1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

খাদ্য নিরাপত্তা বাড়াতে উদ্যোগ

২ নভেম্বর ২০১৬

প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ হওয়া সত্ত্বেও আফ্রিকা মহাদেশের অনেক মানুষ তার সুফল ভোগ করতে পারেন না৷ কেনিয়ার এক তরুণ বিজ্ঞানী খাদ্য নিরাপত্তা সংকট দূর করতে এক মূল্যবান গবেষণা চালাচ্ছেন৷

বিজ্ঞানী ভ্যালেন্টাইন ওয়াকু
তরুণ বিজ্ঞানী ভ্যালেন্টাইন ওয়াকুছবি: Channels TV

খাদ্য নিরাপত্তায় অভিনব উদ্যোগ

04:07

This browser does not support the video element.

খাদ্য নিরাপত্তায় অভিনব উদ্যোগ

04:07

This browser does not support the video element.

প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ হওয়া সত্ত্বেও আফ্রিকা মহাদেশের অনেক মানুষ তার সুফল ভোগ করতে পারেন না৷ কেনিয়ার এক তরুণ বিজ্ঞানী খাদ্য নিরাপত্তা সংকট দূর করতে এক মূল্যবান গবেষণা চালাচ্ছেন৷

ভ্যালেন্টাইন ওয়াকু একজন বিজ্ঞানী এবং কেনিয়ার নাইরোবি শহরে সিয়াট বা আন্তর্জাতিক গ্রীষ্মমণ্ডলীয় কৃষিকেন্দ্রের কর্মী৷ অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে, নিজের সংকল্পে অটল থেকে তিনি এতদূর এসেছেন, আরও এগোতে চান৷

আপাতত ২৯ বছর বয়স্ক এই বিজ্ঞানী কিনোয়া গাছ নিয়ে গবেষণা করছেন৷ দক্ষিণ অ্যামেরিকার এই পুষ্টিকর শস্য আফ্রিকার পুষ্টিজনিত সমস্যা সমাধান করতে পারে৷ সেই লক্ষ্যে তিনি আফ্রিকার পূর্ব ও পশ্চিমের পাঁচটি দেশের শস্যবীজ ও মাটির নমুনা পরীক্ষা করেন৷ ভ্যালেন্টাইন ওয়াকু বলেন, ‘‘বীজ ও মাটি বিশ্লেষণ করা হবে, যাতে পুষ্টিকর পদার্থ, মাটি ও উৎপাদিত শস্যের মধ্যে সম্পর্ক বুঝতে পারি৷''

দীর্ঘমেয়াদি এই প্রকল্পের প্রথম বছরেই ভ্যালেন্টাইন ওয়াকু তিনটি মানানসই বীজ আবিষ্কার করেছেন৷ শীঘ্রই চাষিরা তাঁর গবেষণার ফলাফল হাতেনাতে কাজে লাগাবেন৷ তিনি বলেন, ‘‘নতুন শস্য হওয়ায় আমরা তাদের বলতে চাই যে, এটি ব্যবহার করলে তাদের ফলন ভালো হবে৷ তাই আমরা জানাবো যে এই প্রজাতির শস্য আফ্রিকায় ভালো ফল দিচ্ছে৷''

গবেষণাগার থেকে খেতে প্রয়োগের পথ দেখাচ্ছে ‘বিন প্রজেক্ট'৷ কেনিয়ার কৃষি ও গবাদি পশু গবেষণা কেন্দ্র ‘কালরো' এই গবেষকদের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করে৷ মাচাকোস এলাকার চাষিরা এক বছর ধরে এই কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন৷ এক বিশেষ প্রজাতির শিম চাষের নানা দিক সম্পর্কে পরামর্শ পাচ্ছেন তাঁরা৷ তাঁদেরই একজন মাগডালেনে মুকোনইয়ো মুসা৷ তিনি বলেন, ‘প্রশিক্ষণের ফলে আমাদের কাজ কমে গেছে৷ এখন আমরা আগাছা উপড়ে ফেলে আর্দ্রতা রক্ষার কাজে লাগাই৷'' আরেক চাষি টিমথি মুটিসো-ও এই উদ্যোগ নিয়ে সন্তুষ্ট৷ তিনি বলেন, ‘‘ভালো ফলন পাওয়ায় আমরা গর্বিত৷ আগের মতো আর হয় না, কারণ আমাদের এখন গাছ লাগানো শেখানো হয়৷ গ্রুপের সঙ্গে আমরা সেই শিক্ষা প্রয়োগ করি৷''

চাষিরা তাঁদের বাড়তি ফলন বাজারে ছাড়েন অথবা খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ কোম্পানিগুলিকে বেচে দেন৷ এই প্রকল্পের ফলেই এমনটা সম্ভব হচ্ছে৷ কালরো সংগঠনের ডেভিড কারানজা বলেন, ‘‘আমাদের ভূমিকা হলো, বড় আকারের প্রসেসিং বা প্রি-কুকিং-এর জন্য সঠিক প্রজাতি বেছে নেওয়া, কাজের সঙ্গে চাষিসহ সংশ্লিষ্ট মানুষদের ফলন ও শস্য একত্র করতে প্রশিক্ষণ দেওয়া৷''

‘সিয়াট'-এর বিজ্ঞানীদের জন্য টেকসই প্রক্রিয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ৷ প্রতিষ্ঠানের প্রধান এ বিষয়ে অত্যন্ত সচেতন৷ শিমের ক্ষেত্রে গবেষণা অনেক এগিয়ে গেছে৷ ইনস্টিটিউটের হাতে বিশ্বের সব চেনা প্রজাতির বিনস-এর জীবাণু রয়েছে৷ সিয়াট-এর প্রধান রবিন বুরুচারা বলেন, ‘‘আমাদের কাছে জীবাণুর প্লাজম রয়েছে, গবেষণাও করতে পারি৷ কিন্তু আমরা আমাদের জাতীয় গবেষণা ব্যবস্থার সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করি৷ তারপর এজেন্টদের সঙ্গেও সেভাবে কাজ করি, যাতে তা চাষিদের স্তর পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে৷''

বিন প্রজেক্ট বছরখানেক ধরে চলছে এবং প্রায় শেষ হবার মুখে৷ ভ্যালেন্টাইন ওয়াকু এর বেড়ে চলা সাফল্য সম্পর্কে অত্যন্ত খুশি৷ তিনি শিম নিয়েও গবেষণা চালিয়েছেন৷ এবার কিনোয়া নিয়ে ব্যস্ত৷ তবে লক্ষ্য একই৷ তিনি বলেন, ‘‘আফ্রিকায় এই খাদ্য নিরাপত্তা সংকট চলছেই৷ আমি কিনোয়া নিয়ে যে কাজ করছি, সেটা সফল হলে প্রান্তিক মানুষদের জীবনযাত্রার উন্নতি হবে৷''

ভ্যালেন্টাইন ওয়াকু-র কিনোয়া প্রকল্প পাঁচ বছরের জন্য পরিকল্পনা করা হয়েছে৷ বিজ্ঞানী হিসেবে তিনি চান, চাষিরা যেন তাঁর গবেষণার ফলাফল থেকে দ্রুত ফায়দা তুলতে পারে এবং আফ্রিকায় সফলভাবে কিনোয়া-র চাষ হতে পারে৷

ইয়ুলিয়া মিলকে/এসবি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ