1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পুলিশের সঙ্গে জার্মান শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ

১ জুন ২০১৭

এক আফগান শরণার্থীকে ক্লাসরুম থেকে তুলে নিয়ে তার দেশে ফেরত পাঠানো নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে জার্মানিতে৷ শরণার্থীর জার্মান সহপাঠীরা তাঁর বিতাড়ন ঠেকাতে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছে৷

Deutschland Polizeieinsatz bei Schülerdemo gegen Abschiebung in Nürnberg
পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে কয়েকশত শিক্ষার্থীছবি: picture-alliance/dpa/Nürnberger Nachrichten/ARC/M. Matejka

জার্মানির ন্যুরেমবার্গ শহরে বুধবারের ঘটনা৷ এক আফগান শরণার্থীকে দেশে ফেরত পাঠানোর সরকারি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে কাজ শুরু করে পুলিশ৷ বিশ বছর বয়সি শরণার্থীকে তার ভোকেশনাল স্কুলের ক্লাসরুম থেকে তুলে বিতাড়ন কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া ছিল তাদের উদ্দেশ্য৷ কিন্তু বাধ সাধে কয়েকশত শিক্ষার্থী৷ যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তানে শরণার্থীকে ফেরত পাঠানো রুখতে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় শিক্ষার্থীরা৷

ছবি: picture-alliance/dpa/Nürnberger Nachrichten/ARC/M. Matejka

সংঘর্ষে নয় পুলিশ সদস্য আহত হয়৷ এছাড়া পাঁচজনকে সাময়িকভাবে আটক করা হয়৷ প্রতিবাদকারীদের ঠেকাতে পুলিশ মরিচের গুঁড়া এবং কুকুর ব্যবহার করেছে৷ আর জনতাও পুলিশের গাড়ি আটকানোর চেষ্টা করেছে বোতল ছুড়ে, কেউ কেউ আবার গাড়ির সামনে শুয়েও পড়েছে৷ পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ভিডিও ইতোমধ্যে ইন্টারনেটে ভাইরাল হয়ে গেছে৷

প্রসঙ্গত, ন্যুরেমবার্গের এই ঘটনা এমন একদিনে ঘটেছে, যেদিন আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে ট্রাক বোমা বিস্ফোরণে প্রায় নব্বই ব্যক্তি নিহত এবং কয়েকশত আহত হয়৷ জার্মান দূতাবাসও বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে৷ অথচ আফগানিস্তানকে কিছুদিন আগে ‘নিরাপদ রাষ্ট্র’ ঘোষণা করে রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থীদের মধ্যে যাদের আবেদন বাতিল হয়েছে, তাদের ফেরত পাঠাতে শুরু করে জার্মানি৷ ইতোমধ্যে পাঁচটি ফ্লাইটে শতাধিক আশ্রয়প্রার্থীকে ফেরত পাঠানো হয়েছে৷ তবে বোমা হামলার পর বুধবারের ফ্লাইটটি স্থগিত করা হয়েছে৷

ছবি: picture-alliance/dpa/Nürnberger Nachrichten/ARC/M. Matejka

এদিকে, ন্যুরেমবার্গের ঘটনার পর জার্মানির বিতাড়ন নীতি নিয়ে নতুন করে ভাবা দরকার বলে মতামত জানিয়েছেন রাজনীতিবিদরা৷ ন্যুরেমবার্গের মেয়র উলরিশ মাল্যে জানিয়েছেন যে, আফগানিস্তানে শরণার্থীদের ফেরত পাঠানোর কেন্দ্র সরকারের নীতি পুনরায় বিবেচনা করা উচিত৷ ‘‘ক্লাসরুম থেকে একজন শিক্ষার্থীকে তুলে নেয়া গ্রহণযোগ্য নয়,’’ বলেন তিনি৷

তবে ম্যার্কেলের দল সিডিইউ'র সিসটার পার্টি সিএসইউ মনে করছে, কাবুলে হামলা হলেও সে কারণে বিতাড়ন নীতিতে পরিবর্তনের কোনো দরকার নেই৷ কার্যত, এই দলের চাপেই অভিবাসন নীতি কঠোর করেছে জার্মানি৷

এআই/এসিবি (কেএনএ, ডিপিএ, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

বাংলাদেশ