জার্মানির গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ফল্কসভাগেন, ডাইমলার ও বিএমডাব্লিউ-র বিরুদ্ধে মানুষ ও বানরের উপর গবেষণা চালানোর খবর প্রকাশিত হয়েছে৷ নৈতিক বিবেচনায় এ ধরনের গবেষণা যুক্তিসঙ্গত নয়, বলে মন্তব্য করেছেন জার্মান চ্যান্সেলর৷
বিজ্ঞাপন
ঘটনার শুরু বৃহস্পতিবার সেদিন নিউ ইয়র্ক টাইমস পত্রিকার এক খবরে দশটি বানরের উপর গবেষণা চালানোর খবর প্রকাশিত হয়৷ এতে বলা হয়, একটি গবেষণা সংস্থা বায়ুশূন্য একটি ঘরে দশটি বানর রেখে সেখানে ডিজেলের ধোঁয়া ছেড়েছিল৷ এর মাধ্যমে জ্বালানি হিসেবে ডিজেল কম ক্ষতিকর, এমন একটি ফলাফল পাওয়ার চেষ্টা করা হয়, বলে ঐ প্রতিবেদনে অভিযোগ তোলা হয়৷ কারণ আলোচিত গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি জার্মান ঐ তিন গাড়ি নির্মাতার অর্থায়নে চলত৷ আর গবেষণায় ফল্কসভাগেনের একটি গাড়ি থেকে নিসৃত ডিজেলের ধোঁয়া ব্যবহৃত হয়েছিল৷ গবেষণা প্রতিষ্ঠানটির নাম ‘ইউরোপিয়ান রিসার্চ গ্রুপ অন এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড হেলথ ইন দ্য ট্রান্সপোর্ট সেক্টর' বা ইইউজিটি৷ গতবছর প্রতিষ্ঠানটি বিলুপ্ত হয়ে যায়৷
German carmakers accused of poison gas tests
01:51
নিউ ইয়র্ক টাইমসে এমন প্রতিবেদন প্রকাশের পর সপ্তাহান্তে এর জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে ফল্কসভাগেন৷ সংস্থার প্রধান লবিয়িস্ট টোমাস স্টেগ ‘বিল্ড' পত্রিকাকে মঙ্গলবার জানান, প্রাণীর উপর আর কখনও পরীক্ষা না চালানোর অঙ্গীকার করছে ফল্কসভাগেন৷
উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৫ সালে বিশ্বের সবচেয়ে বড় এই গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছিল, যা পরবর্তীতে ‘ডিজেলগেট' নামে পরিচিতি পেয়েছিল৷ কোম্পানিটি প্রায় ১১ মিলিয়ন গাড়িতে এমন সফটওয়্যার ব্যবহার করেছিল, যা দূষণের পরিমাণ কম দেখায়৷
ফল্কসভাগেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ এখানেই থেমে থাকেনি৷ সোমবার স্টুটগার্টার সাইটুং ও স্যুড ডয়চে সাইটুং পত্রিকায় ইইউজিটি নামের ঐ গবেষণা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মানুষের উপর পরীক্ষা চালানোর খবর প্রকাশিত হয়৷ এতে বলা হয়, জার্মানির আখেন শহরের এক বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে ২৫ জন স্বাস্থ্যবান মানুষকে কয়েক ঘণ্টা ধরে বিভিন্ন মাত্রার নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড গ্রহণ করানো হয়েছে৷ পরে গবেষকরা পরীক্ষার ফলাফলে জানান, এই গ্যাস গ্রহণের ফলে ঐ মানুষদের উপর ‘বিশেষ প্রভাব পড়েনি'৷ ২০১৩ ও ২০১৪ সালে এই গবেষণাটি হয়৷
জার্মানরা আজও যে সব গাড়ি নিয়ে পাগল...
এই সব মডেলের গাড়ি দেখে গাড়ি প্রেমিকদের চোখে আজও জল আসে৷ ফল্কসভাগেন থেকে বিএমডাব্লিউ, ওপেল থেকে মার্সিডিজ বেঞ্জ অবধি জার্মান গাড়ি নির্মাতারা নানা ‘কাল্ট মডেল’ তৈরি করেছেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa/P. Kneffel
ফল্কসভাগেন বিটল (১৯৩৮)
এক কথায় ‘ওল্ড ফেইথফুল’৷ সর্বসাকুল্যে দু’কোটি দশ লাখের বেশি বিটল তৈরি হয়েছে৷ ফল্কসভাগেন বিটল সম্ভবত বিশ্বের প্রখ্যাততম মোটরগাড়ি৷ ১৯৩৮ থেকে ২০০৩ সাল অবধি বিটল-এর ডিজাইন বিশেষ বদলায়নি৷ ‘হার্বি’ ফিল্মটার কথা মনে করুন৷
ছবি: picture-alliance/dpa
ফল্কসভাগেন টি-ওয়ান (১৯৫০)
...বলতে বোঝায় ফল্কসভাগেন ক্যাম্পার ভ্যান, যা হিপি আন্দোলনের সময় খুব জনপ্রিয় হয়েছিল৷ জার্মানরা এর নাম দিয়েছিলেন ‘বুলি’৷ সে-যাবৎ এক কোটির বেশি ফল্কসভাগেন বাস বিক্রি হয়েছে, যার মধ্যে টি-ওয়ান মডেলের সংখ্যা ছিল প্রায় ১৮ লাখ৷
ছবি: DW/M. Reitz
মেসারস্মিট কেবিন স্কুটার (১৯৫৩)
মেসারস্মিট যে আদতে এয়ারোপ্লেন তৈরি করত, তিন চাকার এই এয়ায়োডাইনামিক গাড়িটির চেহারা দেখলেই তা বোঝা যায়৷ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর বিমান তৈরি বন্ধ হয়ে যায়, কাজেই মেসারস্মিট কিছুদিন ইঞ্জিনিয়ার ফ্রিটৎস ফেন্ড-এর সঙ্গে ‘ফ্লিটৎসার’ গাড়ির মডেলটি নিয়ে কাজ করে৷ তবে ১৯৫৬ সালের মধ্যেই মেসারস্মিট আবার বিমান উৎপাদনে ফেরে৷
ছবি: picture alliance/dpa/H. Galuschka
মার্সিডিজ ৩০০ এসএল (১৯৫৪)
গাড়িটার ডাকনাম হয়েছিল ‘গালউইং’ বা ‘গাঙচিলের পাখা’, কারণ দরজাগুলো ঠিক সেভাবেই ওপরের দিকে খুলত৷ ৩০০ এসএল সিলভার অ্যারো রেসিং কার-গুলো থেকেই মার্সিডিজ বেঞ্জ আবার মোটর রেসিং-এ ফেরে৷ লে মান্সের ২৪ ঘণ্টার মোটর দৌড় আর ক্যারেরা প্যানঅ্যামেরিকানা রেসিং ইভেন্টে জেতার পর ৩০০ এসএল গাড়ির একটি রাস্তায় চলা ও চালানোর মতো মডেল বার করা হয়৷
ছবি: Daimler AG
বিএমডাব্লিউ ইসেটা (১৯৫৫)
১৯৫৫ থেকে ১৯৬২ সাল অবধি ভালোই রোজগার করেছে বিএমডাব্লিউ এই ‘বাবল কার’ বা ‘বুদবুদ গাড়ি’-টি তৈরি করে৷ সস্তার কিন্তু কাজের এই মিনিগাড়িটিতে একটি মোটরসাইকেলের ইঞ্জিন লাগানো ছিল৷ খুলতে হতো সামনে, ঠিক একটা ফ্রিজিডেয়ারের মতো৷
ছবি: picture-alliance/dpa/P. Kneffel
পোর্শে নাইন-ইলেভেন (১৯৬৩)
ভাবলেই আশ্চর্য লাগে, পোর্শে ৯১১ স্পোর্টিং মডেলটি চলে আসছে ৫০ বছরের বেশি সময় ধরে! মোটরগাড়ির ইতিহাসে খুব কম মডেলই এতদিন ধরে চলে৷ তার উঁচু করা হেডলাইট আর পিছনদিকে নীচু বুট দেখলেই নাইন ইলেভেনকে চেনা যায়৷
ছবি: picture-alliance//HIP
মার্সিডিজ বেঞ্জ ৬০০ (১৯৬৪)
টেলিফোন, এয়ার কন্ডিশনিং আর ফ্রিজ লাগানো এই জার্মান লাক্সারি সেডানটি সত্তর আর আশির দশকে পোপ থেকে শুরু করে জন লেনন অবধি সেলিব্রিটিদের খুব প্রিয় ছিল৷ এমনকি ১৯৫৫ সালে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ যখন রাষ্ট্রীয় সফরে জার্মানিতে আসেন, তখন জার্মান সরকার মাননীয় অতিথির জন্য একটি মার্সিডিজ বেঞ্জ ৬০০ ভাড়া করেছিলেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa
ট্রাবান্ট ৬০১ (১৯৬৪)
ফল্কসভাগেন বিটল পশ্চিম জার্মানিতে যা ছিল, পূর্ব জার্মানিতে ট্রাবান্ট ৬০১ ছিল ঠিক তাই৷ প্লাস্টিকের বডি আর টু-স্ট্রোক ইঞ্জিন সংযুক্ত এই ‘ট্রাবি’ ছিল এক হিসেবে পূর্ব জার্মানির প্রতীক৷ আজও প্রায় ৩৩,০০০ ‘ট্রাবি’ জার্মানির পথেঘাটে ঘুরে বেড়াচ্ছে৷
ছবি: Imago/Sven Simon
ভার্টবুর্গ ৩৫৩ (১৯৬৬)
আইসেনাখ শহরের কাছে ভার্টবুর্গ দুর্গ, তারই নামে নাম রাখা হয়েছিল পূর্ব জার্মানির এই দ্বিতীয় আইকনিক গাড়িটির৷ তৈরি হতো প্রধানত রপ্তানির জন্য, যেমন হাঙ্গেরি অথবা ব্রিটেনে৷ তবে পশ্চিম জার্মানিতে ভার্টবুর্গ গাড়ির বিশেষ চাহিদা ছিল না৷
ছবি: picture-alliance/ZB/J. Wolf
ওপেল মান্টা (১৯৭০)
সৃষ্টি হয়েছিল মধ্যবিত্ত শ্রেণির জন্য একটি স্পোর্টস মডেল হিসেবে – পরে সেটাই জার্মানির ‘ইয়ং ম্যান’-দের কাছে অভীপ্স বস্তু হয়ে দাঁড়ায়৷ মান্টা চালকদের নিয়ে জার্মানিতে অসংখ্য রসিকতা আছে: বিশেষ করে মান্টা চালকদের বুদ্ধি – অথবা তার অভাব নিয়ে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
ফল্কসভাগেন গল্ফ (১৯৭৪)
১৯৭৪ সালে ফল্কসভাগেন কোম্পানি তাদের প্রথম গল্ফ মডেল বার করে – সুবিখ্যাত বিটল গাড়ির উত্তরসূরি হিসেবে৷ কমপ্যাক্ট হলেও, গল্ফ ছিল বেশ ‘স্পোর্টি’ আর তেলও খেতো কম – যা সত্তরের দশকের ‘অয়েল ক্রাইসিসে’ খুবই কাজে লেগেছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
11 ছবি1 | 11
সোমবার সকালে এমন খবর প্রকাশে জার্মানির ঐ তিন গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান প্রবল সমালোচনার মুখে পড়ে৷ জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল এর কঠোর নিন্দা জানান৷ ‘‘বানর, এমনকি মানুষের উপর এ ধরনের পরীক্ষা নীতিগত বিবেচনায় কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়,'' বলেন ম্যার্কেলের মুখপাত্র স্টেফেন সাইবার্ট৷ ভারপ্রাপ্ত পরিবহণমন্ত্রী ক্রিস্টিয়ান শ্মিড্ট জানান, ‘‘এর ফলে গাড়ি শিল্পের উপর বিশ্বাস আবারও ক্ষতিগ্রস্ত হলো৷'' ঐ তিন প্রতিষ্ঠানকে তাদের অবস্থান ব্যাখ্যা করার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে একটি বিশেষ বৈঠক ডাকা হয়েছে বলেও জানান তিনি৷
এদিকে, অভিযোগ ওঠা প্রতিষ্ঠান ডাইমলারের মুখপাত্র বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, ‘‘গবেষণার বিস্তারিত জেনে আমরা আতঙ্কিত৷'' বিএমডাব্লিউ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা আলোচিত ঐ পরীক্ষায় অংশ নেয়নি৷ আর ফল্কসভাগেন বলেছে, আলোচিত গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইইউজিটি-কে ‘স্বাধীন' প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছিল৷
অবশ্য বিশ্লেষকদের অভিযোগ, জ্বালানি হিসেবে ডিজেল কম ক্ষতিকর, এই বিষয়টি প্রমাণ করাই ঐ সংস্থার গবেষণার মূল উদ্দেশ্য ছিল৷
জেডএইচ/ডিজি (এএফপি, রয়টার্স)
বিএমডাব্লিউ গাড়ির ১০০ বছর
একশ বছর হয়ে গেল বিএমডাব্লিউ-র৷ যুদ্ধবিমানের ইঞ্জিন তৈরি দিয়ে শুরু হলেও জার্মান এই কম্পানি সারা বিশ্বে এখন গাড়ির জন্যই বিখ্যাত৷ চলুন জেনে নেয়া যাক বিএমডাব্লিউ-র সংগ্রাম এবং সাফল্যের একশ বছরের কথা৷
ছবি: picture-alliance/dpa/U. Deck
সেই প্রতীক
সাদা-নীলের এই লোগো বিএমডাব্লিউ-এর ১০০ বছর আগের সেই যাত্রা শুরুর সময়ের কথাই মনে করিয়ে দেয়৷ ১৯১৬ সালের ৭ মার্চ বিমানের ইঞ্চিন তৈরির কারখানা হিসেবে যাত্রা শুরুর সময়ে এর নাম ছিল বায়ারিশে ফ্লুগসয়েগভ্যার্কে (বাভারিয়ান এয়ারপ্লেন ওয়ার্কার্স)৷ পরে গাড়ি তৈরি শুরু করায় নাম ‘বায়ারিশে মোটরভ্যার্কে’ হলেও লোগো আর বদলায়নি৷
ছবি: picture-alliance/dpa/S. Hoppe
প্রথম মোটর বাইক
১৯২৩ সালে প্রথমবারের মতো মোটর বাইক তৈরি করে বিএমডাব্লিউ৷ আর-৩২ মডেলের প্রথম মোটরবাইকটি ছিল এরকম৷
ছবি: picture-alliance/dpa/BMW AG
যেভাবে গাড়ি তৈরি শুরু
১৯২৮ সারে আইজেনাখে একটি গাড়ি তৈরির কারখানা কিনে নেয় বিএমডাব্লিউ৷ সেখানেই নতুন করে শুরু হয় গাড়ি তৈরি৷ চার বছরেই মধ্যেই বাজারে এসে যায় বিএমডাব্লিউ-র এ ধরণের গাড়ি৷
ছবি: Imago/S. Geisler
শাপমোচন?
প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জার্মান বিমান বাহিনীর বিমানের ইঞ্জিনই তৈরি করেছে বিএমডাব্লিউ৷ তবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে যুদ্ধে ভূমিকা রাখার কলঙ্ক মোচনের জন্যও কাজ করেছে জার্মান এই শিল্প প্রতিষ্ঠান৷ যুদ্ধের কারণে বেকার হওয়া ২৫ হাজার মানুষের কর্মসংস্তানের ব্যবস্থা করেছে তারা৷
ছবি: Imago/Lindenthaler
ফতুর হতে হতে রক্ষা
গাড়ি তৈরি করতে গিয়ে অনেক বছর বড় রকমের ক্ষতি স্বীকার করতে হয়েছে বিএমডাব্লিউকে৷ ১৯৫৯ সালের দিকে তো দেউলিয়া হওয়ার দশা হয়েছিল৷ শিল্পপতি হ্যারব্যার্ট কুয়ান্ড্ট দায়িত্ব না নিলে হয়ত হারিয়েই যতো বিএমডাব্লিউ৷ ছবিতে হ্যারব্যার্ট কুয়ান্ড্টের স্ত্রী এবং দুই সন্তান৷
ছবি: picture-alliance/dpa/F. Rumpenhorst
নতুন সূচনা
১৯৬১ সালে নতুন ধরণের মডেল বিএমডাব্লিউ ১৫০০ নিয়ে এসে নতুনভাবে যাত্রা শুরু করে বিএমডাব্লিউ৷ এরপর একে একে এসেছে ১৬০০, ১৮০০ এবং ২০০০ মডেল৷ এতে করে শুরু হয়ে যায় বিএমডাব্লিউ-র সাফল্যের নতুন পর্ব৷
ছবি: picture-alliance/dpa
তিন-এর মাহাত্ম্য
১৯৭৫ সালে বিএমডাব্লিউ বাজারে ছাড়ে ‘থ্রি সিরিজ’৷ ছয় বছরের মধ্যেই বিক্রি হয়ে যায় দশ লাখ গাড়ি৷ ২০১৮ নাগাদ আসবে বিএমডাব্লিউ-র সপ্তম প্রজন্মের গাড়ি৷ আকাশ ছোঁয়া সাফল্য তখন আর কত উঁচুতে গিয়ে পৌঁছাবে কে জানে!
ছবি: Imago/Kicker
মিউনিখে প্রধান কার্যালয়
১৯৭৩ সাল থেকে বিএমডাব্লিউ-র প্রধান কার্যালয় জার্মানির মিউনিখ শহরে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/D. Sambraus
মিনি
১৯৯৪ সালে ব্রিটেনের রোভার গ্রুপও কিনে নেয় বিএমডাব্লিউ৷ ২০০৩ সাল থেকে নিজেদের কারখানায় রোল রয়েসও অ্যাসেম্বল করছে তারা৷