সংযুক্ত আরব আমিরাতে প্রথমবারের মতো গড়ে তোলা হচ্ছে ইহুদিদের উপাসনালয় সিনাগগ৷ স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে আগামী বছর এর নির্মাণকাজ শুরু হবে, ২০২২ সালের মধ্যে কাজ শেষ হবে৷
বিজ্ঞাপন
আবু ধাবিতে নির্মাণ হচ্ছে আব্রাহামিক ধর্মগুলোর একটি কমপ্লেক্স৷ এই প্রকল্পের আওতায় একই চত্ত্বরে থাকবে মসজিদ, গির্জা ও সিনাগগ৷ আবু ধাবির পত্রিকা দ্য ন্যাশনাল রোববার এ সংবাদ প্রকাশ করেছে৷
গত ফেব্রুয়ারিতে প্রথম পোপ হিসেবে আরব উপদ্বীপ সফরের অংশ হিসেবে আরব আমিরাতে আসেন পোপ ফ্রান্সিস৷ তখনই এ কমপ্লেক্স তৈরির ঘোষণা করা হয়৷
আরব আমিরাতের প্রথম সিনাগগ হলেও দেশটিতে প্রবাসী হিসেবে বসবাসরত স্বল্পসংখ্যক ইহুদি জনগোষ্ঠী একটি ভাড়া বাড়িতে উপাসনা করে আসছেন৷ কোনো সিনাগগ না থাকলেও দেশটিতে বেশ কয়েকটি গির্জা, হিন্দুদের একটি মন্দির ও শিখদের একটি গুরুদুয়ারা রয়েছে৷
আরব আমিরাতে বসবাসকারীদের বেশিরভাগই বিদেশি শ্রমিক এবং তাদের সবচেয়ে বড় অংশ ভারতীয় নাগরিক৷ আবু ধাবির ভারতীয় দূতাবাস জানিয়েছে, আরব আমিরাতে অন্তত ২৬ লাখ ভারতীয় বাস করেন৷ অর্থাৎ, আমিরাতের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৩০ শতাংশই এখন ভারতীয়৷
আরব আমিরাতের সঙ্গে ইসরায়েলের কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই৷ তবে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন আয়োজনে অংশ নিতে ইসরায়েলি রাজনীতিবিদরা মাঝেমধ্যেই আমিরাতে আসেন৷
এক ছাদের নীচে মসজিদ, গির্জা আর সিনাগগ!
জার্মানির বার্লিনে এমনই এক উপাসনালয় তৈরির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে৷ নাম – ‘হাউজ অফ ওয়ান’৷ আর এ জন্য ‘ক্রাউডফান্ডিং’-এর মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহের কাজ চলছে৷
ছবি: Lia Darjes
এক ছাদের নীচে
জার্মানির বার্লিনে এমন একটি ভবন প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা করা হয়েছে যেখানে এক ছাদের নীচে ইসলাম, খ্রিষ্টান ও ইহুদিদের প্রার্থনার জন্য আলাদা অংশ বরাদ্দ থাকবে৷ ‘হাউজ অফ ওয়ান’ নামের এই ভবনে থাকবে অন্য আরেকটি অংশ, যেখানে তিন ধর্মের অনুসারীরা একসঙ্গে মিলিত হয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করতে পারবেন৷
ছবি: KuehnMalvezzi
তিন উদ্যোক্তা
প্রোটেস্ট্যান্ট যাজক গ্রেগর হোব্যার্গ, রাব্বি টোফিয়া বেন-চোরিন ও ইমাম কাদির সানচির যৌথ উদ্যোগে পরিকল্পনাটি গ্রহণ করা হয়েছে৷ এ প্রসঙ্গে সানচি বলেন, ‘‘তিন ধর্মের চলার পথ আলাদা হলেও লক্ষ্য একই৷’’ মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে তিন ধর্মের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে তোলা এর অন্যতম একটি উদ্দেশ্য৷
ছবি: Lia Darjes
গির্জার স্থানে
বার্লিনের যে স্থানে ভবনটি নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়েছে সেখানে আগে ছিল একটি গির্জা৷ শীতল যুদ্ধের সময় সেটি ধ্বংস হয়ে যায়৷ তারপর থেকে জায়গাটি খালি পড়ে আছে৷
ছবি: Michel Koczy
শুরুতে মুসলিমদের আগ্রহ ছিল না
প্রকল্পের শুরুতে কোনো মুসলিম সম্প্রদায় এর সঙ্গে জড়িত হতে আগ্রহী ছিল না৷ পরে ‘ফোরাম ফর ইনটেলেকচুয়াল ডায়ালগ’ নামের তুর্কিভাষী সুন্নি মুসলিমদের একটি সংগঠন এর সঙ্গে যুক্ত হয়৷
ছবি: KuehnMalvezzi
খ্রিষ্টান ও ইহুদিদের সমালোচনা
জার্মানির ক্যাথলিক সম্প্রদায়ের নেতা মার্টিন মোসেবাখ বলেন, ভবনটির নকশায় ‘পবিত্র’ বিষয়টি নেই৷ নকশাটি দেখে ‘ফারাউনের কবর’-এর মতো আকারহীন মনে হয়৷ ইহুদিদের একটি অংশও এই পরিকল্পনার সমালোচনা করেছে বলে জানা যায়৷
ছবি: Lia Darjes
তহবিল সংগ্রহ
ভবনটি তৈরি করতে ৪৩ মিলিয়ন ইউরো প্রয়োজন৷ ক্রাউডফান্ডিং-এর মাধ্যমে সেই টাকা তোলার প্রক্রিয়া চলছে৷