1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আফগানিস্তান সম্মেলন নিয়ে জার্মানির প্রত্যাশা

৩ ডিসেম্বর ২০১১

এই বন শহরের ‘পেটার্সব্যার্গ’-এই অনুষ্ঠিত হয়েছিল আফগানিস্তান বিষয়ক প্রথম সম্মেলনটি৷ আর আগামী ৫ই ডিসেম্বর, ঠিক দশ পর, আফগানিস্তানের ভবিষ্যত নিয়ে অনুষ্ঠিতব্য সম্মেলনটির আয়োজক আবারো জার্মানি৷

আফগান প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাইছবি: dapd

দীর্ঘ দশ বছর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছ থেকে বিভিন্ন ধরণের সাহায্য, সহযোগিতা পেয়ে এসেছে আফগানিস্তান৷ দেশের পুনর্গঠন, দেশবাসীর সুরক্ষা, সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষণ, আর তার জন্য অর্থনৈতিক ও কারিগরি সহযোগিতা – সবই পেয়েছে তারা৷ কিন্তু এবার, আর মাত্র তিন বছরের মধ্যেই, দেশের নিরাপত্তার দায়িত্ব আবার নিজেদের হাতেই তুলে নিতে হবে আফগানিস্তানকে৷ এমনটাই চাইছে আন্তর্জাতিক সমাজ, বিশ্ব, এমনকি আফগান সরকারও৷ কিন্তু এহেন একটা পটপরিবর্তন ঠিক কিভাবে ঘটবে? বন শহরের এই সম্মেলনে কিই বা নির্ধারিত হবে?

জার্মান প্রতিরক্ষামন্ত্রী টোমাস ডেমেজিয়ের'এর কথায়, এর জন্য আমরা একটি দু'দফা পরিকল্পনা নিয়েছি, যাতে করে আমরা ২০১৪ সালের মধ্যে আফগানিস্তানে মোতায়েন সকল সৈন্য প্রত্যাহার করতে সক্ষম হই৷ একটি রাজনৈতিক৷ অন্যটি সেনাবাহিনী পরিচালনার সঙ্গে সম্পৃক্ত৷ আর এর জন্য আফগান সরকারকেও এগিয়ে আসতে হবে৷ বিশেষত নিরাপত্তা রক্ষার ক্ষেত্রে৷

স্বাভাবিকভাবেই, দেশটির অভ্যন্তরীণ সুরক্ষাই এখানে সবচেয়ে বেশি গুরত্ব পাচ্ছে৷ তাই আফগানিস্তানের প্রায় ১৩ লক্ষ পুলিশ এবং ১৭ লক্ষ ৫ হাজার সেনাকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে৷ আন্তর্জাতিক সাহায্যের মানদণ্ডে এ সংখ্যাটা খুব কম নয়! বলা বাহুল্য, এই প্রশিক্ষণের পাশাপাশি চলছে ন্যাটো সেনাদের আফগানিস্তান থেকে প্রত্যাহার করে নেয়ার কাজ৷ এই যেমন, মার্কিন সেনাদের একটা বড় অংশ দেশে ফিরে গেছে৷ জার্মান সেনা প্রত্যাহারও শুরু হয়ে গেছে ইতিমধ্যে৷

আফগানিস্তানের পুনর্গঠনের জন্য কিছু জার্মান সেনা থেকে যাবে দেশটিতে (ফাইল ফটো)ছবি: picture-alliance/dpa

জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিডো ভেস্টারভেলে বলেন, আমাদের সেনারা গত দশ বছর ধরে আফগানিস্তানে রয়েছে৷ এটা তো হতে পারে না যে, আগামী দশ বছরও তারা সেখানেই পড়ে থাকবে৷ তাই এটা জার্মানির লক্ষ্য, তার সঙ্গে সঙ্গে আমারও লক্ষ্য – যাতে আমরা ২০১৪ সালের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের কাজটি শেষ করতে পারি৷

যুদ্ধক্ষেত্র থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নিলেও, আফগানিস্তানের পুনর্গঠনের জন্য কিছু জার্মান সেনা থেকে যাবে দেশটিতে৷ তবে আগের মতো আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলের পুরো দায়িত্ব তাদের হাতেই থাকবে কিনা – এ নিয়ে বিতর্ক এখনও থেকে গেছে৷ জার্মানির ভিতরেও বিভিন্ন মহলের ইচ্ছা-অনিচ্ছায় ভিন্নতা আছে৷ আফগান প্রেসিডেন্ট হামিদ কার্জাই অবশ্য আগামী তিন বছরকে বেশ একটা বড় সময় বলেই ধরে নিচ্ছেন৷ তিনি অনেকটাই নিশ্চিৎ যে, আফগানিস্তানের নিরাপত্তার সম্পূর্ণ দায়িত্ব নিতে পারবে তাঁর সরকার৷

অন্যদিকে কিন্তু, আফগানিস্তানের সাধারণ মানুষ বেশ আতঙ্কিত৷ তাদের প্রশ্ন – দেশ থেকে বিদেশি সেনারা চলে গেলে তালেবান জঙ্গিরা আবারো ক্ষমতায় ফিরে আসবে না তো? তাদের কেউ যে তালেবান শাসন অথবা গৃহযুদ্ধ – কোনোটাই চায় না!

জার্মানির আফগান-বিশেষজ্ঞ মিশায়েল স্টাইনার জানান, আসলে আফগানিস্তান নিজে তাদের নিরাপত্তার দায়িত্ব আদৌ নিতে সক্ষম হবে কিনা – এটা একটা মনস্তাতাত্ত্বিক প্রশ্ন৷ হঠাৎ করে বিদেশি সেনা দেশ ছেড়ে চলে গেলে, আবারো আগের অবস্থা ফিরে আসবে – এই ভয়টা হওয়াই তো স্বাভাবিক৷ তাই আমাদের সব সময় এ ব্যাপারটা নিশ্চিৎ করতে হবে যে, ‘আমরা তোমাদের সঙ্গেই আছি'৷ এই বিশ্বাসটা অর্জন করাই হতে হবে বন সম্মেলনের মূল লক্ষ্য৷

প্রতিবেদন: দেবারতি গুহ

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ