1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আবার তরল পদার্থ সঙ্গে নিয়ে বিমানে ওঠা যাবে

৩০ এপ্রিল ২০১১

নাইন ইলেভেন সন্ত্রাসী হামলার পর থেকে বিমানযাত্রীদের একের পর এক নতুন নিয়ম মেনে চলতে হচ্ছে৷ এবার সেই নিয়ম কিছুটা শিথিল করার উদ্যোগ শুরু হলেও বিভ্রান্তির আশঙ্কায় তাতে বিলম্ব ঘটাতে চাইছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন৷

ছবি: AP

ধরুন এক বা দুই রাতের জন্য কোথাও যাচ্ছেন৷ জামাকাপড় ছাড়াও সঙ্গে কিছু প্রসাধনের উপকরণ রাখতে হয়৷ দাড়ি কামানোর সরঞ্জাম থেকে শুরু করে ক্রিম, তেল, সাবানের মতো জিনিসপত্র না থাকলে সমস্যা হয়৷ কিন্তু তরল পদার্থের সর্বোচ্চ মাত্রা – অর্থাৎ ১০০ মিলিলিটার অতিক্রম করলে সেই সুটকেস সঙ্গে নিয়ে বিমানে উঠা যায় না৷ নিরাপত্তা কর্মীরা সেগুলি আবর্জনার ঝুড়িতে ফেলে দেন৷ ২০০৬ সাল থেকেই এই নিয়ম চালু রয়েছে৷ সেসময় ব্রিটেনের পুলিশ এক ষড়যন্ত্রের কথা জানতে পারে৷ তারা জানায়, অ্যাটলান্টিক মহাসাগরের উপর উত্তর অ্যামেরিকাগামী কিছু বিমান ধ্বংস করার ছক কষছিল সন্ত্রাসবাদীরা৷ তরল পদার্থের সাহায্যে বিমানে বসেই চটজলদি বিস্ফোরক তৈরি করতে চেয়েছিল তারা৷ সেসময় বেশ কয়েক জন ব্যক্তিকে আটক করে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগও আনা হয়৷

একদিকে যাত্রীদের স্বাচ্ছন্দ্য, অন্যদিকে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করার উদ্যোগ – এই দুই উদ্দেশ্যের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে কর্তৃপক্ষ৷ এর মধ্যে প্রযুক্তির উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে বাজারে এসেছে তরল পদার্থ পরীক্ষা করার নতুন ‘লিকুইড স্ক্যানার'৷ ফলে এক্স-রে যন্ত্রের মাধ্যমে যেমন যাত্রীদের মালপত্র পরীক্ষা করা হয়, বিপজ্জনক তরল পদার্থ সনাক্ত করার পথও এবার খুলে গেছে৷

এর ফলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য দেশগুলি এই নিয়ম বাতিল করার উদ্যোগ শুরু করেছে৷ ২০১৩ সালের মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এই নিষেধাজ্ঞা পুরোপুরি প্রত্যাহার করার পরিকল্পনা নিয়েছে৷ শুক্রবার ২৯শে মে থেকে ধাপে ধাপে এই পদক্ষেপ শুরু করার কথা ছিল৷ এর আওতায় ইউরোপের মধ্যে বিমানযাত্রার সময় বিমানবন্দরে শুল্কমুক্ত তরল পণ্য কিনে সহজেই বিমানে ওঠার সুযোগ পেতেন যাত্রীরা৷ কিন্তু শেষ মুহূর্তে দেখা যাচ্ছে বিভ্রান্তি৷

শুক্রবার কিছু দেশ এই পদক্ষেপ নিলেও বাকিরা পুরানো নিয়ম বহাল রেখেছে৷ এই অবস্থায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন আপাতত তড়িঘড়ি করে পরিবর্তন না করে পুরানো নিয়ম চালু রাখার পরামর্শ দিয়েছে৷ অনেক সদস্য দেশও নিরাপত্তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভুগছে৷ তারা এখনই কোনো ঝুঁকি নিতে চায় না৷ তরল পদার্থ সনাক্ত করার যন্ত্র বাস্তবে কতটা নির্ভরযোগ্য হবে, সেবিষয়েও তাদের সন্দেহ দূর হয় নি৷ ইউরোপীয় বিমান সংস্থাগুলির সংগঠন এইএ'ও জানিয়েছে, তারা নীতিগতভাবে তরল পদার্থের উপর নিষেধাজ্ঞা তোলার পক্ষে হলেও বর্তমানে যে সব স্ক্যানার যন্ত্র রয়েছে, সেগুলি বাস্তব পরিস্থিতি সামলানোর উপযোগী নয়৷ ফলে বিভ্রান্তি এড়াতে আপাতত কোনো পরিবর্তন না আনাই উচিত৷

প্রতিবেদন: সঞ্জীব বর্মন

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল ফারূক

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ