1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মান প্রেসিডেন্টের ভাষণ

কাই-আলেক্সান্ডার শলৎস/এসবি২৪ ডিসেম্বর ২০১৫

বড়দিন উপলক্ষ্যে জার্মান প্রেসিডেন্টের ভাষণের সিংহভাগ জুড়েই ছিল শরণার্থী সংকট৷ তাঁর মতে, সংলাপের মাধ্যমে এমন সমাধানসূত্র খুঁজতে হবে, যা নৈতিকতার মানদণ্ড অনুযায়ী সিদ্ধ এবং যা সামাজিক ঐক্য বিনষ্ট করে না৷''

ছবি: picture-alliance/dpa/T. Schwarz

জার্মান প্রেসিডেন্ট ইওয়াখিম গাউক জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে ‘নীচু স্বরে উৎসাহের' কথা বলেছেন৷ খ্রিষ্টধর্মের পবিত্র গ্রন্থ অনুযায়ী ‘খ্রিষ্টোৎসব পালনের সময়ে ঈশ্বরের মানবপ্রেম' সামনে চলে আসে৷ গাউক বলেন, ‘‘সেই মানবপ্রেমের পরশ পেলে ভালো লাগে৷ আরও ভালো লাগে, সেই মানবপ্রেম আত্মস্থ করতে এবং জগতে ছড়িয়ে দিতে৷''

তার আগে গাউক সেই সব মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন, যাঁরা স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে অথবা পেশাগত কারণে শরণার্থী সংকট সামলানোর কাজে সহায়তা করেছেন৷ ‘‘আমরা দেখিয়ে দিয়েছি, আমাদের মধ্যে কী আছে – সদিচ্ছা, পেশাদারিত্ব এবং প্রত্যুৎপন্নমতিত্ব৷'' অনেক মানুষ স্পতঃস্ফূর্তভাবে সাহায্য করতে এগিয়ে এসে ‘‘উষ্ণ হৃদয় ও মানবিক রাষ্ট্রের মুখচ্ছবি'' হয়ে উঠেছেন বলে মনে করেন গাউক৷

মতবিরোধ গণতন্ত্রের অংশ

জার্মানিতে শরণার্থীদের প্রতি আচরণ সম্পর্কে ‘বর্তমানে যে তুমুল বিতর্ক' চলছে, গাউক তাঁর ভাষণে সেই বিষয়টিও তুলে ধরেছেন৷ তিনি প্রশ্ন তোলেন, ‘‘যে সব শরণার্থী আমাদের দেশে আশ্রয় ও ভবিষ্যৎ খুঁজছেন, তাঁদের প্রতি আমাদের কেমন আচরণ হওয়া উচিত?'' জার্মান প্রেসিডেন্টের পরামর্শ হলো, ‘‘একমাত্র খোলামেলা আলোচনা ও বিতর্কের মাধ্যমে আমরা এমন সমাধানসূত্র খুঁজে পেতে পারি, যা দীর্ঘমেয়াদি হবে এবং সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ যা মেনে নেবেন৷'' মতপার্থক্য সামাজিক ঐক্য মোটেই বিঘ্নিত করে না, বরং এটা গণতন্ত্রের অংশ৷ বিশেষ করে সক্রিয় নাগরিকরাই বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অমীমাংসিত সমস্যার প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করেন, বলেন গাউক৷

তবে এটাও একেবারে স্পষ্ট, যে হিংসা ও ঘৃণা তর্ক-বিতর্কের প্রক্রিয়ার ন্যায্য পথ হতে পারে না৷ গাউক এ প্রসঙ্গে মনে করিয়ে দেন, ‘‘অসহায় মানুষের উপর হামলা ও তাদের বাসস্থানে অগ্নিসংযোগের ঘটনার তীব্র নিন্দা করা উচিত এবং এর উপযুক্ত শাস্তি হওয়া উচিত৷''

গাউক-এর মতে, এবার এমন সমাধানসূত্র খুঁজতে হবে, যা ‘নৈতিক মানদণ্ড' অনুযায়ী স্থির হবে এবং ‘সামাজিক ঐক্য' বিপন্ন করবে না৷ একদিকে ‘নিজস্ব নাগরিকদের কল্যাণ' মাথায় রাখতে হবে, অন্যদিকে ‘শরণার্থীদের প্রয়োজনের' কথাও ভুললে চলবে না৷ যে সব বিষয় ‘‘আমাদের উদার ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রকে বসবাস ও ভালোবাসার যোগ্য করে তুলেছে, নাগরিক ও রাজনীতিকদের তা রক্ষা করা উচিত৷ গাউক বলেন, ‘‘ব্যক্তি ও সমষ্টি পরস্পরকে নতুন করে আবিষ্কার করতে এবং বেড়ে উঠতে পারে৷ এভাবে চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেও দেশ নিজেকে চিনতে পারবে এবং আমি নিশ্চিত যে সেই চ্যালেঞ্জের মোকাবিলাও করতে পারবে৷''

ভীতি ও নিরাপত্তাবোধের অভাব

২০১৫ সালের দিকে ফিরে তাকালে অধিক মাত্রায় দুর্ঘটনা, হিংসা, সন্ত্রাস ও যুদ্ধের দৃষ্টান্ত চোখে পড়বে৷ এর ফলে বার বার ভীতি ও নিরাপত্তাবোধের অভাব দেখা দিয়েছে৷ অনেক সংকট পরস্পরের সঙ্গে মিলেমিশে গেছে, অনেকগুলির আজও মীমাংসা হয়নি৷ আর্থিক সংকট, ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে বেড়ে চলা মতপার্থক্য, গ্রিসের ভবিষ্যৎ নিয়ে বিতর্ক এগুলির মধ্যে অন্যতম৷ গাউক ইউক্রেন, সিরিয়া, আফগানিস্তান ও সন্ত্রাসের কবলে থাকা আফ্রিকার এলাকাগুলিরও উল্লেখ করেন৷

বার্লিনে প্রেসিডেন্টের বাসভবনে রেকর্ড করা ভাষণে গাউক বিশেষভাবে জার্মান সেনাবাহিনীর সেই সব সৈন্যদের অভিনন্দন জানান, যাঁরা ‘সন্ত্রাস নির্মূল করতে বিপজ্জনক সংগ্রামে' সক্রিয় রয়েছেন৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ