আবারও ঋণের ঊর্ধ্বসীমা তুলে দেয়ার পক্ষে জার্মান মন্ত্রিসভা
২৮ নভেম্বর ২০২৩সোমবার তারা একটি সম্পূরক বাজেটে একমত হয়েছেন৷ সংসদের নিম্নকক্ষ বুন্ডেসটাগে এটি পাস হতে হবে৷ সে লক্ষ্যে মঙ্গলবার বুন্ডেসটাগে বক্তব্য রাখবেন জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস৷ এরপর সম্পূরক বাজেট নিয়ে আলোচনা হবে৷
ঋণের ঊর্ধ্বসীমা বিষয়টি জার্মানির সংবিধানে আছে৷ এতে বলা হয়েছে, বাজেট ঘাটতি জিডিপির ০.৩৫ শতাংশের বেশি হতে পারবে না৷ তাই সরকার যখন এবার করোনার জন্য বরাদ্দ দেওয়া অব্যবহৃত অর্থ (৬০ বিলিয়ন ইউরো) জলবায়ু খাতে খরচ করা শুরু করেছিল, তখন আপত্তি করেছিল বিরোধী দল সিডিইউ৷ তারা সাংবিধানিক আদালতকে বিষয়টি জানিয়েছিল৷ তার প্রেক্ষিতে ১৫ নভেম্বর আদালত জানায় যে, সরকার ঐ অর্থ অন্য খাতে ব্যয় করতে পারবে না৷ অথচ সরকার ইতিমধ্যে জ্বালানি সংকট সমাধানে নেওয়া পদক্ষেপের বাস্তবায়ন ও বন্যার্তদের সহায়তায় ৪৫ বিলিয়ন ইউরো খরচ করে ফেলেছে৷ এই অর্থ সম্পূরক বাজেটে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে৷
সংবিধানে বলা আছে, জরুরি অবস্থা কিংবা আর্থিক মন্দার সময় ঋণের ঊর্ধ্বসীমা আইনের ব্যত্যয় ঘটানো যেতে পারে৷ তাই করোনা ও ইউক্রেন যুদ্ধের কারণ দেখিয়ে গত তিন বছর ঋণের ঊর্ধ্বসীমা তুলে দেওয়া হয়েছিল৷
জার্মানির অর্থমন্ত্রী ক্রিস্টিয়ান লিন্ডনার গত সপ্তাহে বলেছিলেন, সরকার যা খরচ করছে তা সংবিধানের আওতায় রাখতে তিনি এ বছরটিকে ‘জরুরি' বলে ঘোষণা করবেন৷
সরকারের এক মুখপাত্র মনে করছেন, সম্পূরক বাজেটটির আইনি ভিত্তি শক্ত৷ জ্বালানির উচ্চমূল্যের কারণে চতুর্থবারের মতো ঋণের ঊর্ধ্বসীমা তুলে দেওয়ার প্রয়োজন পড়েছে৷ ‘‘২০২৩ সালকেও আমরা জরুরি মনে করছি, কারণ ২০২২ সাল যে কারণে জরুরি ছিল সেই একই কারণ এবছরের জন্যও প্রযোজ্য,'' বলেন তিনি৷
জেডএইচ/এসিবি (রয়টার্স, এএফপি)