তুরস্ক-সিরিয়া সীমান্তের কাছে আবার ভূমিকম্প। পরপর দুইবার কম্পন অনুভূত হয়েছে। ফের মৃত্যু। নিখোঁজ অনেকে।
বিজ্ঞাপন
নতুন করে ভূমিকম্পে অন্তত তিনজনের মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। আবার বহু মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে গেছেন বলে মনে করা হচ্ছে। উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছে।
সোমবার পরপর দুইবার কম্পন অনুভূত হয় দক্ষিণ-পূর্ব তুরস্কে। সিরিয়ার সীমান্তের এই অঞ্চলে প্রথম কম্পনটির মাত্রা ছিল ছয় দশমিক চার। পরেরটি পাঁচ দশমিক আট। উদ্ধারকারীরা সেখানে ছিলেন। কারণ, দুই সপ্তাহ আগে ভয়াবহ ভূমিকম্পে হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে এই অঞ্চলে। উদ্ধারকাজ এখনো সম্পূর্ণ হয়নি। তারই মধ্যে এদিন ফের ভূমিকম্প হয়। এদিনও বহু মানুষ ধ্বংসস্তূপের নীচে চাপা পড়ে গেছে বলে মনে করা হচ্ছে। উদ্ধারকারীরা এখনো পর্যন্ত তিনজনের দেহ উদ্ধার করেছেন। তবে আরো মানুষ আটকে আছেন বলে প্রাথমিকভাবে জানানো হয়েছে।
তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভূমিকম্পে ঘরহীন মানুষদের জীবন
ভয়াবহ ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ার অসংখ্য মানুষ এখন ঘরহারা৷ অস্থায়ী আশ্রয় শিবিরে কেমন কাটছে তাদের জীবন, দেখুন ছবিঘরে...
ছবি: Thaier Al-Sudani/REUTERS
স্টেডিয়ামে আশ্রয়
তুরস্কের কাহরামানমারাসের এক স্টেডিয়ামে তাঁবুতে আশ্রয় নিয়েছেন মোহাম্মদ৷ ঘর হারালেও পোষা পাখিগুলোকে রক্ষা করেছেন ২৬ বছর বয়সি এই তরুণ৷ তাঁবুর দরজায় বসে খাঁচার সেই পাখিগুলোর দিকেই তাকিয়ে আছেন তিনি৷
ছবি: Nir Elias/REUTERS
শিশুদের ব্যস্ত রাখা
তুরস্কের ইসকান্দারুন শহরেও ভূমিকম্পে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে৷ প্রাণ গেছে অনেকের৷ অনেক শিশু হয়েছে এতিম৷ সব শিশুকে ব্যস্ত রেখে দুঃখ ভোলানোর চেষ্টাও চলছে৷ ওপরের ছবিতে নিজেদের আঁকা ছবি বোর্ডে লাগাচ্ছে কয়েকজন শিশু৷
ছবি: Eloisa Lopez/REUTERS
ছোট কাঁধে বড় দায়িত্ব
সিরিয়ার জাবেহ শহরের এই শিশুটিকে রেশনের খাদ্য নিয়ে আসার দায়িত্ব দিয়েছিল তার পরিবার৷ এক স্কুল থেকে রুটি নিয়ে পরিবারের কাছে ফিরছে সে৷
ছবি: Amr Alfiky/REUTERS
স্কুলই তাদের ঘর
সিরিয়ার লাতাকিয়ার ঘরহারাদের আশ্রয় দেয়া হয়েছে রেফাত দাহো স্কুলে৷ ছবিতে সেই স্কুলের সামনের দৃশ্য৷
ছবি: Amr Alfiky/REUTERS
বিষন্ন মুখে আনন্দের রং
শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক রাখার জন্য তাদের নানাভাবে আনন্দে রাখার চেষ্টা চলছে৷ তুরস্কের ওসমানিয়ের এক শিশুর গালে ছবি এঁকে তাকে আনন্দ দেয়ার চেষ্টা করছেন এক নারী৷
ছবি: Suhaib Salem/REUTERS
জুমার নামাজ
ধীরে ধীরে স্বাভাবিক জীবনে ফেরার চেষ্টা করছেন তুরস্ক ও সিরিয়ার অনেক মানুষ৷ শুক্রবার তুরস্কের আদিয়ামান শহরে জুমার নামাজ আদায় করতে দেখা যায় কয়েকশ মানুষকে৷
ছবি: Thaier Al-Sudani/REUTERS
শিশুর আনন্দ...
কাহরামানমারাসের এক শিশু এক বেলার খাবার পেয়ে ভীষণ আনন্দিত৷ ট্রে-তে খাবার সাজিয়ে খুশিমনে পরিবারের সদস্যদের কাছে নিয়ে যাচ্ছে সে৷
ছবি: Suhaib Salem/REUTERS
অস্থায়ী পার্ক
তুরস্কের হাতায় প্রদেশের এক আশ্রয় শিবিরে শত শত গৃহহীনকে আশ্রয় দেয়া হয়েছে তাঁবুতে৷ পাশেই শিশুদের জন্য রয়েছে দোলনায় দোল খেয়ে আনন্দ করার ব্যবস্থ৷
ছবি: Eloisa Lopez/REUTERS
রেশনের দোকানে লম্বা লাইন
এই ছবিটিও তুরস্কের ইসকান্দারুন শহরের৷ প্রয়োজনীয় নানা ধরনের পণ্য বিনামূল্যে দেয়া হচ্ছে শুনে ছুটে এসেছেন সব সহায়-সম্বল হারানো মানুষেরা৷
ছবি: Eloisa Lopez/REUTERS
থেমে নেই পড়াশোনা
ছবির এই দুই কিশোরী সিরিয়া থেকে এসে আশ্রয় নিয়েছে তুরস্কের কাহরামানমারাসের এক আশ্রয় শিবিরে৷ সেখানেই বই পড়ায় ব্যস্ত তারা৷
ছবি: Eloisa Lopez/REUTERS
10 ছবি1 | 10
স্থানীয় সময় সন্ধে আটটা নাগাদ এদিন প্রথম কম্পন অনুভূত হয়। এর তিন মিনিটের মধ্যে হয় দ্বিতীয় কম্পন। স্থানীয় মানুষ ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন, মনে হচ্ছিল পায়ের নিচের মাটি সরে যাবে। পৃথিবী দুইভাগে ভাগ হয়ে যাবে। ভূমিকম্পের পরেই দক্ষিণ-পূর্বের একাধিক শহরে মানুষ রাস্তায় নেমে পড়েন আতঙ্কে। নতুন করে বাড়ি ধসে পড়ার ঘটনা ঘটেছে। তুরস্কে আহত হয়েছে ২১৩জন। সিরিয়ায় ৪৭০জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানা গেছে। মিশর এবং লেবাননেও কম্পন অনুভূত হয়েছে।
এর আগের ভূমিকম্পে এখনো পর্যন্ত ৪৪ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এখনো সমস্ত দেহ উদ্ধার করা যায়নি। সিরিয়া এবং তুরস্কের সীমান্তেই আগেরবার ভূমিকম্প হয়েছিল। এদিনের ভূমিকম্পের পর কিছুক্ষণের জন্য উদ্ধারকাজ ব্যাহত হয়।