মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এবারকার শীত অনেককেই চিন্তায় ফেলেছে৷ পণ্ডিতরা বলছেন, ‘এক্সট্রিম ওয়েদার’ বা চরম আবহাওয়া৷ কিন্তু আবহাওয়ার এই দুর্যোগের জন্যও কি শেষমেষ বিশ্বের তাপমাত্রা বৃদ্ধি ও জলবায়ু পরিবর্তনকে দায়ী করতে হবে?
বিজ্ঞাপন
এভাবেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে শুরু হয় ২০১৪ সাল৷ কোথাও কোথাও তাপমাত্রা শূন্যের নীচে চল্লিশ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড পর্যন্ত নেমে যায় – যা কিনা মঙ্গলগ্রহের চেয়েও বেশি ঠাণ্ডা! আবহাওয়াবিদরা বলেন, সুমেরু অঞ্চল থেকে আসা বরফ-ঠাণ্ডা বাতাস দক্ষিণাঞ্চল থেকে আসা অতি-গরম বাতাসের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ক্যানাডার উপর একটি চরম ঘূর্ণিঝড় প্রণালীর সৃষ্টি করে৷
জার্মান আবহাওয়া-বিশারদ মাক্সি বিভার বলেন যে, চরম আবহাওয়ার ঘটনা বাড়ার ব্যাপারটা জরুরিভাবে গবেষণা করে দেখা দরকার৷ তাঁর মতে, ‘‘পৃথিবীর অন্যান্য নানা জায়গার মতো সুমেরুতেও গবেষণা করাটা খুবই জরুরি৷ কেননা এ সবই পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত৷ আমাদের এখানে জার্মানিতে কিংবা সুদূর যুক্তরাষ্ট্রে পরবর্তী শীত কিংবা গ্রীষ্ম কেমন হবে, তা জানার জন্য এমন সব জায়গা থেকে তথ্য সংগ্রহ করা দরকার, যে সব জায়গার মধ্যে আপাতদৃষ্টিতে কোনো সম্পর্ক নেই৷''
যেখানে মঙ্গলগ্রহের চেয়েও বেশি শীত
যুক্তরাষ্ট্র আর ক্যানাডার একটা অংশে পড়েছিল মঙ্গলগ্রহের চেয়েও বেশি শীত৷ শৈত্যপ্রবাহ এবং তুষার ঝড়ে জনজীবন বিপন্ন৷ ডয়চে ভেলের ইংরেজি বিভাগের সোশ্যাল মিডিয়ার অনুসারীদের পাঠানো ছবিতে দেখুন যুক্তরাষ্ট্রের কিছু এলাকার জনজীবন৷
ছবি: picture-alliance/AP Images/M. Fortner
বরফ ঢাকা শহরের পথে ভেঙে পড়া গাছ
যুক্তরাষ্ট্রের মন্টানা রাজ্যে জর্ডান শহরের তাপমাত্রা হিমাঙ্কের ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস নীচে নেমে গিয়েছিল৷ এমন শীতে মানুষের কষ্ট কী পর্যায়ে পৌঁছাতে পারে তা কল্পনা করা কঠিন নয়৷ এ ছবিটি মাইকেল অ্যালডেন পাঠান মাইন রাজ্যের লুসার্ন থেকে৷ বিদ্যুৎ ছিল না, প্রচণ্ড ঝড়ে গাছপালা ভেঙে পড়ছিল৷ অ্যালডেনের ছবিতে অবশ্য বিরূপ প্রকৃতির সৌন্দর্যই ফুটে উঠেছে৷
ছবি: Michael Alden
প্রকৃতি কখন সদয় হবে!
ইন্ডিয়ানার সাউথ বেন্ড থেকে এ ছবি পাঠিয়ে কারস্টেন হাইভোনেন লিখেছেন, ‘‘আমাদের এখানে ১৩ ইঞ্চি পুরু বরফ জমেছে৷ তাপমাত্রা নেমে গেছে মাইনাস ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে৷ এমন শীতে শ্বাস নিতেও কষ্ট হয়৷ আবহাওয়া কখন উষ্ণ হবে, কখন রাস্তাঘাট পরিষ্কার করা হবে – আমরা এখন তারই অপেক্ষায় আছি৷ বাচ্চারা দু’দিন ধরে স্কুলে যেতে পারছে না, আগামী কালও বোধহয় যেতে পারবে না৷’’
ছবি: Kristen Hyvonen Amsler
জুরি আছে আনন্দে
কারো পৌষ মাস, কারো সর্বনাশ৷ শীতে মানুষ কষ্টে মরছে আর পাহাড়ি কুকুর জুরির এ সময়েই মহা আনন্দ৷ তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নীচে নামলে ও বরফের বুকে খেলতে চায়, চায় কেউ ওর সঙ্গে থাকুক, ওর সঙ্গে আনন্দ করুক৷ ইলিনয় অঙ্গরাজ্যের শ্যাম্পেইন থেকে জুরির এই ছবি পাঠিয়ে এরিন কিরবি জানতে চেয়েছেন, ‘‘এমন শীতের মধ্যে কে ওর সঙ্গে খেলবে!’’
ছবি: Erin Kirby
বরফের সঙ্গে যুদ্ধ
মিশিগানের মেরিল থেকে এ ছবি পাঠিয়েছেন জুলিয়েট জাভার্স৷ শহরের পথ-ঘাট ঢেকে গেছে বরফে৷ চলছে বরফ সরিয়ে চলাচলের ব্যবস্থা করার চেষ্টা৷
ছবি: Juliette Zavarce
বরফের বাগান
যুক্তরাষ্ট্রের মইনেস থেকে ছবিটি পাঠিয়েছেন মারিয়ানা লিঙ্ক-আলেকজান্ডার৷ আইওয়া অঙ্গরাজ্যে এ শহরটির বর্তমান অবস্থা জানাতে গিয়ে তিনি লিখেছেন, ‘‘ওয়েস্ট ডেস মইনেসে আমার বাড়ির সামনের বাগান৷ গতরাতে এখানে তাপমাত্রা মাইনাস ২৫ ডিগ্রিতে নেমে যায়, শৈত্যপ্রবাহের ঠান্ডা তো মাইনাস ৪০-এরও নীচে৷’’ এমন শীতে মারিয়ানার বাগানটা কিন্তু অন্য রূপে সেজেছিল৷
ছবি: Marianne Link-Alexander
অপরূপ প্রকৃতি
দুঃসময়েও কখনো কখনো মানুষ আনন্দ খুঁজে নেয়৷ মিশিগানের মেরিলে আলিরিও জাভার্স শীতের অত্যাচারে কাবু হতে চান না৷ তাই তিনি ব্যালকনি থেকেই ক্যামেরাবন্দি করেছেন বরফে ঢাকা প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যকে৷
ছবি: Juliette Zavarce
জলপ্রপাত এখন বরফসমুদ্র
শন ও’কনর থাকেন যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইয়োতে, চ্যাগরিন জলপ্রপাতের কাছে৷ এই শীতে সব জল জমে বরফ৷ মাইনাস ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পানি বরফ না হয়ে থাকে কী করে!
ছবি: Shawn O'Conner
বরফ ঝরায় ঘাম
মাইনাস ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ইন্ডিয়ানার হান্টিংটন শহরও বরফে বরফে সয়লাব৷ এ ছবির প্রেরক বরফ সরানোর যন্ত্র নিয়েই নেমেছিলেন কাজে৷ গাড়ি চালিয়ে বাড়ি থেকে বের হওয়ার জন্য পথ করতে পাক্কা দু’ঘণ্টা খাটতে হয়েছে তাঁকে৷ যুক্তরাজ্য সরকার এমনি এমনিই তো আর জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ছাড়া বাকি সবার চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেনি!
ছবি: Dan Herber
বরফাচ্ছাদিত
মাইনের পোর্টল্যান্ড থেকে জেমস কোলবাথের পাঠানো ছবি৷ দেখুন, বাড়ি এবং বাড়ির আশপাশ কত উঁচু বরফে ঢাকা৷
ছবি: James Colbath
খেটে মরা
মিশিগান থেকে এ ছবি পাঠিয়েছেন রন সোন৷ বাড়িতে তখন শুধু তাঁর ছোট ছেলেটিই ছিল৷ কাজ সেরে একে একে সবাই বাড়ি ফিরছে৷ বরফ সরিয়ে সেই ছেলেকে প্রথমে তাঁর দাদির জন্য, তারপর বাবা-মায়ের বাড়ি ফেরার পথ করে দিতে হয়েছে৷ পরে আরো একবার বরফ সরিয়ে গাড়ি আসার পথ করতে হয়েছিল তাঁকে৷ মাইনাস ২৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় সাত ইঞ্চি পুরু বরফ তিনবার সরানোর পর শরীর আর চলছিল না৷
ছবি: Ron Sohn
10 ছবি1 | 10
সুমেরুর বরফ
উত্তরমেরু সাধারণত বিশ্বের শীতলতম স্থানগুলির মধ্যে পড়ে৷ এখানে কোনো স্থায়ী গবেষণাকেন্দ্র স্থাপন করা সম্ভব নয়, কেননা সুমেরুর নীচে কোনো মাটি নেই, জমাট বরফ ভাসছে পানির উপর৷ তবুও বিজ্ঞানীরা এখানে আসেন বিশ্বের জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে গবেষণা করার জন্য, যার হদিশ সুমেরুর বরফের স্তরে স্তরে রাখা আছে৷ বিজ্ঞানীরা সেই বরফ ড্রিল করে নমুনা বার করে দেখেন, শত শত বছর আগে বিশ্বের তাপমাত্রা কী রকম ছিল এবং সম্প্রতি বিশ্বব্যাপী তাপমাত্রা বৃদ্ধি কী ভাবে সুমেরু অঞ্চল তথা বিশ্বের আবহাওয়াকে প্রভাবিত করছে৷
গত ৫০ বছরে সুমেরু অঞ্চলের তাপমাত্রা বেড়েছে পাঁচ ডিগ্রি৷ বিজ্ঞানীরা দেখেছেন যে, শীতকালে সুমেরুর বরফ দুই-তিন মিটার পুরু না হয়ে ক্রমেই আরো পাতলা হচ্ছে৷ সুমেরুতে তাঁরা যে তথ্য সংগ্রহ করেছেন, তা থেকে দেখা যাচ্ছে যে, তথাকথিত গ্রিনহাউস গ্যাসগুলিই এই পরিবর্তনের জন্য দায়ী৷ ক্যাটলিং সুমেরু সমীক্ষার ম্যানেজার টিম কালিংফোর্ড বলেন, ‘‘সুমেরু যেন সমগ্র পৃথিবী ও তার যাবতীয় প্রণালীর জন্য একটা সতর্কতা ব্যবস্থা৷ কেননা সব রকমের প্রভাব এই সুমেরু অঞ্চলেই সর্বাগ্রে পরিলক্ষিত হয়৷ এককালে কয়লাখনিতে খনিশ্রমিকদের সঙ্গে করে নিয়ে যাওয়া টিয়াপাখি যেমন বিষাক্ত গ্যাসের সন্ধান দিতো, সুমেরুও সেইরকম একটি শীঘ্র সতর্কতা প্রণালী৷''
জলবায়ু পরিবর্তনের সুফল!
ভূতত্ত্ববিদদের ধারণা, বিশ্বে এখনো যে পরিমাণ তেল ও গ্যাস আছে তার প্রায় এক চতুর্থাংশ রয়েছে আর্কটিকের বরফের নীচে৷ তাই জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বরফ গলে যাওয়ায় খুশি আর্কটিকের দেশগুলো৷
ছবি: Gazprom
বাকি বিশ্ব থেকে দ্বিগুণ
জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সারা বিশ্বে তাপমাত্রা যে হারে বাড়ছে, আর্কটিক বা সুমেরু অঞ্চলে সেই মাত্রাটা প্রায় দ্বিগুণ৷ এভাবে বরফ গলার কারণে আর্কটিকে যাওয়ার পথ সহজ ও সংক্ষিপ্ত হচ্ছে৷ ফলে সেখানে থাকা সম্পদ আহরণের কাজে সুবিধা হবে৷ তাই খুশি এ খাত সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী গোষ্ঠী৷
ছবি: imago
খুশি আর্কটিকের দেশগুলোও
ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি পাঁচটি আর্কটিক দেশ – ক্যানাডা, ডেনমার্ক, নরওয়ে, রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র – বিভিন্নভাবে সেখানে তাদের প্রভাব বাড়ানোর চেষ্টা করছে৷ উল্লেখ্য, আর্কটিকের কতটুকু অংশ কার নিয়ন্ত্রণে সেটা নিয়ে এখনো দেশগুলোর মধ্যে বিরোধ রয়েছে৷
ছবি: Gazprom
প্রায় এক চতুর্থাংশ
ভূতত্ত্ববিদদের ধারণা, বিশ্বে এখনো যে পরিমাণ তেল ও গ্যাস আছে তার প্রায় এক চতুর্থাংশ রয়েছে আর্কটিকের বরফের নীচে৷
ছবি: Crew of -Peter I-
সামরিক উপস্থিতি
সীমানা নিয়ে বিরোধ থাকার কারণে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে আর্থিক লাভের বিষয়টি সামনে আসায় ডেনমার্ক, ক্যানাডা, রাশিয়া আর যুক্তরাষ্ট্র সেখানে তাদের সামরিক উপস্থিতি বাড়াচ্ছে৷ ছবিতে মার্কিন একটি সাবমেরিনকে বরফের নীচ থেকে বের হতে দেখা যাচ্ছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
গ্রিনপিসের বিরোধিতা
আর্কটিকে তেলের ড্রিলিং এর বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রিনপিসের৷ কারণ ড্রিলিং করতে গিয়ে যদি কোনো দুর্ঘটনা ঘটে তাহলে উত্তর মেরুর পরিবেশের উপর তার বিরূপ প্রভাব পড়বে বলে সংগঠনটি উদ্বেগ প্রকাশ করেছে৷ কেননা দুর্গম ঐ পরিবেশে উদ্ধার তৎপরতা চালানোও বেশ কঠিন হবে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
উত্তর মেরুতে বিমানযাত্রা
ছবিতে বিমান থেকে বরফ সরাতে দেখা যাচ্ছে৷ আর্কটিক সার্কেলে ওড়াওড়ি করা বিমানের জন্য এটা একটা নিয়মিত ব্যাপার৷ তবে গবেষণায় দেখা গেছে, আর্কটিকের উপর বিমান চলাচলের কারণে সেখানকার পরিবেশে কার্বনের পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে৷ এই কালো কার্বনের পার্টিকেল সূর্যের আলো শোষণ করে বিশ্ব উষ্ণতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখছে৷
ছবি: DW/I.Quaile
চীনের আগমন
আর্কটিকের গুরুত্ব বেড়ে যাওয়া সেখান থেকে লাভবান হতে চায় চীনও৷ তাইতো ‘স্নো ড্রাগন’ নামের এই জাহাজটি ২০১২ সালে আর্কটিকের মধ্য দিয়ে যাত্রা করে ইউরোপে পৌঁছেছে৷ এ বছর মে মাসে চীনকে আর্কটিক কাউন্সিলের অবজারভার স্ট্যাটাস দেয়া হয়৷
ছবি: picture-alliance/dpa
ভারতের গবেষণা
২০০৮ সালে আর্কটিকের নরওয়ের অংশে এই গবেষণা কেন্দ্রটি চালু করে ভারত৷ এর বাইরে জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়াও আর্কটিক নিয়ে সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করছে৷
ছবি: DW/I. Quaile
8 ছবি1 | 8
আতঙ্ক নয়, সতর্কতা
কিন্তু সব সতর্কীকরণ সত্ত্বেও মানবজাতি অশ্মীভূত জ্বালানির ব্যবহার বাড়িয়েই চলেছে৷ জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন প্যানেল আইপিসিসি বলছে যে, আমাদের পরিবেশ-বান্ধব, বিকল্প জ্বালানির ব্যবহার বাড়াতে হবে৷ আবার অপর কিছু বিজ্ঞানী বলছেন, বিশ্বের তাপমাত্রার ওঠাপড়াটা স্বাভাবিক এবং তা ঘটে প্রকৃতির নিয়মে৷ যেমন কোলোনের আবহাওয়া বিশারদ মাক্সি বিভার৷ তিনি বলেন, ‘‘আইপিসিসি-র নতুন রিপোর্টেই তাদের পুরনো রিপোর্টের সংশোধন করা হয়েছে৷ কাজেই ওটা একটা চলমান প্রকল্প৷ আমাদের সকলের উচিত আতঙ্ক না সৃষ্টি করে ভবিষ্যতের বাস্তব সম্ভাবনা যাচাই করার জন্য একযোগে কাজ করা৷ আমরা কীভাবে জ্বালানি শক্তি ব্যবহার করি এবং দৈনন্দিন জীবনে তা কীভাবে সাশ্রয় করা সম্ভব, সে বিষয়ে সচেতন হওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ বৈকি৷''
বিশেষজ্ঞরা যখন বিশ্বের তাপমাত্রা বৃদ্ধির কার্যকারণ নিয়ে কোনো একটা যৌথ সিদ্ধান্তে আসার চেষ্টা করছেন, সুমেরুর বরফ কিন্তু গলেই চলেছে৷ আরো বিশ বছর পরে নাকি সুমেরুতে গ্রীষ্মে কোনো বরফই থাকবে না৷ এর ফলে সাগরের পানির উচ্চতা বাড়বে এবং সরা বিশ্বে উপকূলীয় অঞ্চল প্লাবিত হবে৷
যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক চরম আবহাওয়াগত পরিস্থিতি বিশ্বের তাপমাত্রা বৃদ্ধির আরো একটি লক্ষণ বলে মনে করছেন বহু বিজ্ঞানী৷ কিন্তু জলবায়ুর পরিবর্তন থেকেই তার সূচনা কিনা, তা নিয়ে এখনও মতভেদ আছে৷