1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আবার ট্রাম্পের রোষের মুখে পড়লো ইরান

৫ নভেম্বর ২০১৮

ইরানের উপর নতুন করে একগুচ্ছ নিষেধাজ্ঞা চাপালো ট্রাম্প প্রশাসন৷ ফলে সে দেশের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে৷ ইরান অবশ্য মার্কিন পদক্ষেপের প্রতি প্রকাশ্যে অবজ্ঞা দেখাচ্ছে৷

Iran Dollar- und Rial-Banknoten in einer Wechselstube in Teheran
ছবি: Reuter/R. Homavandi

গত মে মাসে একতরফাভাবে পরমাণু চুক্তি বাতিল করে ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের উপর চাপ সৃষ্টি করতে চেয়েছিলেন৷ কিন্তু ইউরোপ, রাশিয়া ও চীন সেই চুক্তি রূপায়নের প্রশ্নে অবিচল থেকে বরং ওয়াশিংটনকেই একঘরে করে ফেলেছে৷ তাই ঘোষণা অনুযায়ী মার্কিন প্রশাসন ইরানের উপর আবার নতুন করে নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে৷ প্রথমে আগস্ট, তারপর নভেম্বর মাসে দফায় দফায় এই সব নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হচ্ছে৷

সর্বশেষ নিষেধাজ্ঞার ফলে পেট্রোলিয়াম রপ্তানি ও আন্তর্জাতিক বাজারে আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে ইরান আবার সমস্যার মুখে পড়ছে৷ কারণ, শুধু অ্যামেরিকা নয়, অ্যামেরিকার চাপে পড়ে অনেক দেশকে বাধ্য হয়ে ইরানের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক কমাতে বা পুরোপুরি বাতিল করতে হচ্ছে৷ উল্লেখ্য, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর থেকে ইরানের পেট্রোলিয়াম রপ্তানি প্রায় এক-তৃতীয়াংশ কমে গেছে৷ এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় সোমবার থেকে ইরানের ৬০০ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে কালো তালিকাভুক্ত করা হচ্ছে৷

সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও ও বাণিজ্যমন্ত্রী স্টিভেন মেনুশিন নতুন নিষেধাজ্ঞা সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানাবেন৷ উল্লেখ্য, ওয়াশিংটন আগেই জানিয়েছে যে,পেট্রোলিয়ামের বাজারে অস্থিরতা প্রতিরোধ করতে বিশেষ করে সৌদি আরবের সহায়তায় যথেষ্ট জোগান নিশ্চিত করা হবে৷ তবে ওপেক গোষ্ঠীর তৃতীয় বৃহত্তম পেট্রোলিয়াম উৎপাদনকারী দেশ হিসেবে আন্তর্জাতিক বাজারে ইরানের তেলের সরবরাহ কমে গেলে তার পরিণাম কী হবে, তা এখনো স্পষ্ট নয়৷

চীন, ভারত, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান ও তুরস্কের মতো কয়েকটি দেশ এ ক্ষেত্রে ট্রাম্প প্রশাসনের কাছে আপাতত ছাড় পেয়েছে৷ এসব দেশ ইরান থেকে পেট্রোলিয়াম আমদানি করে৷ তবে শর্ত হিসেবে এসব দেশকে ইরানের প্রাপ্য রাজস্ব এক ‘এসক্রো অ্যাকাউন্টে' জমা দিতে হবে৷ ইউরোপ অবশ্য এমন কোনো ছাড় পাচ্ছে না৷ ইউরোপীয় ইউনিয়ন নিজস্ব কোম্পানিগুলির স্বার্থে ইরানের সঙ্গে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে আগেই এক রক্ষাকবচ সৃষ্টি করেছে৷ তবে আইনি সুরক্ষা সত্ত্বেও ইউরোপের কিছু কোম্পানি মার্কিন রোষ থেকে বাঁচতে ইরানে ব্যবসা গুটিয়ে নিচ্ছে৷

রবিবার ইরানে অ্যামেরিকার বিরুদ্ধে জোরালো প্রতিবাদ-বিক্ষোভ দেখা গেছে৷ ১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ্লবের সময় মার্কিন দূতাবাস দখলের ৩৯তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে জনতার মুখে ‘অ্যামেরিকা নিপাত যাক' বুলি শোনা গেছে৷ ইরানের প্রশাসন প্রকাশ্যে মার্কিন নিষেধাজ্ঞাকে অবজ্ঞা করছেন৷ শনিবার ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতোল্লাহ খামেনেই অ্যামেরিকার পদক্ষেপের কড়া নিন্দা করেন৷ তাঁর মতে, ট্রাম্প অ্যামেরিকার ভাবমূর্তির মারাত্মক ক্ষতি করেছেন এবং শেষ পর্যন্ত ট্রাম্পই হার মানতে বাধ্য হবেন৷

অ্যামেরিকায় সংসদ নির্বাচনের ঠিক এক দিন আগে ইরানের উপর নতুন নিষেধাজ্ঞা বাড়তি রাজনৈতিক গুরুত্ব পাচ্ছে৷ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নির্বাচনি প্রচারে বিষয়টি তুলে ধরে ভোটারদের কাছে পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রে নিজের কড়া মনোভাবের দৃষ্টান্ত দেখিয়েছেন৷

এসবি/এসিবি (রয়টার্স, ডিপিএ, এএফপি)

 

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ