1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘আমরা সবাই ওবামার সাথে'

গ্রেহেম লুকাস/এসি৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫

মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা কার্বন নির্গমন ব্যাপকভাবে কমানোর উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন৷ ওদিকে তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে ২০১৫ সাল ২০১৪-কেও ছাড়িয়ে যেতে চলেছে৷ এ বিষয়ে গ্রেহেম লুকাস-এর সংবাদভাষ্য৷

USA Barack Obama in Alaska
ছবি: Reuters/J. Ernst

বহু বছর যাবৎ তথাকথিত গ্রিনহাউস গ্যাসের নির্গমন কমানো সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক চুক্তি সম্পাদনের পথে মূল প্রতিবন্ধক ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র – এবং সেই সঙ্গে চীন ও ভারত৷ যারা জলবায়ু পরিবর্তনের কথা স্বীকার করতে চান না, তাদের সবচেয়ে শক্তিশালী লবি ছিল মার্কিন মুলুকে৷ লবিইস্ট-দের দাবি, জলবায়ু পরিবর্তনের উপর মানুষের গতিবিধির কোনো প্রভাব নেই, কিংবা স্বল্পই প্রভাব আছে৷

গ্রেহাম লুকাস, ডয়চে ভেলে

এ বছরের ডিসেম্বর মাসে আবার জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলন সংঘটিত হতে চলেছে৷ ওবামা যে জীবাশ্মভিত্তিক জ্বালানির ব্যবহার হ্রাস করার সপক্ষে স্পষ্ট বক্তব্য রেখেছেন, তা প্যারিসে ঐকমত্য অর্জনের পথে মাইল-ফলক হবার ক্ষমতা রাখে৷ ওবামা চান, ২০০৫ সালের মাত্রা অনুযায়ী ২০৩০ সালের মধ্যে কার্বন ডাইঅক্সাইড নির্গমন ৩২ শতাংশ কমানোর চুক্তি করা হোক৷ যা আমাদের সকলের জীবনকেই প্রভাবিত করবে৷

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কয়লা পুড়িয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনের শত শত চুল্লি আছে, যেগুলোকে বন্ধ করতে হবে৷ ফলে কয়লা খনিগুলির নাভিশ্বাস উঠবে৷ অন্যান্য শিল্পোন্নত দেশেও একই প্রক্রিয়া সূচিত হবে৷ পরিবর্তে নবায়নযোগ্য জ্বালানি ক্ষেত্রে বিপুল ভাবে বিনিয়োগ করা হোক, এই হল ওবামা-র সমাধান৷

এটা একটা সুবিশাল চ্যালেঞ্জ:

– বিভিন্ন শিল্প ইতিমধ্যেই ওবামা প্রশাসনের উপর নারাজ৷

– মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অনেকেই ওবামার নীতির বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা মানতে রাজি নন৷

– নবায়নযোগ্য জ্বালানি দিয়ে অশ্মীভূত জ্বালানির ঘাটতি মেটানো যাবে না, বলে অনেক মার্কিনির ধারণা৷

– জ্বালানি যে অপরিমিত নয়, তার জন্য যে একটা মূল্য দিতে হবে এবং নিজেদের জীবনধারায় পরিবর্তন আনতে হবে, এটা উপলব্ধি করা সব মার্কিনির পক্ষে সহজ হবে না৷

কিন্তু ভয় পেলে চলবে না৷ অধিকাংশ শিল্পোন্নত দেশে জীবাশ্মভিত্তিক বা পারমাণবিক জ্বালানি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে সরকারি ভরতুকি দেওয়া হয়ে থাকে৷ কাজেই নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে আরো বেশি এবং বড় করে বিনিয়োগ করা প্রয়োজন৷

বিশ্বের উষ্ণায়ন ইতিমধ্যেই আবহাওয়া বদলে দিচ্ছে: দাবানল, খরা, অতিবৃষ্টি, দাবদাহ, ঘূর্ণিঝড় ইত্যাদি ঘটে চলেছে ক্রমবর্ধমান হারে৷ মানবজাতির অস্তিত্বই আজ সংকটে৷ এই অবস্থায় প্যারিস সম্মেলন একটি সুযোগ বৈকি – বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যদি পরিবেশ রক্ষায় নেতৃত্ব দেয়৷ সেক্ষেত্রে আমরা সবাই ওবামার সাথে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ