1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কিশোর ফুটবলারদের পাচার

১১ নভেম্বর ২০১৩

আদম-ব্যবসায়ীরা এশিয়া ও আফ্রিকার অনেক উন্নয়নশীল দেশ থেকে ইউরোপে মানব-পাচার করে থাকে, এটা নতুন কোনো ঘটনা নয়৷ কিন্তু ফুটবলার হবার স্বপ্ন দেখিয়ে আফ্রিকান কিশোরদের মিথ্যা প্রলোভনের ঘটনা জানতেন কি?

Die Rechte wurden uns vom DW Korrespondent in Bissau (Guiné-Bissau), Braima Darame erteilt. Zulieferer: Maria João Pinto (Portugiesisch fur Afrika) Titel: Neighbourhood Soccer Championships Guinea Bildbeschreibung: One of the games from the Neighbourhood Soccer Championships. This one took place in the Platine Field, in Cuntum Madina Neighbourhood, in Bissau Fotograf: Braima Darame (DW Korrespondent) Wann wurde das Bild gemacht: 26.08.2013 Wo wurde das Bild aufgenommen: Bissau (Guiné-Bissau) Schlagwörte: Children, Guinea-Bissau, Soccer
ফাইল ফটোছবি: DW/B. Darame

আফ্রিকার অনেক দেশে দরিদ্র কিশোরদের একমাত্র মনোরঞ্জনের পথ ফুটবল৷ মাঠেঘাটে, বস্তির মধ্যে, সমুদ্রতটে ফুটবল খেলে তারা৷ অনেকেরই সুঠাম শরীর, দারুণ স্ট্যামিনা৷ আফ্রিকান বংশোদ্ভূত ইটালির ফুটবল তারকা মারিও বালোতেলি বা আনজেলো অগবনা তাদের অনেকের কাছেই আদর্শ৷ সামুয়েল এটোও বা দিদিয়ে দ্রগবারও ভক্ত কম নয়৷ সেই স্বপ্নের হাতছানি দেখিয়ে অসাধু আদম-ব্যবসায়ীরা হাজার হাজার আফ্রিকান কিশোরদের বিপুল অর্থের বিনিময়ে ইউরোপে নিয়ে গিয়ে কার্যত পথে বসাচ্ছে৷ শুধু ইউরোপ নয়, সম্প্রতি কামেরুন থেকে একদল খেলোয়াড়কে নেপালে নিয়ে গিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়৷

কামেরুনের আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ফুটবলার জঁ ক্লোদ মভুম্যাঁ সিএফএস নামের এক সংগঠনের প্রধান হিসেবে এই সমস্যা সম্পর্কে অনেক তথ্য সংগ্রহ করেছেন৷ তাঁর মতে, প্রতি বছর এভাবে প্রায় ১৫,০০০ তরুণ আফ্রিকান ফুটবল খেলোয়াড়দের বিদেশে নিয়ে যাওয়া হয়৷ যারা এই কাজ করে, তারা প্রায়ই নামি ইউরোপীয় ফুটবল ক্লাবের নকল ভিজিটিং কার্ড ছাপিয়ে খেলোয়াড় প্রতি ৩ থেকে ১০ হাজার ইউরো আদায় করে৷ সন্তানদের কল্যাণের কথা ভেবে অনেক পরিবার প্রয়োজনে ধার-দেনা করেও সেই অর্থ জোগাড় করে৷

আন্তর্জাতিক ফুটবল সংগঠন ফিফা-ও এই সমস্যা সম্পর্কে সচেতন৷ ১৮ বছরের কম বয়সি ফুটবলারদের আন্তর্জাতিক ট্রান্সফারের ক্ষেত্রে ক্লাবগুলির জন্য অনেক কড়া নিয়ম চালু করা হয়েছে৷ ইলেক্ট্রনিক ‘ট্রান্সফার ম্যাচিং সিস্টেম' নামের একটি ব্যবস্থা চালু করার পর অপ্রাপ্তবয়স্ক ফুটবলারদের বিদেশে খেলার ঘটনা অনেক কমে গেছে বলেও ফিফা দাবি করছে৷ কিন্তু যারা এই নিয়মের আওতায় রয়েছে, সেই সব স্বীকৃত ক্লাব ও অ্যাকেডামিকে নিয়ে সমস্যা নেই৷ কিন্তু কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান বে-আইনি পথে খেলোয়াড় পাচার করতে চাইলে সে ক্ষেত্রে ফিফার তেমন কিছুই করার থাকে না৷ তাছাড়া যে সব অ্যাকাডেমি আফ্রিকা মহাদেশে তরুণদের ফুটবল জগতে সক্রিয়, তাদের প্রায় ৮০ শতাংশেরই কোনো স্বীকৃতি নেই৷

এসবি/ডিজি (রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ