1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আফ্রিকার প্রগতির কল্পকাহিনি

ইউলিয়া হান / এসি২৫ মে ২০১৩

৫০ বছর রাজনৈতিক ঐক্য উদযাপন করছে আফ্রিকা৷ সেই সঙ্গে রয়েছে উচ্চ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, উচ্চ বিদেশি বিনিয়োগ৷ আফ্রিকাকে আজ এক বিপুল সম্ভাবনার এলাকা বলে মনে করা হচ্ছে৷ কিন্তু সবাই যে এই প্রগতি থেকে লাভবান হচ্ছে, এমন নয়৷

Im Armenviertel Cazenga, im Westen der Hauptstadt Luanda, leben etwas mehr als 400 Tausend Menschen auf etwa 40 Quadratkilometern. Wegen starken Regenfällen müssen die Bewohner durch den Schlamm waten. Aus dieser Gegend stammen viele Politiker der Regierungspartei MPLA. "Eine der Prioritäten von einst armen Politikern ist das schnelle Reichtum", erklärt der angolanische Ökonom Fernando Heitor. 04.11.2012, Luanda Copyright: DW/Renate Krieger
ছবি: DW/R. Krieger

আফ্রিকার প্রতি তিনজন বাসিন্দার মধ্যে দু'জনের কাছে আজ সেলফোন বা স্মার্টফোন পাওয়া যাবে৷ লোকের ক্রয়ক্ষমতা বাড়ছে, পণ্যের বাজারের সম্প্রসারণ ঘটছে৷ আফ্রিকায় বিলিয়নেয়ারদের সংখ্যাও বেড়ে চলেছে৷ এশিয়ার ‘‘টাইগার'' রাষ্ট্রগুলির পর এবার আফ্রিকার ‘‘সিংহদের'' পালা! রাজনীতিক, অর্থনীতিবিদ বা সাংবাদিক, সকলের মুখেই সেই সাফল্যের কাহিনি৷

জন্মসূত্রে কেনিয়ার মানুষ আনভার ভার্সি লন্ডনের আফ্রিকান বিজনেস ম্যাগাজিন'এর প্রকাশক৷ তাঁর মতে আফ্রিকা আগামী ৫০ বছরে বিশ্বের সবচেয়ে প্রবৃদ্ধিশালী বাজার হয়ে উঠবে, কেননা মহাদেশটিতে যেমন প্রাকৃতিক সম্পদ, তেমনি লোকবল, দুই'ই রয়েছে৷ ‘‘বিনিয়োগের জন্য আফ্রিকাই এখন সবচেয়ে আকর্ষণীয়৷ চীনারা সেটা দশ, পনেরো বছর আগেই বুঝতে পেরেছে৷ এবার জার্মান শিল্পসংস্থা এবং সাধারণভাবে ইউরোপীয়দের সেটা উপলব্ধি করা উচিত,'' বলেন ভার্সি৷

রেকর্ড প্রবৃদ্ধি

বিশ্বব্যাংকের ভবিষ্যদ্বাণী যে, ২০১৩ থেকে ২০১৫ অবধি সাব-সাহারান আফ্রিকার প্রবৃদ্ধি ঘটবে গড়ে পাঁচ শতাংশ করে – ঐ একই সময়কালে বিশ্ব অর্থনীতি বাড়বে তিন শতাংশ করে৷ সাব-সাহারান আফ্রিকার কয়েকটি অর্থনীতি বাড়ছে রেকর্ড হারে, যেমন সিরেয়া লিওন-এর অর্থনীতি (১১ শতাংশ) কিংবা গাম্বিয়ার অর্থনীতি (১০ শতাংশের বেশি)৷ মোজাম্বিক আর কঙ্গো গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রের অর্থনীতি বাড়ছে আট শতাংশ হারে৷

মুশকিল এই যে, এই প্রবৃদ্ধির একটা বড় অংশ আসছে বিশ্বব্যাপী কাঁচামালের দাম বাড়ার ফলে, শুধু খনিজাতই নয়, কৃষিজাত কাঁচামালও বটে৷ অর্থাৎ আফ্রিকার প্রবৃদ্ধির পিছনে মূল শক্তি হল ক্রমবর্ধমান রপ্তানি৷ আফ্রিকা যে বৈদেশিক বাণিজ্যের উপর নির্ভরশীল, সে ব্যাপারে আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিল ও বিশ্বব্যাংক, উভয়েই সাবধান করে দিয়েছে৷ এবং ঐ কাঁচামাল নিয়ে ব্যবসাতে ছেয়ে আছে দুর্নীতি ও কর ফাঁকি দেওয়া, জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি-মুন স্বয়ং কেপটাউনে সাম্প্রতিক বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামে যে কথা উল্লেখ করেছেন৷

সমৃদ্ধ শহর, দরিদ্র গ্রামাঞ্চল

আফ্রিকার দেশগুলির পরস্পরের মধ্যে বাণিজ্য প্রায় নেই বললেই চলে৷ শিল্পায়ন চলেছে শম্বুকগতিতে৷ কৃষি থেকে মহাদেশটি নিজের ক্ষুধাই মেটাতে পারে না৷ কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধির বিশেষ প্রভাব পড়েনি৷ খোদ দক্ষিণ আফ্রিকায় বেকারত্বের মাত্রা প্রায় ২৫ শতাংশ, যার ভুক্তভোগী প্রধানত যুব সম্প্রদায় ও গ্রামাঞ্চলের মানুষ৷

অপরদিকে লুয়ান্ডা, জোহানেসবার্গ বা নাইরোবি'র মতো বড় শহর দেখলে অর্থনৈতিক প্রগতির একটা অন্যরকম চিত্র ফুটে উঠবে: গৃহনির্মাণ, টেলিযোগাযোগ, খুচরো ব্যবসায় বা ব্যাংকিং, সর্বত্রই বাজার সরগরম৷ আফ্রিকার নতুন মধ্যবিত্ত শ্রেণীর বাসও এই শহরগুলিতে৷ কিন্তু বাকিরা?

কে জেতে, কে হারে

আফ্রিকার অর্থনৈতিক তেজি থেকে যে সব দেশ লাভবান হয়েছে, তারা হল মরিশাস, সেশেলস কিংবা কেপ ভার্ডে'র মতো দ্বীপরাজ্য, এছাড়া বৎসোয়ানা, ঘানা এবং দক্ষিণ আফ্রিকা৷ অপরদিকে দুই-তৃতীয়াংশ দেশগুলির উন্নয়নের বিশেষ আশা নেই, রাজনৈতিক অস্থিরতা ও গৃহযুদ্ধও যার একটা বড় কারণ৷

সত্যিকারের উন্নয়নের জন্য সর্বত্রই উপযুক্ত অবকাঠামোর প্রয়োজনছবি: DW/M. Barroso

মালি উত্তরের ইসলামপন্থিদের মোকাবিলা করতে ব্যস্ত৷ কঙ্গোয় এম২৩ বিদ্রোহীরা অগ্রসর হচ্ছে৷ সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকে সবেমাত্র আরো একটি সামরিক অভ্যুত্থান ঘটেছে৷ নাইজিরিয়ার মতো তেলসমৃদ্ধ দেশেও দারিদ্র্য, রাজনৈতিক বিরোধ ও দুর্নীতি উন্নয়নের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে৷

মজার কথা এই যে, যে'সব দেশগুলির প্রাকৃতিক সম্পদ কিংবা খনিজ তেল নেই, তারাই সবচেয়ে বেশি উন্নয়ন ঘটিয়েছে, কেননা তারা পরিষেবা কিংবা কৃষি বিকাশের উপর মনোনিবেশ করতে পেরেছে৷ তবে সত্যিকারের উন্নয়নের জন্য সর্বত্রই উপযুক্ত অবকাঠামোর প্রয়োজন৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ