ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী চতুর্থ আন্তঃসরকার সংলাপ উপলক্ষ্যে বার্লিনে জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের সঙ্গে তাঁর কার্যালয়ে মিলিত হয়েছেন৷
বিজ্ঞাপন
ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে চ্যান্সেলারির সামনে গার্ড অফ অনার দিয়ে স্বাগত জানানো হয়৷ জার্মান সেনাবাহিনীর ব্যান্ড ভারতের জাতীয় সংগীত বাজায়৷
পরে দুই নেতা চতুর্থ ভারত-জার্মান আন্তঃসরকার আলাপ-আলোচনার প্লেনারি সেশনে অংশগ্রহণের জন্য চ্যান্সেলরিতে প্রবেশ করেন৷ এই বিধিবদ্ধ আলাপ-আলোচনার আগে সোমবার সন্ধ্যায় মোদীকে বার্লিনের কাছে মেজেব্যার্গ প্রাসাদে নৈশভোজে স্বাগত জানান ম্যার্কেল৷ উভয়ের মধ্যে ব্রেক্সিট, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য এবং ইউরোপে একাধিক সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী আক্রমণের পরিপ্রেক্ষিতে উগ্রপন্থিদের প্রসার নিয়ে আলোচনা হয়৷ শ্লস মেজেব্যার্গ হল চ্যান্সেলরের সরকারি অবসর কাটানোর স্থান৷
ব্রেক্সিট প্রসঙ্গে মোদী বলেন, ভারত ইউরোপের একতাকে গুরুত্ব দেয়৷ ইউরোপের সংহতি বিশ্বরাজনীতির স্থিতিশীলতার জন্য একটি মুখ্য উপাদান বলে মোদী মন্তব্য করেন৷ এ কথা জানিয়েছেন জার্মানিতে ভারতের রাষ্ট্রদূত মুক্তা দত্ত টোমার৷
কোন বিশ্বনেতার ফেসবুক ফলোয়ার বেশি?
ফেসবুক ফলোয়ারের তালিকার গোড়াতেই আসছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী৷ দ্বিতীয় স্থানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প৷ তবে মোদীর চেয়ে ট্রাম্প অনেক পিছিয়ে৷
ছবি: Getty Images/K.Frayer
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী
জনসংযোগ প্রতিষ্ঠান বার্সন-মার্স্টেলারের একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ব্যক্তিগত পেজে তাঁর ফলোয়ারের সংখ্যা চার কোটি৷ ভারতের ১২০ কোটির জনসংখ্যার পরিপ্রেক্ষিতে তা খুব আশ্চর্যজনক নয়৷ তবুও ফেসবুক প্রধান সাকারবার্গ সোশ্যাল নেটওয়ার্কগুলো কিভাবে সরকারকে জনগণের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে সাহায্য করে, তার দৃষ্টান্ত হিসেবে মোদীর কথা বলেছেন৷
ছবি: Getty Images/K.Frayer
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ব্যক্তিগত পেজের ফলোয়ার দুই কোটি৷ তাঁর বিখ্যাত টুইটার অ্যাকাউন্টে তাঁর ফলোয়ারের সংখ্যা আরো বেশি- আড়াই কোটি৷ জরিপে ২০১৬ সালে বিভিন্ন সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধান, এছাড়া মন্ত্রীদের ৫৯০টি ফেসবুক পাতা বিশ্লেষণ করে দেখা হয়েছে৷ এজন্য ফেসবুকের ক্রাউডট্যাঙ্গল টুল থেকে পাওয়া সামগ্রিক তথ্য ব্যবহার করা হয়েছে৷
ছবি: Getty Images/AFP/N. Kamm
ওবামা প্রতিযোগিতায় থাকলে কী হতো?
বারাক ওবামা আর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নন, কাজেই তিনি সেই অর্থে সক্রিয় বিশ্বনেতা নন৷ তবু আজও পাঁচ কোটি চল্লিশ লাখ মানুষ ফেসবুকে তাঁর ফলোয়ার, যা কিনা মোদী আর ট্রাম্পের ফলোয়ারের যোগফলের প্রায় সমান৷
ছবি: picture alliance/dpa/T.Maury
জর্ডানের রানি রানিয়া
জর্ডানের রাজা দ্বিতীয় আবদুল্লাহর রানি রানিয়ার ফেসবুক ফলোয়ারের সংখ্যা এক কোটির বেশি, যা কিনা জর্ডানের জনসংখ্যার চেয়েও বেশি৷ পশ্চিমি মিডিয়াতেও রানি রানিয়ার জনপ্রিয়তা কিছু কম নয়৷
ছবি: picture alliance/dpa/Balkis Press
তুর্কি প্রেসিডেন্ট এর্দোয়ান
ফেসবুকে তুর্কি প্রেসিডেন্ট রেচেপ তাইয়িপ এর্দোয়ানের ফলোয়ারের সংখ্যা প্রায় নব্বই লাখ৷ ফলোয়ারের হিসেবে গত বছর তিনি ছিলেন তৃতীয় স্থানে, তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এবং এ বছরের বিজয়ী নরেন্দ্র মোদীর ঠিক পরেই৷
ছবি: Reuters/T. Schmuelgen
মিশরের প্রেসিডেন্ট আল সিসি
প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাতাহ আল সিসি’র ফলোয়ারের সংখ্যা প্রায় সত্তর লাখ৷ বিশ্বনেতারা কত ঘন ঘন কন্টেন্ট পোস্ট করেন আর কী পরিমাণ লাইক, কমেন্ট ও শেয়ার পান, রিপোর্টে সেদিকেও নজর রাখা হয়েছে৷
ছবি: Getty Images/AFP/M. El-Shahed
কাম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন সেন
নেতারা জনগণের সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে কী ধরনের আদানপ্রদান করেন, রিপোর্টে তা-ও বিশ্লেষণ করে দেখা হয়েছে৷ কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন সেন-এর ফেসবুক অ্যাকাউন্টে ইন্টারঅ্যাকশনের সংখ্যা পাঁচ কোটি আশি লাখ৷ এক্ষেত্রে তিনি মোদীর পরেই তৃতীয় স্থানে৷
ছবি: Getty Images/AFP/T.C.Sothy
7 ছবি1 | 7
উভয় নেতার আলাপ-আলোচনায় আফগানিস্তানের প্রসঙ্গটিও আলোচিত হয়৷ এ ক্ষেত্রে মোদী আফগানিস্তানে জার্মান উপস্থিতি সম্পর্কে প্রশংসাসূচক মন্তব্য করেন৷ অপরদিকে বেইজিংয়ের বেল্ট অ্যান্ড ফোরাম প্রসঙ্গে ম্যার্কেল জার্মানির মনোভাব ব্যাখ্যা করেন৷
দ্বিবাৎসরিক আন্তঃসরকার আলাপ-আলোচনা বা আইজিসিতে এবার মোদীর সাথে রয়েছেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী হর্ষ বর্ধন, বাণিজ্যমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন, জ্বালানি মন্ত্রী পীযুষ গোয়েল ও পররাষ্ট্র বিভাগের প্রতিমন্ত্রী এম জে আকবর৷ সর্বশেষ আইজিসি অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০১৫ সালের অক্টোবর মাসে, নতুন দিল্লিতে৷ এবার বার্লিনের আইজিসিতেও একাধিক চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হবার কথা৷