1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আফগান ঐক্যের প্রতীক

ফ্লোরিয়ান ভাইগান্ড/এপিবি২৯ এপ্রিল ২০১৪

আফগানিস্তানের শহরাঞ্চলে ও উত্তরে ফার্সি ভাষাভাষিদের কাছে জনপ্রিয় হচ্ছেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল্লাহ আব্দুল্লাহ৷ নির্বাচনে জয় পেতে কোন কোন ইস্যু মুখ্য ভূমিকা রাখবে, তা তুলে ধরেছেন ডয়চে ভেলের ফ্লোরিয়ান ভাইগান্ড৷

আব্দুল্লাহ আব্দুল্লাহছবি: S.Marai/AFP/GettyImages

আফগানিস্তানে নতুন সরকার গঠনের পেছনে এবার পশতু নয়, হয়ত ফার্সিভাষিদেরই থাকবে প্রাধান্য৷ আফগানিস্তানে অনেক ধরনের উপজাতীর বাস৷ এদের মধ্যে পশতুনরাই বর্তমান সরকারে সংখ্যাগরিষ্ঠ এবং দক্ষিণে তাঁদের আধিপত্য বেশি৷ কিন্তু উত্তরের চিত্র একেবারেই ভিন্ন৷ সেখানে ফার্সিভাষি তাজিকরা সংখ্যাগরিষ্ঠ৷ আব্দুল্লাহর জন্য এটা এক দিক দিয়ে ইতিবাচক৷ কেননা পশ্চিমা বিশ্বের কাছে এরই মধ্যে তাঁর গ্রহণযোগ্যতা তৈরি হয়েছে, তাছাড়া দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম উপজাতি গোষ্ঠীর সমর্থন রয়েছে তাঁর সাথে৷ তাই ধারণা করা হচ্ছে তিনিই গঠন করতে যাচ্ছেন পরবর্তী সরকার৷

আব্দুল্লাহ আর একটি বড় ‘ট্রাম্প কার্ড' হলো তিনি বেড়ে উঠেছেন পশতুন-তাজিক মিশ্র সম্প্রদায়ে৷ ফলে তাঁর পরিবারে উভয় গোষ্ঠীর মানুষ রয়েছেন৷ ফলে দুই সম্প্রদায়কে এক করার একটা বড় সুযোগ আছে তাঁর হাতে৷ দ্বিতীয় দফা ভোটে সেটাই প্রমাণ করতে হবে তাঁকে৷ সমর্থন টানতে হবে দু'পক্ষের৷ তিনি যে এই মিশ্র সম্প্রদায়ের মধ্যে বেড়ে উঠেছেন, তার ছাপ পাওয়া যায় তাঁর ব্যক্তিত্ব এবং রাজনৈতিক মতাদর্শে৷ তবে এটা ঠিক আফগানিস্তানে বাস্তবতা সবসময়ই ভিন্ন৷

ডয়চে ভেলের ফ্লোরিয়ান ভাইগান্ডছবি: DW/P. Henriksen

উপজাতীয় জোট

প্রথম দফায় মোট ভোটের ৪৪.৯ ভাগ পেয়েছেন আব্দুল্লাহ৷ উত্তরাঞ্চলের উপজাতীয় জাতি গোষ্ঠীর কাছে এরই মধ্যে রাজনৈতিক হিরোতে পরিণত হয়েছেন তিনি৷ তাজিকরা বরাবরই তালেবান জঙ্গিদের বিরুদ্ধে লড়াই করে আসছেন সেখানে৷ নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে উত্তরাঞ্চলে আব্দুল্লাহ পেয়েছেন ৮০ শতাংশেরও বেশি ভোট৷ তবে দক্ষিণ ও পূর্বে যেখানে পশতুনদের আধিক্য, সেখানে পেয়েছেন মাত্র ৩ শতাংশের কিছু বেশি ভোট৷ প্রথম দফা ভোটে পশতু ভাষিরা পশতুন প্রার্থীকেই তাঁদের ভোট দিয়েছেন৷ এ কারণে আব্দুল্লাহর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আশরাফ গনি মোট ভোটের ৩১.৫ শতাংশ পেয়েছেন, যার বেশিরভাগই এসেছে পশতুন ভোটারদের কাছ থেকে৷

জয় পেতে হলে

দ্বিতীয় দফায় আব্দুল্লাহ কতটা ভোট পাচ্ছেন তার উপর নির্ভর করছে তাঁর বিজয়৷ এক্ষেত্রে পশতুন ভোটারদের মন জয় করাটাই তাঁর জন্য মুখ্য বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ আর উত্তর অঞ্চল দেশের অর্থনৈতিক চালিকাশক্তি হিসেবে পরিচিত৷ সেখানে যেমন রয়েছে প্রাকৃতিক গ্যাস তেমনি নিরাপত্তা ব্যবস্থাও অনেকটা স্থিতিশীল৷ এই বিষয়গুলো যদি ভোটারদের মধ্যে ছড়িয়ে দেয়া যায় তবেই হয়ত সাফল্য আসবে৷ তাই এখন দেখার বিষয় উত্তর ও দক্ষিণের সমান জনপ্রিয়তা পেতে আব্দুল্লাহ কতটা সমর্থন হন৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ