1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আফগান-মার্কিন চুক্তি

২১ নভেম্বর ২০১৩

প্রবেশেও সমস্যা ছিল, প্রস্থানও সহজ হচ্ছে না৷ আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহারের পরিকল্পনাকে ঘিরে আজও অস্বস্তি রয়ে গেছে৷ ভবিষ্যৎ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের রূপরেখা নিয়ে আলোচনা করছে লোইয়া জির্গা৷

Afghan President Hamid Karzai speaks during the opening of the Loya Jirga, in Kabul November 21, 2013. Karzai told a meeting of tribal elders and political leaders on Thursday they should support a vital security pact with the United States, but acknowledged there was little trust between the two nations. REUTERS/Omar Sobhani (AFGHANISTAN - Tags: POLITICS)
ছবি: Reuters

বুধবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি ও আফগান প্রেসিডেন্ট হামিদ কার্জাই-এর মধ্যে আলোচনা৷ বৃহস্পতিবার লোইয়া জির্গার বৈঠক৷ তারপর সংসদে ভোটাভুটি৷ এটাই আপাতত ‘রোড-ম্যাপ'৷ ২০১৪ সালে ন্যাটোর অভিযান আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হবার পর দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের রূপরেখা কী হবে, সেই মর্মে একটি চুক্তির খসড়া প্রস্তুত হয়ে গেছে৷ আফগান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে খসড়াটি প্রকাশিত হয়েছে৷

চুক্তির খসড়া অনুযায়ী ২০১৪ সালের পরেও আফগানিস্তানের নিরাপত্তার স্বার্থে মার্কিন সৈন্যরা আফগানিস্তানে থাকবে৷ তবে আফগান আইনের আওতার বাইরে থাকবে তারা৷ কূটনীতিকদের যে রক্ষাকবচ থাকে, মার্কিন সৈন্যরাও খানিকটা সে রকম বিশেষ মর্যাদা পাবে৷ কেরি বলেছেন, তাদের ভূমিকা প্রশিক্ষণ ও সহায়তার মধ্যেই সীমিত থাকবে৷ তবে চুক্তি অনুযায়ী আফগান ও মার্কিন স্বার্থে আল কায়েদার বিরুদ্ধে সশস্ত্র অভিযানের পথ খোলা থাকবে৷

ছবি: picture-alliance/AP

চুক্তি সম্পর্কে কার্জাই আরও বলেন, যে ১০ থেকে ১৫ হাজার বিদেশি সৈন্য আফগানিস্তানে থেকে যেতে পারে৷ অর্থাৎ শুধু অ্যামেরিকা নয়, অন্য কিছু দেশের সৈন্যও মোতায়েন থাকবে৷ ১০ বছর ধরে তারা আফগান সেনাবাহিনীর সহায়তা করবে৷ ২০২৪ সালে তাদের দেশ ছেড়ে চলে যাবার কথা, যদিও খসড়ায় প্রয়োজনে সেই মেয়াদ বাড়ানোর ইঙ্গিত রয়েছে৷ তাছাড়া আফগানিস্তানে মোট ৯টি সামরিক ঘাঁটি চালু রাখবে অ্যামেরিকা৷

বিভিন্ন উপজাতি ও গোষ্ঠীর প্রায় ২,৫০০ নেতাদের সমাগমে বসেছে লোইয়া জির্গার ৪ দিনের অধিবেশন৷ সেখানে কার্জাই কোনো রাখঢাক না করে অত্যন্ত খোলামেলাভাবে অ্যামেরিকার প্রতি তাঁর মনোভাব স্বীকার করেন৷ তিনি বলেন, অ্যামেরিকার সঙ্গে তাঁর আস্থার সম্পর্ক মোটেই ভালো নয়৷ কার্জাইয়ের ভাষায় ‘‘আমি তাদের বিশ্বাস করি না৷ তারাও আমাকে বিশ্বাস করে না৷ গত ১০ বছর ধরে আমি তাদের সঙ্গে ঝগড়া করেছি৷ তারা আমার বিরুদ্ধে প্রচারণা চালিয়ে গেছে৷'' তা সত্ত্বেও তিনি দ্বিপাক্ষিক চুক্তির প্রতি সমর্থনের আবেদন জানান৷ তিনি বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা তাঁকে আশ্বাস দিয়ে বলেছেন, যে মার্কিন বাহিনী ২০১৪ সালের পর আফগান নাগরিকদের নিরাপত্তাকে মর্যাদা দেবে৷ প্রায় ৩০ বছর ধরে যুদ্ধের পর আফগানিস্তানের ভবিষ্যৎ সমৃদ্ধির স্বার্থে এই চুক্তি অত্যন্ত জরুরি বলে মনে করেন কার্জাই৷

উপস্থিত নেতারা চুক্তির খসড়া খতিয়ে দেখে তাতে রদবদলের দাবি করতে পারেন বা গোটা চুক্তিটিরই বিরোধিতা করতে পারেন৷ তাঁদের সিদ্ধান্তের প্রভাব পড়বে নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের উপর৷ সব কিছু ঠিকমতো চললে সংসদেই এই চুক্তি অনুমোদন করা হবে৷

সরকার ও উপজাতীয় নেতারা ঐকমত্যে পৌঁছালেও তালেবান তাদের গুরুত্ব দিতে নারাজ৷ তারা এমনকি লোইয়া জির্গাকে ‘প্রহসন' ও মার্কিন ষড়যন্ত্র হিসেবে বর্ণনা করে৷ ২০১১ সালে পরিষদের বৈঠক চলার সময় তারা তাঁবুর দিকে লক্ষ্য করে রকেট নিক্ষেপ করেছিল৷ উপস্থিত ডেলিগেটরা অ্যামেরিকার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি অনুমোদন করলে এবারেও তাদের উপর হামলার হুমকি দিয়েছে তালেবান৷

এসবি/ডিজি (ডিপিএ, রয়টার্স, এপি, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ