1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মানিতে টিকার অভাব

৮ জুন ২০২১

সোমবার থেকে জার্মানিতে করোনা টিকার উপর নিয়ন্ত্রণ উঠে যাবার পর চাহিদা বেড়ে গেছে৷ কিন্তু টিকার অভাবে বেশিরভাগ মানুষকে অপেক্ষা করতে হচ্ছে৷ এদিকে নিম্ন মানের মাস্ক বিতরণের অভিযোগ অস্বীকার করছে সরকার৷

Impfkampagne Deutschland
ছবি: Ralph Lueger/Imago Images

করোনা ভাইরাস সংক্রমণের হার ধারাবাহিকভাবে কমে চলায় জার্মানিতে আপাতত স্বস্তির নিঃশ্বাস পড়ছে৷ সোমবার থেকে ১২ বছরের বেশি বয়সি সব মানুষ করোনা টিকার আবেদনের সুযোগ খুলে দেওয়ায় বাড়তি উৎসাহ সৃষ্টি হচ্ছে৷ জুলাই মাসের মধ্যেই প্রাপ্তবয়স্কদের সিংহভাগ টিকার অন্তত প্রথম ডোজ পেয়ে যাবেন বলে সরকার আশা করছে৷ তবে করোনা সংক্রমণের চতুর্থ ঢেউয়ের প্রস্তুতির ক্ষেত্রেও ঢিলেমি সম্পর্কে সতর্কতা শোনা যাচ্ছে৷ বিশেষ করে ব্রিটেনে টিকা কর্মসূচির ক্ষেত্রে অগ্রগতি সত্ত্বেও করোনা ভাইরাসের অত্যন্ত ছোঁয়াচে ডেল্টা সংস্করণ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ায় ইউরোপেও দুশ্চিন্তা দেখা যাচ্ছে৷ ভবিষ্যতে অন্যান্য মিউট্যান্ট আরও বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে, এমন আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না৷

করোনা টিকার জন্য আবেদনের সুযোগ পেলেও সেই বিপুল চাহিদা মেটাতে যথেষ্ট পরিমাণ টিকা এখনো সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে না৷ জার্মানির স্বাস্থ্যমন্ত্রী ইয়েন্স স্পান আগেই বলেছিলেন, সব আগ্রহী মানুষ প্রথম দিনেই টিকা নেবার তারিখ স্থির করতে পারবেন না৷ বরং আগামী কয়েক সপ্তাহ ধৈর্য্য ধরে অপেক্ষা করলে তারপর অ্যাপয়েন্টমেন্ট পাওয়া যেতে পারে৷ টিকাদান কেন্দ্র, ডাক্তারের চেম্বারের পাশাপাশি বিভিন্ন কোম্পানির নিজস্ব ডাক্তাররাও এবার টিকা দিতে শুরু করায় চাপ সামান্য হলেও কিছুটা কমার কথা৷ জার্মানির অর্থমন্ত্রী পেটার আল্টমায়ার বলেন, কোম্পানির ডাক্তাররা মাসে প্রায় ৩০ লাখ টিকা দিতে পারবেন৷

প্রথম দিনেই ডাক্তারের চেম্বারগুলির উপর প্রবল চাপ দেখা গেছে৷ টিকা নিতে আগ্রহী মানুষের প্রশ্নের জবাব দিতে কর্মীরা হিমসিম খেয়েছেন৷ বিশেষ করে আসন্ন গ্রীষ্মের ছুটিতে বেড়াতে যাবার তাগিদে অনেক মানুষ দ্রুত টিকা নিতে আগ্রহী৷ ফলে নানা পথে চেষ্টা চালিয়ে তারা টিকা পাবার আশা করছেন৷ কিন্তু বেশিরভাগ মানুষই অপেক্ষা করতে বাধ্য হচ্ছেন৷

এর মধ্যে জার্মানির সরকার বিতর্কের মুখে পড়েছে৷ করোনা সংকটের শুরুতে মাস্কের অভাব মেটাতে দ্রুত অর্ডার দিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নিম্ন মানের অনেক মাস্ক হাতে পেয়েছিল, যেগুলি নাকি গৃহহীন ও প্রতিবন্ধী মানুষের মধ্যে বিতরন করা হয়৷ এমন গাফিলতির অভিযোগে স্বাস্থ্যমন্ত্রী স্পানের পদত্যাগের দাবিও উঠছে৷ চ্যান্সেলর ম্যার্কেল অবশ্য স্বাস্থ্যমন্ত্রীর প্রতি পূর্ণ আস্থা ও সমর্থন জানিয়েছেন৷ সরকার এ সংক্রান্ত যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করছে৷ দলের শীর্ষ নেতা আরমিন লাশেটও স্পানের প্রতি আস্থা প্রকাশ করেছেন৷ তিনি সরকারের শরিক দল এসপিডি-র বিরুদ্ধে নেতিবাচক প্রচারের অভিযোগ এনেছেন৷

এসবি/কেএম (ডিপিএ, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ