1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আবার ‌বইমেলার ঠিকানা বদল

শীর্ষ বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতা
৩ নভেম্বর ২০১৭

ফের জায়গা বদল করল কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলা৷ শহরের কেন্দ্র থেকে আগেই সরে গিয়েছিল, এবার একেবারে বিধান নগর উপনগরীতে৷

Indien Buchmesse in Kalkutta 2017
ছবি: DW/S. Bandopadhyay

পরিবেশ দূষণের কারণে আপত্তি ওঠায় কলকাতা ময়দান থেকে আগেই সরেছিল বইমেলা৷ শহরের পুব সীমানায় ইস্টার্ন মেট্রোপলিটান বাইপাসের ধারের ‘‌মিলন মেলা'‌র স্থায়ী প্রাঙ্গন থেকেও এবার সরতে হলো সেই মেলাকে৷ কারণ, মিলন মেলা প্রাঙ্গণের সংস্কার ও সম্প্রসারণ৷ এই সিদ্ধান্ত অবশ্য হঠাৎ নয়৷ গত বছর বইমেলা শেষ হওয়ার সময়ই জানা গিয়েছিল, পরের বছর মেলাকে অন্যত্র সরতে হতে পারে৷ কারণ, মিলন মেলার সমস্ত অস্থায়ী ছাউনি সরিয়ে দিয়ে, একেবারে বিদেশের ধাঁচে স্থায়ী মেলা ভবন তৈরি হবে, যেখানে সমস্ত আধুনিক সুযোগ-সুবিধা থাকবে৷ এবং এটা যেহেতু অনেক বড় মাপের কাজ এবং সরকারি কাজ, তার টেন্ডার ডাকা থেকে শুরু করে বহু রকমের নিয়ম-বিধি আছে, যা মেনে চলতে হবে৷ সেই কারণে সময় লাগবে৷ ধরে নেওয়াই যায় যে, আগামী বেশ কয়েক বছর মিলন মেলায় আর কোনও মেলা হবে না, বইমেলা তো নয়ই৷ 

BinodGhoshal - MP3-Stereo

This browser does not support the audio element.

এই পরিস্থিতিতে পরের বইমেলা হবে পূর্ব কলকাতার উপনগরী সল্ট লেক বা বিধান নগরের একেবারে কেন্দ্রে সেন্ট্রাল পার্ক লাগোয়া মেলা প্রাঙ্গনে৷ কলকাতা পাবলিশার্স অ্যান্ড বুক সেলার্স গিল্ড, যারা কলকাতা বইমেলার মূল উদ্যোক্তা, সেই সংগঠনের সভাপতি ত্রিদিব চ্যাটার্জি ডয়চে ভেলেকে জানালেন, রাজারহাটের ইকো পার্ক, রবীন্দ্র তীর্থ, এরকম বেশ কিছু জায়গার মধ্যে সল্ট লেকের সেন্ট্রাল পার্কই তাঁদের শেষ পর্যন্ত পছন্দ হলো, কারণ, এর কেন্দ্রীয় অবস্থান৷ শহরের যে কোনও জায়গা থেকেই সল্ট লেকের এই অংশে পৌঁছে যাওয়া খুব সহজ৷ যান যোগাযোগের সুব্যবস্থা আছে৷ ফলে বইমেলার ফের ঠিকানা বদলে কার্যত সুবিধেই হলো বলে মনে করছেন গিল্ড সভাপতি৷ সেন্ট্রাল পার্কে জায়গা কম বলে যে অভিযোগ উঠেছে, সেটাকেও গুরুত্ব দিচ্ছেন না ত্রিদিব চ্যাটার্জি, কারণ, তাঁরা এখনও সরেজমিনে মেলার জায়গা ঘুরেই দেখেননি৷ তবে এটা তিনি জানালেন যে, ওখানে ‘‌বিধান নগর মেলা'‌, ‘‌হস্তশিল্প মেলা'‌, বা অন্যান্য আরও যেসব মেলা হয়, তারা পুরো জায়গাটা কাজে লাগায় না৷ ফলে একমাত্র নিজেরা ঘুরে দেখে এবং ঠিকঠাক পরিকল্পনা করে জায়গাটা কাজে লাগালেই সমস্যার সমাধান হবে৷ প্রসঙ্গত ত্রিদিব চ্যাটার্জী জানালেন, এবার হয়ত বড় বড় হ্যাঙ্গার তৈরি করে ছোট প্রকাশকদের সেখানেই জায়গা দেওয়া হবে৷ আগের বইমেলায় সেটা আংশিক করা হয়েছিল এবং বিক্রিবাটা নিরিখে প্রকাশকদের অভিজ্ঞতা বেশ ভালো৷ অঙ্গসজ্জায় কম খরচ করেও বই বিক্রি হয়, লোকে আসে৷ এ কারণে অনেক ছোট প্রকাশকই গিল্ডকে জানিয়েছে, তারা ওই হ্যাঙ্গারের ব্যবস্থাতেই খুশি৷

TridibChatterjee - MP3-Stereo

This browser does not support the audio element.

যদিও পশ্চিমবাংলার গ্রাম-মফস্‌সল থেকে প্রতিবার যে অনেক মানুষ কলকাতা বইমেলায় আসেন, তাঁদের বিস্তর অসুবিধে হবে বলে মনে করছেন এই সময়ের বিশিষ্ট সাহিত্যিক বিনোদ ঘোষাল৷ ডয়চে ভেলেকে তিনি জানালেন, বইমেলা কলকাতা ময়দান থেকে ই এম বাইপাসের ধারে চলে যাওয়াতেই গ্রাম-মফস্‌সলের লোকেদের অসুবিধে হচ্ছিল৷ যতই বলা হোক বাড়তি বাস যাতায়াতের কথা, আসলে যে কীভাবে যাতায়াত করতে হয়েছে, সেটা তাঁরা হাড়ে হাড়ে বুঝতেন৷ অন্তত ৪/‌৫ ঘণ্টা যাতায়াতে লেগেই যেতো৷ এবার সেই অসুবিধে আরও বাড়বে৷ ফলে নিশ্চিতভাবেই প্রভাব পড়বে বইয়ের বিক্রিতে৷ বিনোদ ঘোষালের বক্তব্য, এমনিতেই বাংলা বই লোকে পড়ছে না বলে হা হুতাশ শোনা যায়, তার ওপর যদি দেখা যায়, যাঁরা বই কেনেন, তাঁদের সুবিধের কথা না ভেবে প্রশাসন কেবল নিজেদের সুবিধেই দেখছে, তা হলে সত্যিই সমস্যা৷ তাঁর নিজের এবার বইমেলায় ৪-৫টি বই প্রকাশিত হওয়ার কথা৷ অনেক পরিকল্পনা ছিল সেসবের উদ্বোধন নিয়ে, যা এখন অনিশ্চিত হয়ে পড়ল, জানিয়েছেন বিনোদ ঘোষাল৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ