1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আফ্রিকা-চীন

১০ জুন ২০১২

আফ্রিকার বেশ কিছু দেশে চুটিয়ে ব্যবসা করছে চীন এবং তা অনেকদিন ধরেই৷ তবে সব আফ্রিকান দেশে চীনা পণ্য খুব সমাদৃত নয়৷ চীনা ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন ধরণের সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন আফ্রিকায়৷

Chinese woman talk business with local women at a shop in Lagos, Nigeria, June 16, 2007. Market stalls are just one of the most visible signs of China's massive penetration into African economies. The Asian giant _ a ready buyer of oil and other raw materials for more than a decade _ is also a major bidder on construction projects, a multi-million-dollar lender and a growing player in Africa's telecommunications and textile industries. (ddp images/AP Photo/Sunday Alamba)
ছবি: SUNDAY ALAMBA/AP/dapd

ইসমাইল ম্রিশো দীর্ঘদিন ধরে চীনাদের সঙ্গে কাজ করছেন৷ তার অভিজ্ঞতা বেশ ইতিবাচক৷ তানজানিয়ার এই ভদ্রলোক বেশ কয়েক বছর ধরে একটি চীনা কোম্পানিতে কাজ করছেন৷ কোম্পানিটি চীন থেকে রসুন আমদানি করে এবং আফ্রিকার অন্যান্য দেশে তা রপ্তানি করে৷ ৩৫ বছর বয়সী ম্রিশো যখন তার বন্ধুদের তার কাজের বিষয় নিয়ে আলোচনা করে তখন তাকে সমালোচনার মুখোমুখি হতে হয়৷ তাকে বেশ কয়েকবার শুনতে হয়েছে, ‘‘আমাদের দেশের রসুন বাদ দিয়ে চীন থেকে রসুন কেন আনতে হবে?'' কিন্তু ম্রিশোর কাছে পুরো বিষয়টি দেখা দিয়েছে অন্যভাবে৷ চীনের রসুনগুলো আকারে বড় আর ঠিক এ কারণেই এর চাহিদা আফ্রিকার দেশগুলোতে বেশি৷ ক্রেতারা রসুন কিনতে আসলেই চীনা রসুন আছে কিনা জিজ্ঞাস করে৷

চীনাদের সঙ্গে কাজ করা প্রসঙ্গে ম্রিশো জানান, ‘‘আমার বস খুবই খোলামেলা ধাঁচের মানুষ৷ আমরা বেশ কয়েকবার একসঙ্গে বাইরে খেতে গিয়েছি, কফির আড্ডা দিয়েছি৷ আমার যখনই কোন সমস্যা হয় তখনই আমি তাকে বুঝিয়ে বলি৷ আমার বস সবয়মই আমাকে সাহায্য করার চেষ্টা করেছে৷ আমার সমস্যা বোঝার চেষ্টা করেছে৷''

আফ্রিকায় এক চীনা ব্যবসায়ীর দোকানছবি: REBECCA BLACKWELL/AP/dapd

তবে অনেকেই পুরোপুরি অন্য ধরণের কথা বলেছে৷ অনেকেরই রয়েছে চীনাদের সঙ্গে কাজ করার তিক্ত অভিজ্ঞতা৷ অনেকেই মনে করে যে চীনারা আফ্রিকায় এসেছে শুধু ব্যবসা করার উদ্দেশ্যে৷ যখন তারা ব্যবসায় অত্যন্ত সফল হবে তখন সবকিছু গুটিয়ে ফিরে যাবে চীনে৷

চীনাদের বিরুদ্ধে এক ধরণের মনোভাব তৈরি হয়েছে আফ্রিকার মানুষের মধ্যে৷ কথাগুলো জানান সুইজারল্যান্ডের লোসান বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক কেটি লাম৷ তিনি জানান,‘‘অনেকেই মনে করে যে এসব চীনাকে জোর করে তাদের সরকার আফ্রিকায় পাঠিয়েছে৷ অথচ তা মোটেই সত্যি নয়৷'' দীর্ঘদিন ধরে ঘানা এবং বেনিনে কাজ করেছেন কেটি লাম, ঘুরে বেড়িয়েছেন, সেসব দেশের মানুষের সঙ্গে মিশেছেন, তাদের মতামত জেনেছেন৷ কথা বলেছেন চীনা ব্যবসায়ীদের সঙ্গেও৷ তিনি জানান, এসব চীনা নিজ খরচে, দায়িত্বে এবং নিজ ঝুঁকিতে এসেছে আফ্রিকায় ব্যবসা করতে৷ তাদের সরকার কখনোই তাদের সাহায্য বা সহযোগিতা করেনি৷

তবে ভাষা না জানা এবং সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচয় না থাকায় অনেক চীনাই শেষ পর্যন্ত আফ্রিকায় ব্যবসা চালিয়ে যেতে পারেনি৷ কয়েক বছর চেষ্টা করার পর তারা সত্যিই ফিরে গেছে নিজ দেশে৷

প্রতিবেদন: আজ্রিয়ান ক্রিশ/মারিনা জোয়ারদার
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ