1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

প্রভাব বাড়াচ্ছে চীন

নাদিনা সোয়ারজবেক/এআই১২ জানুয়ারি ২০১৩

আফ্রিকার জন্য রেডিও, সংবাদ সংস্থা, টিভি চ্যানেল এবং সংবাদপত্র চালু করেছে চীন৷ এসবের মাধ্যমে সেখানকার মিডিয়া খাতে নিজেদের প্রভাব বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে তারা৷ এটা অবশ্য লাভজনকই, কেননা বাণিজ্যও বাড়ছে এতে৷

Screenshot der Internetseite "CCTV Afrika " vom 03.01.2013. Link: http://cctv.cntv.cn/lm/africalive/01/index.shtml ***ACHTUNG: Das Bild darf nur im Zusammenhang mit der Berichterstattung zu "CCTV Afrika ." verwendet werden.***
ছবি: cctv.cntv.cn

গত বছরের প্রথম ছয় মাসে আফ্রিকায় ৪৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করেছে চীন৷ অর্থের এই হিসেব দেখে বিস্মিত হওয়ার কোনো কারণ নেই৷ কেননা, গত তিন বছরে চীনের সঙ্গে আফ্রিকার বাণিজ্য বেড়েছে প্রায় তিনগুন৷ ফলে চীনের এই বিনিয়োগ মোটেই অপ্রয়োজনে নয়৷ দেশটি এবার মনোযোগী হয়েছে আফ্রিকার মিডিয়া খাতে৷ সেখানকার জনসাধারণের জন্য রেডিও, সংবাদ সংস্থা, টিভি চ্যানেল আর সংবাদপত্র চালু করেছে চীন৷

বিবিসি'র আফ্রিকা বিষয়ক বিশেষজ্ঞ মেরি হারপার বলেন, ‘‘আফ্রিকার মিডিয়া খাতে চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব একটি স্বাভাবিক অগ্রগতি৷ আপনি যদি কয়েক বছর আগের দিকে তাকান, তাহলে বুঝবেন চীন আফ্রিকাকে ব্যাপক সম্ভাবনাময় অঞ্চল বিবেচনা করেই এগিয়েছে এবং বর্তমানে আফ্রিকার সবচেয়ে বড় বাণিজ্য সহযোগী হচ্ছে চীন৷''

এখন প্রশ্ন হচ্ছে, আফ্রিকার মিডিয়া খাতে চীন আধিপত্য বাড়াতে এত উৎসাহী কেন?ছবি: AP

২০১২ সালের শুরুতে চীন ইংরেজি ভাষায় সিসিটিভি আফ্রিকা চালু করে৷ এই টিভি চ্যানেল ম্যাগাজিন, টক শো, তথ্যচিত্র প্রদর্শন ছাড়াও আফ্রিকার মুঠোফোন ব্যবহারকারীদের জন্য ইন্টারনেট টিভি ম্যাগাজিন প্রচার করছে৷ পাশাপাশি চীনের সংবাদ সংস্থা সিনহুয়া কেনিয়ার একটি মুঠোফোন কোম্পানির সঙ্গে যৌথভাবে সাব-সাহারান অঞ্চলে প্রথমবারের মতো মোবাইল নিউজ সার্ভিস শুরু করেছে৷

এখন প্রশ্ন হচ্ছে, আফ্রিকার মিডিয়া খাতে চীন আধিপত্য বাড়াতে এত উৎসাহী কেন? উত্তরটা দিলেন হারপর৷ তাঁর ভাষায়, পশ্চিমা গণমাধ্যম চীন সম্পর্কে সাধারণত নেতিবাচক সংবাদ বেশি প্রচার করে৷ কিন্তু আফ্রিকার জনসাধারণের কাছে চীন নিজেদের এমনভাবে উপস্থাপন করতে চায়, যা পশ্চিমা গণমাধ্যম থেকে ভিন্ন৷ তারা এখন চাইছে, আফ্রিকার জনসাধারণকে সেখানে তাদের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে জানাতে৷

পূর্ব আফ্রিকার মিডিয়া হাব খ্যাত কেনিয়ার নাইরোবিতে বিভিন্ন চীনা গণমাধ্যমের কার্যালয় রয়েছে৷ এদের মধ্যে আছে চায়না রেডিও ইন্টারন্যাশনাল, যারা গত কয়েকবছর যাবত সেখানে অবস্থান করছে এবং সোহেলি ভাষায় সংবাদ প্রকাশ করছে৷

চীনের এই মিডিয়া অগ্রগতির কিছু নেতিবাচক দিকও রয়েছে৷ উদাহরণস্বরূপ বলা যেতে পারে ইথিওপিয়ার কথা৷ চীন সেদেশে গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত একটি ব্যবস্থা তৈরিতে অর্থায়ন করেছে৷ ফলে এখন ইথিওপিয়ার গণমাধ্যম সরকারের সমালোচনা করতে গেলেই বিপাকে পড়ছে৷ এমনকি সাংবাদিকদের জেলও খাটতে হচ্ছে, যেমনটা চীনে দেখা যায়৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ