1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আবারও ঋণের ঊর্ধ্বসীমা তুলে দেয়ার পক্ষে জার্মান মন্ত্রিসভা

২৮ নভেম্বর ২০২৩

সরকার যেন ইচ্ছেমতো ঋণ নিতে না পারে সেজন্য ২০০৯ সালে ঋণের ঊর্ধ্বসীমা চালু করে জার্মানি৷ করোনা ও ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে গত তিনবছর এই সীমা তুলে দেওয়া হয়েছিল৷ এ বছরও সেটি করতে একমত হলেন জার্মানির মন্ত্রিসভার সদস্যরা৷

ঋণের ঊর্ধ্বসীমা বিষয়টি জার্মানির সংবিধানে আছে৷
জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস (মাঝে)ছবি: Kay Nietfeld/dpa/picture alliance

সোমবার তারা একটি সম্পূরক বাজেটে একমত হয়েছেন৷ সংসদের নিম্নকক্ষ বুন্ডেসটাগে এটি পাস হতে হবে৷ সে লক্ষ্যে মঙ্গলবার বুন্ডেসটাগে বক্তব্য রাখবেন জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস৷ এরপর সম্পূরক বাজেট নিয়ে আলোচনা হবে৷

ঋণের ঊর্ধ্বসীমা বিষয়টি জার্মানির সংবিধানে আছে৷ এতে বলা হয়েছে, বাজেট ঘাটতি জিডিপির ০.৩৫ শতাংশের বেশি হতে পারবে না৷ তাই সরকার যখন এবার করোনার জন্য বরাদ্দ দেওয়া অব্যবহৃত অর্থ (৬০ বিলিয়ন ইউরো) জলবায়ু খাতে খরচ করা শুরু করেছিল, তখন আপত্তি করেছিল বিরোধী দল সিডিইউ৷ তারা সাংবিধানিক আদালতকে বিষয়টি জানিয়েছিল৷ তার প্রেক্ষিতে ১৫ নভেম্বর আদালত জানায় যে, সরকার ঐ অর্থ অন্য খাতে ব্যয় করতে পারবে না৷ অথচ সরকার ইতিমধ্যে জ্বালানি সংকট সমাধানে নেওয়া পদক্ষেপের বাস্তবায়ন ও বন্যার্তদের সহায়তায় ৪৫ বিলিয়ন ইউরো খরচ করে ফেলেছে৷ এই অর্থ সম্পূরক বাজেটে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে

সংবিধানে বলা আছে, জরুরি অবস্থা কিংবা আর্থিক মন্দার সময় ঋণের ঊর্ধ্বসীমা আইনের ব্যত্যয় ঘটানো যেতে পারে৷ তাই করোনা ও ইউক্রেন যুদ্ধের কারণ দেখিয়ে গত তিন বছর ঋণের ঊর্ধ্বসীমা তুলে দেওয়া হয়েছিল৷

জার্মানির অর্থমন্ত্রী ক্রিস্টিয়ান লিন্ডনার গত সপ্তাহে বলেছিলেন, সরকার যা খরচ করছে তা সংবিধানের আওতায় রাখতে তিনি এ বছরটিকে ‘জরুরি' বলে ঘোষণা করবেন৷

সরকারের এক মুখপাত্র মনে করছেন, সম্পূরক বাজেটটির আইনি ভিত্তি শক্ত৷ জ্বালানির উচ্চমূল্যের কারণে চতুর্থবারের মতো ঋণের ঊর্ধ্বসীমা তুলে দেওয়ার প্রয়োজন পড়েছে৷ ‘‘২০২৩ সালকেও আমরা জরুরি মনে করছি, কারণ ২০২২ সাল যে কারণে জরুরি ছিল সেই একই কারণ এবছরের জন্যও প্রযোজ্য,'' বলেন তিনি৷

জেডএইচ/এসিবি (রয়টার্স, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ