বিজ্ঞাপন
প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে বিধ্বস্ত আফগানিস্তান। কয়েকদিন ধরে প্রবল বৃষ্টির পর বন্যা ও ধসে ৩১ জন মারা গেছেন। তালেবানের মুখপাত্র সফিউল্লাহ রহিমি জানিয়েছেন, গত তিন দিনের বৃষ্টিতে মৃত্যুর পাশাপাশি ৭১ জন আহত হয়েছেন। ৪০ জনের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। প্রচুর পশুও মারা গেছে।
রহিমি জানিয়েছেন, কাবুল-সহ দেশের বেশ কয়েকটি জায়গায় বন্যা হয়েছে। পশ্চিম কাবুলে অনেকে মারা গেছেন।
গত এপ্রিলেই জাতিসংঘের মানবাধিকার সংগঠন জানিয়েছিল, আফগানিস্তান টানা তিন বছর খরার মুখে পড়েছে। এর ফলে সাধারণ মানুষের অবস্থা খারাপ হয়েছে। এরপর এই প্রবল বৃষ্টি, বন্যা, ধসে মানুষ বিপর্যস্ত।
আফগানিস্তানে ঠাণ্ডায় ১৬০ জনের মৃত্যু
আফগানিস্তানে এখন প্রচণ্ড ঠাণ্ডা৷ তালেবান ক্ষমতা দখলের পর দেশটিতে ত্রাণ তৎপরতা কমে গেছে৷ এই অবস্থায় তীব্র শীতে মানুষের জীবন বিপর্যস্ত হয়ে উঠেছে৷ ১৬০ জনের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন৷
ছবি: ALI KHARA/REUTERS
প্রাণহানি
আনুষ্ঠানিক হিসেব বলছে, আফগানিস্তানে প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় শুধু জানুয়ারি মাসেই ১৬০ জনের বেশি মানুষ মারা গেছেন৷
ছবি: ALI KHARA/REUTERS
কাঠের বদলে প্লাস্টিক দিয়ে আগুন জ্বালানো
তীব্র শীত থেকে মুক্তি পেতে আগুন জ্বালানোর জন্য কাঠ কেনার সামর্থ্য অনেক আফগানের নেই৷ তাই তারা প্লাস্টিক পুড়িয়ে আগুন ধরাচ্ছেন৷ ছবিতে এক শিশুকে প্লাস্টিক বর্জ্য সংগ্রহ করে নিয়ে যেতে দেখা যাচ্ছে৷ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় ৭০ হাজারের বেশি গবাদিপশু মারা যাওয়ার কথা জানিয়েছে৷ অনেক আফগানের আয়ের অন্যতম উৎস ছিল এসব গবাদিপশু৷
ছবি: ALI KHARA/REUTERS
মাইনাস ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস!
শীতে শরীর গরম রাখতে ক্রিকেট খেলছেন তারা৷ আফগানিস্তানে শীতের সময় তীব্র ঠাণ্ডা পড়ার ঘটনা অস্বাভাবিক নয়৷ তবে এবার ঘোর রাজ্যে মাইনাস ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা দেখা গেছে, যা স্বাভাবিক নয়৷ আবহাওয়া অফিস বলছে, তাপমাত্রা আরও কমে যেতে পারে৷
ছবি: ALI KHARA/REUTERS
বিপদে শিশুরা
আশুর আলি ও তার সন্তানেরা কম্বল জড়িয়ে ঠাণ্ডা থেকে রক্ষা পাওয়ার চেষ্টা করছে৷ আফগানিস্তানে এখন আন্তর্জাতিক সহায়তা পাওয়া কঠিন৷ ত্রিশ লাখ শিশু পুষ্টিহীনতায় ভোগার আশঙ্কায় আছে৷ আন্তর্জাতিক সংস্থায় আফগান নারীদের কাজের উপর তালেবান সরকার নিষেধাজ্ঞা দেয়ায় ঐ সংস্থাগুলোর কাজ স্থগিত আছে৷
ছবি: ALI KHARA/REUTERS
সহায়তার অভাব
কিছু জায়গায় পানির পাইপ জমে গেছে৷ ঘরে হিটিং ব্যবস্থা না থাকায় কম্বল ও গরম কাপড় পরে ঠাণ্ডা মোকাবিলার চেষ্টা করছেন আফগানরা৷ এই অবস্থায় সাম্প্রতিক সময়ে জারি করা নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার বিষয়টি বিবেচনা করতে তালেবানের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জার্মানির কর্মকর্তারা৷
ছবি: ALI KHARA/REUTERS
5 ছবি1 | 5
তালেবান মুখপাত্র জানিয়েছেন, পশ্চিম কাবুলে এক পরিবারের চারজন চকিত বন্যার জলে ভেসে যান। তারা তখন ঘুমাচ্ছিলেন। বিপর্যয় মোকাবিলা কর্মীরা বন্য়াদুর্গত এলাকায় কাজ করছেন। ত্রাণ ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। বন্যা ও ধসে দুর্গত মানুষের সংখ্যা দুই লাখের মতো।
আঞ্চলিক গভর্নরের অফিস থেকে জানানো হয়েছে, বন্যায় কয়েকশ বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কাবুল ও বামিয়ানের মধ্যে সড়ক বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
পাকিস্তানের অবস্থা
পাকিস্তানেও প্রবল বৃষ্টি হয়েছে। তারপর অনেক জায়গায় ধস নেমেছে। ১৩ জন মারা গেছেন। খাইবার পাখতুনখোয়াতে মারা গেছেন নয়জন। গিলগিট বালতিস্তান এলাকায় ধসের ফলে এক পরিবারের চারজন মারা গেছেন।