1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আবারো বাসের মধ্যে ধর্ষণ?

দেবারতি গুহ১১ অক্টোবর ২০১৫

১৬ই ডিসেম্বর ২০১২ – দিল্লির একটি বাসে গণধর্ষণ কাণ্ডের পর মারা গিয়েছিল নির্ভয়া৷ তার মৃত্যুর ক্ষত এখনও শুকায়নি বহু মানুষের বিবেকে৷ অথচ আজ, তিন বছর পর আবারো সে ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটলো৷ বাসের মধ্যেই ঘটে গেল আরো একটা ধর্ষণ৷

Symbolbild Missbrauch Opfer
ছবি: Fotolia/DW

নির্ভয়ার নির্মম মৃত্যুর এতগুলো বছর পরও ভারতে একই রকমভাবে ঘটে চলেছে নারী ধর্ষণ, যৌন নির্যাতনের ঘটনা৷ প্রতি ২২ মিনিটে একটি করে যৌন নিগ্রহের ঘটনা ঘটছে দেশটিতে৷ আর তার সর্বশেষ উদাহরণটি ঘটেছে দেশটির আইটি-হাব বেঙ্গালুরুতে৷

মেয়েটির বয়স ২৩, কাজ করতো একটি ‘কল সেন্টার'-এ৷ কাজের পর একটা পার্টি সেরে রাত ৯.৪৫ নাগাদ বাড়ি ফিরছিল মেয়েটি৷ কিন্তু....বাসস্টপ থেকেই প্রথমে অপহরণ, তারপর একটা মিনিবাসের মধ্যে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হলো তাকে৷ ধর্ষক একজন নয়, তিন-তিনটি ‘পুরুষ'৷

বাসস্টপটি বেঙ্গালুরুর বিখ্যাত কোরমঙ্গলায় অবস্থিত৷ অঞ্চলটি উচ্চবিত্ত, উচ্চ-মধ্যবিত্তদের মধ্যে খুবই পরিচিত, ‘পার্টি-হাব' যাকে বলে আর কি! বহু বিপিও, আইটি কোম্পানির পার্টি, নানারকম অনুষ্ঠান হয়ে থাকে সেখানে৷ তা অফিসের পার্টি যখন, তখন কোম্পানি থেকে গাড়ি দেয়া হয়নি কেন? রাতে কর্মচারীদের গাড়ি করে বাড়ি পৌঁছে দেয়ার না একটা আইন আছে ভারতে? – টুইটারে এমন প্রশ্ন করেছেন অনেকেই৷

ধর্ষণের শিকার মেয়েটি জানায় যে, সে পার্টির পর অটোরিক্সার জন্য অপেক্ষা করলো৷ আর তখনই মিনিবাসটি তার সামনে দাঁড়ায় এবং তাকে টানতে টানতে বাসে তোলা হয়৷ মেয়েটির কান্না আর চিৎকার বাসস্টপে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষগুলোর কানে পৌঁছায় না৷ তারা নির্লিপ্তের মতো দাঁড়িয়ে তামাশা দেখে৷ এরপর ছুরি দেখিয়ে এক-একজন করে তিনজন ধর্ষণ করে তাকে৷ তারপর কার্যসিদ্ধির পর, আবারো সেই বাসস্টপেই ছুড়ে মেরে ফেলে চলে যায়৷ এই বর্বরোচিত ঘটনার প্রতিবাদ করতে টুইটারকেই বেছে নিয়েছেন মাহরুখ ইনায়েতের মতো অনেকে৷

পুলিশও ইতিমধ্যে তিনজন ধর্ষকের মধ্যে দু'জনকে গ্রেপ্তার করেছে বলে দাবি করেছে৷ যোগেশ (২৭) এবং সুনীল (23) নামের এই দুই ব্যক্তি তাদের অপরাধ স্বীকার করেছে বলেও জানিয়েছে তারা৷ কিন্তু শুধুমাত্র অপরাধীকে কঠিন থেকে কঠিনতম শাস্তি দিলেই কি সমাজের এই ক্যানসারকে সারিয়ে তোলা যাবে? প্রশ্নটা থেকেই যাচ্ছে৷

প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে কীভাবে পুলিশ-প্রশাসনকে ফাঁকি দিয়ে একটার পর একটা ধর্ষণ, শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটে চলেছে ভারতে? ধর্ষণ, যৌন নির্যাতন, মানব পাচার – এ সব ঘৃণ্য কাজকে ঠেকাতে সুশীল সমাজকে হতে হবে আরো অনেক বেশি সক্রিয়, প্রয়োজনে আঙুল তুলতে হবে সরকারের দিকে, বলছেন অনেকেই৷ আশার কথা, ইউটিউবকে হাতিয়ার করে সমাজকে সচেতন করার কাজটা অন্ততপক্ষে শুরু হয়েছে ইতিমধ্যে...৷

আপনার মতে এই ধর্ষণের জন্য দায়ী কে? জানান নীচের মন্তব্যের ঘরে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ