1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আবার জিতলেন নেতানিয়াহু

১৮ মার্চ ২০১৫

ইসরায়েলি ক্নেসেট-এর নির্বাচনে সব জরিপকে ভুল প্রমাণিত করে সবচেয়ে বেশি আসন সংগ্রহ করেছে প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহুর দক্ষিণপন্থি লিকুদ দল৷ দু-তিন সপ্তাহের মধ্যেই সরকার গঠনের পরিকল্পনা করছেন নেতানিয়াহু৷

Israel Benjamin Netanjahu Wahlen 2015
ছবি: Reuters/Amir Cohen

দলের তরফ থেকে প্রকাশিত একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নেতানিয়াহু মঙ্গলবার রাত্রেই যে সব ছোট দলকে তিনি সম্ভাব্য জোট-সহযোগী বলে গণ্য করেন, তাদের নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছেন৷

এই দলগুলি হলো উগ্র দক্ষিণপন্থি ‘জিউয়িশ হোম' বা ‘ইহুদি স্বদেশ' দল, কট্টরপন্থি ‘ইসরায়েল বাইতেনু' দল এবং দু'টি চরম দক্ষিণপন্থি দল, ‘শাস' এবং ‘সংযুক্ত তোরা ইহুদিধর্ম'৷ দৃশ্যত লিকুদ ৩০টি আসন পেতে চলেছে, মুখ্য প্রতিদ্বন্দ্বী জিওনিস্ট ইউনিয়ন পাচ্ছে ২৪টি আসন৷ তৃতীয় স্থানে রয়েছে মূল আরব দলগুলির ‘জয়েন্ট লিস্ট' বা যুগ্ম তালিকা: তারা পাচ্ছে ১৪টি আসন৷

১২০ আসনের ক্নেসেট-এ সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য সব পক্ষেরই জোট সহযোগীর প্রয়োজন পড়বে৷ একটি হিসেবে, লিকুদ ও তার সহযোগীরা একত্রে ৫৭টি আসন নিয়ে সরকার গঠন করতে পারবে৷ অপরদিকে ইৎশাক হ্যারৎসগ-এর জিওনিস্ট ইউনিয়নেরও – সংবিধান অনুযায়ী – সরকার গঠনের অধিকার আছে: এক্ষেত্রে সাবেক লিকুদ মন্ত্রী মোশে কাহলোন-এর সদ্য-গঠিত কুলানু পার্টি ১০টি আসন সংগ্রহ করে ‘কিংমেকার'-এর ভূমিকা নিতে পারবে৷

হ্যারৎসগ ইতিমধ্যেই পরাজয় স্বীকার করে নেতানিয়াহুকে অভিনন্দন জানিয়েছেন৷ অপরদিকে ফিলিস্তিনি স্বশাসন কর্তৃপক্ষ আন্তর্জাতিক দায়রা আদালতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে মামলা আরো জোরদার করবেন বলে জানিয়েছেন৷ মুখ্য মধ্যস্থ সায়েব এরেকাৎ স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন যে, নেতানিয়াহু ‘‘সদ্য বলেছেন, তিনি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে''৷ কাজেই ‘‘এটা খুবই স্পষ্ট যে, শান্তি প্রক্রিয়ায় ইসরায়েলে (ফিলিস্তিনিদের)আর কোনো সহযোগী নেই''৷

ছবি: Reuters/A. Cohen

প্রাক-নির্বাচনি জরিপ, এমনকি ভোটকেন্দ্র থেকে বেরবার মুখে ভোটদাতাদের প্রশ্ন করেও বোঝা যায়নি যে, নেতানিয়াহু জিততে চলেছেন৷ বরং লিকুদ এবং জিওনিস্ট ইউনিয়ন, উভয় দলই ২৭টি করে আসন পাবে, বলে ভবিষ্যদ্বাণী করা হচ্ছিল৷ কিন্তু ভোটদান পর্বের মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে নেতানিয়াহু ঘোষণা করেন যে, তিনি পুনর্নির্বাচিত হলে একটি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র সৃষ্টির কোনো সম্ভাবনা থাকবে না – যদিও ২০০৯ সালে নেতানিয়াহুকে দুই রাষ্ট্রের সমাধান সমর্থন করতে শোনা গিয়েছিল৷

দ্বিতীয়ত, নেতানিয়াহুর প্রচার অভিযানের মূলমন্ত্র ছিল ইসরায়েলের নিরাপত্তা: অর্থাৎ ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির বিপদ, স্বাধীনতা পেলে ফিলিস্তিনিরা পূর্ব জেরুসালেমকে তাদের রাজধানী করতে পারে, ইত্যাদি আশঙ্কা ও ভীতি৷

তৃতীয়ত, ভোটের দিনেই নেতানিয়াহু তাঁর সমর্থকদের প্রতি অবিলম্বে ভোট দিতে যাবার আহ্বান জানান, কেননা আরব ইসরায়েলিরা নাকি বিপুল সংখ্যায় ভোট দিতে যাচ্ছে৷

লিকুদ ইতিমধ্যেই জানিয়েছে যে, প্রধানমন্ত্রী আগামী দু-তিন সপ্তাহের মধ্যেই সরকার গঠন করার পরিকল্পনা রাখেন৷

এসি/ডিজি (এএফপি, ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ