1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নতুন চ্যাম্পিয়ন

১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১২

আফ্রিকা মহাদেশের সেরা ফুটবল টিম হিসেবে নিজেদের জায়গা করে নিল জাম্বিয়া৷ ১৯৯৩ সালে এক মর্মান্তিক বিমান দুর্ঘটনায় জাম্বিয়ার জাতীয় দল নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়৷ ফলে সেদেশের কাছে এই জয়ের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে৷

এবারের ‘আফ্রিকা কাপ অফ নেশনস'এ বিশেষজ্ঞদের অনেক হিসেবই মেলে নি৷ রবিবার রাতে আইভরি কোস্ট ও জাম্বিয়ার মধ্যে ফাইনাল ম্যাচে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কোনো ফয়সালা হয় নি৷ শেষ পর্যন্ত পেনাল্টি'তে ৮-৭ গোলে জয়লাভ করে জাম্বিয়া৷ সুদান ও ইকোয়েটেরিয়াল গিনি'র মতো দেশ অ্যাঙ্গোলা ও সেনেগাল'এর মতো শক্তিশালী প্রতিপক্ষকে পেছনে ফেলে কোয়ার্টার ফাইনালে এগিয়ে যাবে, এমনটা কেউ ভাবতে পারে নি৷ ঘানা ও আইভরি কোস্ট'কে হারিয়ে জাম্বিয়া'র শিরোপা জয়ও আফ্রিকার ফুটবল জগতে বিস্মিত করেছে৷

এই নিয়ে ২৮ বার অনুষ্ঠিত হলো ‘আফ্রিকা কাপ অফ নেশনস' – ফরাসি ভাষায় যার পোশাকি নাম সিএএফ৷ আয়োজক দেশ ছিল ইকোয়েটেরিয়াল গিনি ও গাবন৷ কোনো সমস্যা ছাড়াই খেলোয়াড়, কর্মকর্তা ও দর্শকরা সহজেই এই দুই দেশের মধ্যে যাতায়াত করতে পেরেছে৷ সব মিলিয়ে আফ্রিকার ফুটবল সংগঠনের কর্মকর্তা ইসা হায়াতু খুবই সন্তুষ্ট৷ তিনি আয়োজকদের উদ্দেশ্যে নির্দেশ দিয়েছেন, যাতে তারা দুই দেশের শীর্ষ নেতাদের কাছে বিশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে৷

এই সফল আয়োজনের ফলে সামগ্রিকভাবে আফ্রিকার ফুটবল জগত সম্পর্কে বাড়তি আগ্রহের সৃষ্টি হয়েছে৷ এবার খেলার মান ছিল আগের তুলনায় উন্নত৷ এমন অনেক খেলোয়াড়কে মাঠে দেখা গেছে, যারা ম্যানচেস্টার সিটি, চেলসি, বার্সেলোনা বা আর্সেনাল'এর মতো নামী ক্লাবে খেলেন৷

প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে গোটা মহাদেশের মানুষ টেলিভিশনের পর্দায় এই প্রতিযোগিতা দেখার সুযোগ পেয়েছেন বটে, কিন্তু মাঠে যথেষ্ট সংখ্যক দর্শক দেখা যায় নি৷ এমনকি কয়েকটি ম্যাচে বড়জোর হাজার খানেকের বেশি দর্শক আসেন নি৷ প্রায় ৩৭,০০০ মানুষের আসনে এত কম দর্শক কোনো প্রতিযোগিতার পক্ষে মোটেই গৌরবের বিষয় হতে পারে না৷ আফ্রিকার ফুটবল সংগঠনের কর্মকর্তা ইসা হায়াতু বিষয়টি নিয়ে বেশ অস্বস্তিতে পড়েছেন৷ তবে তিনি বলেন, ‘‘জোর করে তো দর্শকদের মাঠে আনা যায় না! আমরা আমাদের সাধ্য মতো চেষ্টা করেছি মাত্র৷'' তবে অনেকে বলছেন, আয়োজক দেশ না খেললে সেদেশের মানুষের আগ্রহ কমে যায় – এমন ঘটনা আগেও অনেক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় দেখা গেছে৷

প্রতিবেদন: সঞ্জীব বর্মন

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ