1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আবারও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট হতে চলেছেন পুটিন

২৪ সেপ্টেম্বর ২০১১

যা ভাবা হয়েছিলো তাই, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পদে ফিরে আসছেন ভ্লাদিমির পুটিন৷ শনিবার রুশ ক্ষমতাসীন দলের সম্মেলনে আগামী নির্বাচনে পুটিনকে সমর্থন দেওয়ার কথা জানান বর্তমান প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ৷

দলের সম্মেলনে ভাষণ দিচ্ছেন পুটিনছবি: dapd

আর পুটিন এই আনুগত্যের প্রতিদান দিলেন মেদভেদেভকে পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার প্রস্তাব দিয়ে৷

রাশিয়ার ক্ষমতার গত এক যুগ পুটিনময়৷ এবং আগামী এক যুগও তাই হতে চলেছে৷ যদি পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পুটিন জেতেন তাহলে তিনি আবারও টানা দুই মেয়াদ প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালনের সুযোগ পাবেন৷ অর্থাৎ আগামী ২০২৪ সাল পর্যন্ত৷ এর আগে ২০০০ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত দুই মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন পুটিন৷ এরপর সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কারণে মাঝের চারটি বছরে ছেদ পড়ে৷ যদিও প্রধানমন্ত্রী হিসেবে রাশিয়ার ক্ষমতার মূল কলকাঠি তিনিই নেড়েছেন বলে আন্তর্জাতিক মহলের বিশ্বাস৷ প্রেসিডেন্ট মেদভেদেভ বছর খানেক আগে সংবিধানে যে পরিবর্তন আনেন তাতে প্রেসিডেন্টের মেয়াদ চার বছরের জায়গায় ছয় বছর করা হয়৷ আর তার সুফল নিতে চলেছেন তারই গুরু পুটিন৷

উল্লেখ্য, রাশিয়ার পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচন আগামী বছরের মার্চ মাসে৷ আর এই বছরের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত হবে সংসদ নির্বাচন৷ তবে এই নির্বাচন কতটুকু স্বচ্ছ এবং অবাধ হবে সেটা নিয়ে সকলের মনেই সন্দেহ রয়েছে৷ অব্যাহত মানবাধিকার লঙ্ঘন, বিরোধী দলকে দমন এবং গণমাধ্যমের ওপর প্রভাব বিস্তার রুশ রাজনীতি তথা পুটিনের ক্ষমতার বৃত্তের অংশ৷ তাই রুশ সমাজে সত্যিকার গণতন্ত্র যারা চান তারা কোন আশার আলো দেখছেন না৷

বর্তমান প্রেসিডেন্ট মেদভেদেভ (ডানে) পুটিনের নাম প্রস্তাব করেছেনছবি: dapd

পুটিন-মেদভেদেভের এই নতুন ঘোষণা নিয়ে কে কী বলছেন? রাশিয়ার বর্তমান বিরোধী রাজনীতিক মিখাইল কাসিয়ানভ, যিনি পুটিনের প্রথম মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি বলেন, ‘‘এটি প্রত্যাশিত৷ সবচেয়ে অপছন্দনীয় চিত্রটিই বেছে নেওয়া হয়েছে৷ তবে দুইজনের এই মৈত্রী ভেঙ্গে পড়বে আগামী দুয়েক বছরের মধ্যেই৷ তারা ছয় বছর ক্ষমতা ধরে রাখতে পারবে না৷'' রুশ মানবাধিকার কর্মি ল্যুডমিলা আলেক্সেয়েভা বলেন, ‘‘এর অর্থ হচ্ছে আগামী ছয় কিংবা ১২ বছর দেশ এগুবে না, বরং এক জায়গাতেই থেমে থাকবে৷ উল্টো দুর্নীতি, বাণিজ্যে অধোগতি এবং আদালত ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতার অভাবের কারণে দেশ আরও তলিয়ে যাবে৷'' জার্মানির পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান রুপ্রেখ্ট পোলেন্জ বলেন, ‘‘এর অর্থ হচ্ছে রাশিয়া এখনও একটি উন্মুক্ত ও গণতান্ত্রিক প্রেসিডেন্ট নির্বাচন থেকে অনেক দূরে৷ আমি রুশ রাজনীতিতে কোন পরিবর্তন আশা করি না৷''

রুশ প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভকে ক্ষমতার বৃত্তে টেনে এনেছেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ভ্লাদিমির পুটিন৷ দুজনেই সেইন্ট পেটার্সবুর্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন পড়েছেন৷ ২০০০ সালে পুটিনের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারণায় অন্যতম ভূমিকা রাখেন মেদভেদেভ৷ পুটিন তাকে ২০০৩ সালে চিফ অব স্টাফ হিসেবে নিয়োগ দেন৷ দুই বছর পর তিনি হন পুটিনের উপ প্রধানমন্ত্রী, তারও দুই বছর পর তাকে পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে সমর্থন দেন পুটিন৷

প্রতিবেদন: রিয়াজুল ইসলাম

সম্পাদনা: জাহিদুল হক

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ