1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আফ্রিকা পার হতে গিয়ে অত্যাচারে হত হাজারো উদ্বাস্তু

৩০ জুলাই ২০২০

আফ্রিকা পার হতে গিয়ে হাজার হাজার উদ্বাস্তু ও পরিযায়ীর মৃত্যু হচ্ছে, জানাল জাতি সংঘের রিপোর্ট। অনেকেই প্রাণ হরিয়েছেন দেশের ও স্থানীয় আধিকারিকদের হাতে।

ছবি: picture-alliance/AP Photo/J. Delay

স্থলপথে আফ্রিকা পেরিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে আসতে গিয়ে প্রতি মাসে ৭২ জন উদ্বাস্তু ও পরিযায়ী প্রাণ হারান। ইউএনএইচসিআর ও ডেনমার্কের মিক্সড মাইগ্রেশন সেন্টার একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। শিরোনাম, 'যাত্রাপথে আপনি মরলেন না বাঁচলেন তা দেখার কেউ নেই'। সেখান থেকেই উঠে এসেছে এই ভয়াবহ তথ্য। রিপোর্টে বলা হয়েছে, চোরাচালানকারী, পাচারকারী, মিলিশিয়া ও কিছু আধিকারিকদের হাতে পড়ে এই দুর্গত মানুষদের কষ্টের কোনও সীমা নেই।  

রিপোর্ট বলছে, ২০১৮ ও ১৯-এ অন্ততপক্ষে এক হাজার ৭৫০ জন মারা গিয়েছেন। প্রতিদিন দুইজনের বেশি মানুষ মারা যাচ্ছেন। গবেষকদের দাবি, প্রকৃত সংখ্যাটা আরো অনেক বেশি হতে পারে। স্থলপথে আফ্রিকা পেরনো উদ্বাস্তু ও পরিযায়ীদের পক্ষে সব চেয়ে কঠিন কাজ। 

এর মধ্যে এক তৃতীয়াংশ লোক মারা যান সাহারা মরুভূমি পেরতে গিয়ে। অনেকে মারা যান যুদ্ধবিধ্বস্ত লিবিয়া, সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক বা মালি পেরতে গিয়ে। রিপোর্ট বলছে, যাঁরা যুদ্ধ, সহিংসতা ও নিপীড়ন এড়াতে পালাতে চান, তাঁরা ভয়ঙ্কর অত্যাচারের মুখে পড়েন। অনেকেই তাতে মারা যান বলে জানিয়েছেন জাতি সংঘের উদ্বাস্তু বিভাগের প্রধান ফিলিপ্পো গ্রান্ডি।

রিপোর্ট অনুযায়ী, উদ্বাস্তু ও পরিয়ায়ীদের বিরুদ্ধে সহিংসতার জন্য সীমান্তরক্ষী, পুলিশ, সেনা অনেক ক্ষেত্রেই দায়ী। ১৬ হাজার লোকের সাক্ষাৎকার নিয়ে এই রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, ৪৭ শতাংশ নির্যাতনের ঘটনার পিছনে আছে সীমান্তরক্ষী, পুলিশ, সেনা, অভিবাসন বিভাগের অফিসাররা। ২৯ শতাংশ ক্ষেত্রে চোরাচালানকারীরা। 

করোনার জন্য সীমান্ত বন্ধ করে দেয়ার ফলে উদ্বাস্তুদের বিপদ আরো বেড়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, মানব চোরাচালানকারীরা ধরা না পড়ার জন্য আরো ঝুঁকিপূর্ণ পদ্ধতি নিচ্ছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, এই উদ্বাস্তু ও পরিযায়ীদের আইনি বিকল্প দেওয়া উচিত।

জিএইচ/এসজি(এপি, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ